মনে হচ্ছে,
উল্টো ক্যালেন্ডার!
মানুষের মাথায় মাথায় লাল মত বাতি, হাতেও।
অনেক শব্দ হচ্ছে,
অনেক কিছু শুনছি না শোনার মত।
অনেক কথা বলাবলি করছে সবাই,
মনে হচ্ছে,
চট্ করে গলে গেলাম!
পাকিয়ে পাকিয়ে হারিয়ে গেলাম মুহূর্তেই…
মনে হচ্ছে,
সবাই আমার দিকে চেয়ে আছে।
প্রচন্ড উৎকন্ঠায়
ডাকছে আমাকে ;
হাসছে সবাই…
হঠাৎ হঠাৎ কেঁপে কেঁপে তিরতির জ্বলছে বাতিটা (সুঠাম অন্ধকারে)
হাটতে হাটতে আবিষ্কার করে ফেললাম মস্ত একটা পৃথিবী ;
আস্তে….
আস্তে…
ছোট হয়ে যাচ্ছে।
সবার কথা শুনতে পাচ্ছি।
হ্যা বলো?
কেউ কিছু বলবে না আমি জানি
তবুও বার বার জিজ্ঞেস করি।
সব দোকান বন্ধ হয়ে গ্যাছে
নেমে গ্যাছে শাটার
রাতজাগা প্যাঁচা একটা কালো মশারী টাঙাচ্ছে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে
মনে হচ্ছে,
সোফায় গা এলিয়ে শুয়ে আছে ক্লান্ত রিকশার বগী…
একটা পলিথিন উড়ে এলো!
হাত পা দেখলাম
হাত উঁচিয়ে কি যেনো তার ভেতরে একটা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন স্তব্ধতা।
মনে হচ্ছে,
সবগুলো ঝিঁঝিঁপোকা চিৎকার করে বলছে-“আমাকে বাঁচাও”
একটা মাটির পুতুল খুব করে সেজেছে আর চুপ করে বসে আছে ছোট দুটি গাদা ফুল গাছের ঠিক মাঝখানে।
মনে হচ্ছে,
দাঁড়িয়ে আছি দরজার এপাশে
কাউকে ডাকতে ইচ্ছে করছে না!
স বা ই
ঘুমিয়ে আছে,
প্রায় একশো বছর….
চিঠিতে লেখা প্রতিটা অক্ষর কথা বলছে
যার যার মত করে বলছে যার যার কথা
যদিও শুনছি না কিছুই।
অনেকগুলো সুইসাইড নোট গল্প করছে
কেউ কারো টাই বেধে দিচ্ছে,
কেউ বোতাম লাগিয়ে দিচ্ছে বুকের।
মনে হচ্ছে,
ভ্রু কুঁচকে ঘুরছে ফ্যান,
মলীন ক্লান্তিতে নুয়ে পড়ছে পাখা।
খুব সহজেই শব্দহীন বিদ্ধস্ত হয়ে গ্যালো আয়না-
সেই বিদ্ধস্ত আয়নার দিকে তুমি আর আমি পাশাপাশি হেঁটে যাই…
বিপর্যস্ত পৃথিবী এবং পাশাপাশি হেঁটে চলা । উদয়ন রাজীব
0শেয়ার করুন