১
নদী দিয়ে সাইকেল চালাতে গিয়েছি। আমি ডুবে গেছি। সাইকেলটা ভেসে আছে। কিন্তু ওরা বলল আমি ডুবি নাই বরং নদীটাই ডুবে গ্যাছে আমার ভেতরে।
এই নিয়ে বাহাস যখন তুঙ্গে এমন সময় আরেকটা অঘটন আমাদের সব কিছু ভুলিয়ে দিল। তখন সবাই বলতে থাকল ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো। আমিও মেনে নিলাম। অন্য সবার মত ডুবে আছি। শুধু সাইকেলটা ভেসে আছে।
২
অন্ধকার দীর্ঘজীবী হোক
প্রিয় সহচর, প্রিয় সহপলাতক
অন্ধকার, অন্ধকার দীর্ঘজীবী হোক
আমরা পালাতে থাকি আলোর বিপরীতে
সাম্য, মৈত্রী আর স্বাধীনতা
সবকিছু হারিয়ে যাক
সবকিছু তলিয়ে যাক আঁধারে
ঘোরতর নিকষ অন্ধকারের অতলে
প্রিয় সহচর, প্রিয় সহপলাতক
অন্ধকার, অন্ধকার দীর্ঘজীবী হোক
আমরা পালাতে থাকি আলোর বিপরীতে
৩
পৃথিবীর সব সত্যগুলো একদিন মিথ্যা হয়ে যাবে ।
সে দিনকার পৃথিবীকে পৃথিবী আদৌ বলা যাবে কি না জানি না ।
তবে জানি কোথাও না কোথাও থেকে যাবে স্মৃতি।
সেদিন যদি কেউ থাকে, যে পাবে স্বপ্নের খোঁজ, কেউ যদি থাকে।
অন্ধকার অথবা আলোক, আলোক অথবা অন্ধকার ছাড়া
সুপ্ত নীল নীলাভ্র আশ্রয় যদি থাকে, যদি থাকে মহাসাগরের মত।
থাকবে স্মৃতির সাগর। রাশি রাশি স্মৃতি, স্মৃতিময় জল।
পাহাড়ে উপত্যকায় অরণ্যহীন বিরান মাটিতে
দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতি, স্মৃতির মুখোমুখি।
তুমি নেই আমি নেই, সে ও তারা নেই।
আমরা তোমরা তারা সব মিলে মিশে স্মৃতি
অশরীরী নিরাকার স্মৃতি।
লেখকবৃত্তান্তঃ
তারিফ হক। জন্ম ১৯৯১। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুড়িগ্রামে, ক’বছর যাবত ঢাকায় আছেন। কবিতা,মঞ্চ নাটক ও সিনেমায় আসক্ত। পল্লীগান ও মাটির দর্শনের প্রতি গভীর ভক্তি রাখেন। ২০০১ সালে কুড়িগ্রাম সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের পত্রিকা ‘মঞ্চ’-তে প্রথম কবিতা ছাপা হয়। মাইকেল রবিন সরকার সম্পাদিত ছোট কাগজ ‘উত্তরের জানালা’ এবং সাম্য রাইয়ান সম্পাদিত ‘বিন্দু’ তে কবিতা প্রকাশ হয়েছে একাধিক বার। এ ছাড়া ব্লগ ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সক্রিয় আছেন। এখন পর্যন্ত কোন বই প্রকাশ হয় নি তবে একটা কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপির কাজ চলছে। ফেসবুকঃ https://web.facebook.com/tarif21