ক্যাকটাস
সে তার জানালায় ক্যাকটাস রাখে
তার অন্তর্গত প্রকৃতিকে
সে লালন করে জানালায়।
আমি আমার অলিন্দ ভরে রাখি
তুমুল ফুলের সুগন্ধে
এ পৃথিবী এক সবুজ উদ্যান
রাশি রাশি ফুল ফোটে আর ঝরে
আমি সেই উদ্যানে
গান গেয়ে উড়ে চলা
মত্ত কোকিল
সে কোথায় যায়?
এই মরু থেকে সেই মরুতে
সেই মরু থেকে আরেক মরুতে
সে মরুদ্যান ভয় পায়।
এমন মেঘের দিনে
এমন একটি বৃষ্টির সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে একদম একা। রেইনকোট পড়ে কোন এক নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন শহরের রাস্তায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবো অপেক্ষা নামক এক রেস্তোরায়। পথে সুনসান দেবদারু থেকে ঝরবে জমে থাকা জল। আমার চশমা বেয়ে দু’এক ফোঁটা জল ঠোঁটে পড়ার আগেই আমি তাদের দারুণ সুঘ্রাণ শুষে নিয়ে জিহবা ছোঁয়াব। ল্যাম্পপোস্ট বেয়ে নেমে আসবে সোনালী বৃষ্টি। চুপি চুপি এক দীর্ঘ সিঁড়ি বেয়ে উঠে, আলো ছায়া ঘেরা এককোণে চেয়ার টেনে বসে দেখি, কাঁচের ওপাশে বাগানে হাওয়ায় দুলছে ঝিরিঝিরি পাতাওয়ালা গাছে সোনালী কিছু ফুল। টেবিলে সাজানো অর্কিড আর যাদুর রুমাল আলো ভরা গ্লাসে। সোনালী ছিট ছিট ডালিম ফুল রঙা পানীয় খেতে খেতে ইতি উতি তাকাবো। ওয়েটার বলবে,‘কেউ কি আসবে?’
নিজের সাথে দেখা হয় না কতকাল! তাই এই রুপোলি ছিট ছিট কালো মেঘের দিন স্বপ্নে দেখেছি বারবার।
পাপীর জন্য এলিজি
আমি বেঁচে গেছি-
এ যুদ্ধে তোমার হাতই রঞ্জিত
আর আমি কেবলই এক নিহত।
সিদ্ধান্ত তোমার
আমি তার বলি।
অস্ত্র তোমার
আমি কেবলই এক শিকার ।
হত্যাযজ্ঞ তোমার
আমি সেই হোমানলে চন্দন কাঠ।
নিরপেক্ষ
এক অর্থে তুমি নিরপেক্ষ
কেন না তুমি হত্যা করেছো
আমাকে এবং আমার প্রতিদ্বন্ধীকে।
তোমার নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত
কেনো না তুমি কাউকেই ভালোবাসো না।
তোমার পক্ষপাত শুধু নিজের প্রতি।
কবিতা
সুন্দর প্লাবনে মনমাটি সুফলা
গান গেয়ে তুলি আমি
কল্পনা ধানের গুচ্ছ
সোনালি আল্পনা কাটা জমি থেকে
নবান্ন মন ভরে ওঠে
সোনারং স্বপ্ন শীষে
প্রাগৈতিহাসিক
প্রাগৈতিহাসিক যুগ চলে গেছে
বহুকাল আগে
তবু ঢাল হাতে চলি
এক হাতে ক্রুদ্ধ বল্লম
এখনও শিকার খুঁজি
এখনও শিকার হই
রক্ত ঝরে রক্তের মতোই
প্রাগৈতিহাসিক।