তিনটি কবিতা । সাহির সতীর্থ্য

0

সে শক্তিকে নমস্কার

হতে পারে, কয়েকশ’ ডিগ্রি ক্ষুধার সম্রাজ্য, দু’টি লাইনে স্রোতার অজস্র ভাল লাগা ভিতরে মাছি ভন ভন শব্দ জাবর কাটছে- আঙুলের চিপায় যে সুখ পুষে রেখেছি ধোঁয়া হয়ে ভবিষ্যতের আকাশে বিষজল নামবে কোনো একদিন!

শরীরের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে প্রশ্নবোধক চিহ্নের আক্রমণ; দাড়ি-কমা ঘাপটি মেরে আছে, মুহূর্তেই বিভৎষ কিছু হতে পারে ।
অলস ব্যথা যেন জাতীয়তা ভুলে বেদনায় ব্যাথিত বিনম্র জ্বালা জমিয়ে হৃৎপিণ্ডে ব্যাকগ্রাউন্ড ফোকাস দিচ্ছে!

যে শক্তি আমায় জীবিত রেখেছো, তাকে নমস্কার!

রাত্রি সকাল

শব্দটি সময়ের পালকে ভর করে পিছু নিয়েছে, আমার আগামীকাল পড়ার টেবিলে কাগজে মোড়ানো, ওটা খুলবেন না -পৃথিবী? আপনার হৃদয়স্পন্দন ঝলসে, মগজের ভালবাসা ক্যাশআউট হয়ে যাবে ।

ভিতরের ব্যথা গত ছয় বছরে মার্বেল থেকে ডিউজ, কবে যেনো ফুটবল হয়ে মৃত্যুর বারে ঢুকে যাই!

একটি নবজাতক সকাল ব্রাশের ফ্যানায় দুপুর আমি ভুলে গেছি বিকেলে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার সাথে টঙে আড্ডা

রাত এসে গ্যাছে আহ্ আমি আজও জেগে থাকবো স্ক্রিনের বিধবা আলোয় চেয়ে চেয়ে- সকাল হলে আগামীকাল দেখবো!

ইতিবৃত্ত

হওয়ার তো কতো কিছুই ছিল, কিংবা হতেও পারতো অনেক কিছু-অথচ না হওয়াটাই ছিলো আমার বিশেষ কিছু,
ভাবনাতেও পিছুটান পাশের রাস্তাটার কথাও মনে নেই,
ফিরে দেখতে নতুন প্রজন্ম বাদাম কাঁঠের ছোফায় নাক ডুবিয়ে ঘুমোচ্ছে, প্লিজ ডাকবেন না নড়ে যাবে!

আমার ইতিহাস রেখে গেলাম সন্ধ্যার বুকে ।
আসা যাওয়া সেই জন্ম চেনা পথ আমার বহু দূরে…
ধরে নিলাম রাতগুলো ভীষণ অসহায় বাল্বের ছাঁয়া তারাও আমার মত নিরুপায়!
জানো অন্দ্রীমা?
সিগারেট ও বেইমান হয়ে গ্যাছে তার পোষা ধোঁয়া আমার পাথর চোখে জল এনে দ্যায়…

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার