মাসুদ পথিক’র কবিতা

0

পরম্পরা আর, বহুমাত্রিক বিপণন

এতো পালক আর পাখি
এইখানে ঘুমিয়ে করছো মাখামাখি
ভুলেই গিয়েছিলাম
ভোরে দু’পায়ে মাড়িয়ে গেলাম যাকে
শতরুপার তীর আর তীরে
তুই ঘাস হয়ে ছিলি বুঝি গোপন রূপান্তর
আমার বুকেই উপুড় জনম জনম
বেশ কিছু কাল ঘাসফুল হয়ে
উষজল বিছানো মাঠে লাজুক কোনো রমণি
আমি কিন্তু শিখেছি এই ভাষা
পরিচিত কথা কিংবা সম্বোধনে
কখনো তুমি অভিমানি প্রেমিকা
শাখে বসে আর নেচে কিছু চঞ্চলতা
পাখি ও রাখালের সমবায় হল না
একদিন সুবর্ণবণিক এসে বলেছিল,
নিরবতায় জোছনার চাষ হয়, চোখের বলাকায়
জোনাকির আলো নিস্তেজ হয়ে আসে
দূর তারকার ভেতর মুদ্রাস্ফীতির কীট গর্জে
হায়! গর্জে ওঠে সাবলিল
কোকিলের গান! সুপ্রিয় ইকোলজির পেটে খাচ্ছ গড়াগড়ি
আহ্, তা হতে গড়েছে বসতি যৌথ কূজন
চূড়ায় আর চূড়ায় ছড়িয়ে
শূন্যে জন্ম নেয়া সবুজ ঘরবাড়ি
আজ তোমার শরীর ও হৃদয়
ফুল হয়ে ফুটে ডানা হয়ে ছুটে দিগি¦দিক
পাঠকক্ষে অন্ধ অক্ষর খুঁটে আমারই মনপাখি
এই যে পাঠকক্ষ বারান্দা বরাবর টানা
রোদের বর্ণমালা আছ ওঁৎপেতে
শিক্ষক পরম্পরায় আকাশ হাঁটে হারিয়ে ফেলা
নিমাই মাঠে, ফসলের স্তনে আর হৃদয়ে
কত পাঠ হয় চুপিচুপি আমাদের দু’জনে
এত মাখামাখি, সবুজ বিছানায়
আকাশ ও মাটির গায়ে দু’টি বাজুবালা, মানুষের দু’টি গ্রাম
অতি কাছাকাছি
হাতে হাতে রেখে ছড়িয়ে থেকে
অনেক বেলা ঘুমিয়েছ আকাশ
মাটিতেই নিবিড় যৌনাধার খুলে
প্রাণের অপার পরম্পরায়
কোথাও না কোথাও তোমার আমার হবে দেখা
পাখি ও পালকে
আর আজ তাই
রোদ্দুর, তোর অ্যাবসেন্স মোড়কে
করি জোছনার বিপণন
সিনথেটিক হাটে এত কোলাহল
তবুও পাখির গান! কত ভালবাসি

আহা! সমরেশ অধিকারি

দুধ টিপে খাই, কচি ধানের কোমল স্তন বলে না কিছুই। থাকি নগরে, স্ব-ভাবে লেখক আমি, মাঝে মধ্যে গ্রামে যাই, সমরেশ অধিকারি। আর গ্রামে আমার বসতবাড়ি, শহরে করি চাকরি। ভাবি নিজেকে খাঁটি বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধিজীবী, আহা বড় বড় লাগে। গর্বের তোড়ে বুক চেতিয়ে হাঁটি, মাইলবাসার রেলক্রসিঙের পাশে, অম্বর আলির চা দোকান, বসি, খই ফুটিয়ে কথা বলি। শোনে গ্রামবাসি।
আর কখন যে দেখি জানালার ওপারে ছায়ার ভেতর আলো সবটাই ঢুকছে… এই যে সত্যসোনাভান ছায়ার ভেতরে রহস্য ভাসাভাসা তুমি। ফিরে ফিরে এসো গ্রামে নিয়ে জ্ঞান ভারিভারি।
রাতে নিমাইয়ের নামে শুনি পদাবলি, মাথা উঁচু উঁচু লাগে। ফটোগ্রাফের রেখায় বিস্তৃত নিরঞ্জন মাঠ। নাস্তার টেবিলেই খবরের কাগজে দেখি; ঝরা শিশির রোদকে খাওয়াচ্ছে ঝুলন্ত সেই স্তন। স্তন এত বারি বারি। দুধ টিপে টিপে খাই যুবতি এই ছবির;
ভাবি, কিছু কিছু জ্ঞান, বেশ সমকামি, বুদ্ধিজীবী ডাকি, আর বেশ বড় বড় ভাবি!

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার