সালাউদ্দীন খালেদ’র কবিতা

0

সন্ধ্যা

সন্ধ্যা শুরু হলে, তারা ক্ষত চিহ্ন পড়ে।
সংঘাতে, হৃদয় মাঝে অন্ধকার জেগে উঠে।
যদিও-বা আমরাই লিখি
মাঝে মাঝে অংকনও করি।
সন্ধ্যা শুরু হলে, তারা কবর পাহারা দেয়
আশ্লেষে নয়, নক্ষত্র নিরবতায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়
তিতিবিরক্তিকর ওই গ্রীষ্ম দুপুরের মতো ছিল তাদের চাহনি
আমার মুখে বিষাদ রাত্রি, প্রলেতারিয়েত কলোনি।
সন্ধ্যা শুরু হলে, তারা শরীরের গন্ধ খুঁজে পুদিনাপাতার ঘ্রাণে।
নীল বোরাগ থেকে নেমে ওলটপালট কখনো-বা চার পায়ে হাঁটে
মৃত্যুর মুখে নিজের মুখ দেখে ভাবি দৈব নিমন্ত্রণ,
সুখানুভূতি, তাকে পাব না ভেবে জন্ম না নেয়া শিশুটিকে ঈর্ষা করি।
সন্ধ্যা শুরু হলে, তারা মৃতদের জাগিয়ে দেয়
আদম ও ঈভের শুদ্ধ পৌরাণিক পাপ জন্ম নেয়
প্রিয়তম বন্ধুর মৃত্যুতে মামুলি তরুণ মনগড়া ছন্দে কাঁদি
কাকের মৃত্যুতে যেমন করে পড়শি কাক কেঁদে পায় শান্তি।

বৃক্ষসুফি

ভাবছি, কবি ডেকে বৃক্ষ আর বিহঙ্গের বসিয়ে দেব।
মাথা চুলকে আর লেজ নাড়িয়ে শিখে নিক অন্যপাঠ।
এতে অন্তত অরণ্য পাঠশালায় ধ্বনিত হবে কবির বয়ান।
কবি কোনো গুরু নন, বৃক্ষসুফি…
তালি মারা হৃদপিণ্ডরা নিরাপত্তা চায়, যেন খাঁচার পাখি।
স্বপ্নের পসরা সাজিয়ে বসে আছি ঘুমের মালিক।
শব্দের গামছা বুনি, ক্লান্তি মুছে ফেলব বলে
নির্মাণে প্রতিশ্র“তি জাগে, গাছেরা তবু কিছুতো বলে।
দাঁড়কাক আর পাতিকাক এক হয়েছে,
বিড়াল মুখে বাচ্চা নিয়ে সাত জায়গা বদল করে
প্রকৃতির দেহতত্ত্ব অনূদিত হচ্ছে কবির কলমে
অরণ্য আর বিহঙ্গরা তাকিয়ে আছে।
… কবি কিছু বলবেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার