এক কাপ কবিতা
মারা যাওয়ার শব্দ শুনতে পাই
চোখওয়ালা কিছু কণ্ঠস্বর
আর্তনাদ করে করে থেমে যাচ্ছে
কবরের অন্ধকার বারান্দায়
কবিরাও আজকাল দেখি চুপিসার
ঠিক একটা ধূসর শকুনের মতো
শূন্য থেকে ভাগারের গর্ভে
গলিত কিছু মাংসের দিকে তাকায়
স্রোতহীন ডোবানালার মতো
মগজগুলো যাদের হয়ে আছে আজ
কিছু মুখস্থবিদ্যার শ্যাওলা
হয়েছে তারা দুস্থের চৌকিদার
পাখা ঝাপটাতে ঝাপটাতে অস্থির
কল্লা কাটা একটা মুরগির মতো
বাংলাদেশের উঠোনে মরে যাচ্ছে
কিছু কিছু নিঃস্বার্থ হাতিয়ার।
কখনো জীবন্ত শোপিস
ফলঝুড়িতে শুধু দুটো আম্রপালির মুখ
দুধ ভর্তি স্তনের মতো চেয়ে আছে
একটু দ্বিধা অনেক প্রাচীর কিছু শূন্যতা
মানুষ কখনো এক জীবন্ত শোপিস
লিচুর বিচির মতো তেলাপোকার ঝাঁক
নিঃশব্দ উৎপাত, ওরা থাকে নিরন্তর
গরম পানিতে চাপাতি পোড়ে না যেমন
দীর্ঘশ্বাসও সয়ে যায় তীব্র দহনে
যদি ভ্রƒণেই মরে যেতাম চুপিসার
না হতো দেখাদেখি পৃথিবী-আমার
হয়তো ভালো হতো হয়তো বা মন্দ
এই কবিতাটা লেখা হতো না কোনদিন।