রক্ত-রঙ
আমি হয়তো লোডশেডিংগুলোর অপেক্ষা করি
ঠিক ঐ সময়টায় কেনো আমি চাকু বা বটি’কে ভালোবেসে ফেলি!
মাছের রক্ত আমাকে ব্যথিত করে না,
প্রতিনিয়ত খুন করি;
আমার রক্তের রঙও লাল।
অথচ নীলরঙ হলে কত অদ্ভুতই না হতাম আমি…
ক্ষুধার্ত
এখানে সবার ক্ষুধা লেগেই আছে…
ক্ষুধার্ত ব্লেড কেটে দিতে চাইছে বইয়ের পড়া,
পত্রিকার নতুন মডেল, সুন্দর ভেইনগুলো।
জরায়ুর কোলে রাখা জারজ কেটে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত এবং অপদার্থ মা।
ক্ষুধার্ত ধূঁয়া গিলে খাচ্ছে পৃথিবীকে।
আর একটা ক্ষুধার্ত বিষপেয়ালা চোখ রাঙাচ্ছে আমার দিকে-
সবুজ রং; কথা ডুবে যাচ্ছে, স্থির চোখ কোটর, শিউলিফুল আর ঘৃণার মিশেল।
সহজ জীবন আমার, ওঁরও ক্ষুধা; উল্টেপাল্টে ভালোবাসা আর মৃত্যুর।
মৃত্যুমৃত্তিকা
সুস্থ মানুষগুলোর মস্তিষ্কে যাই না বহুদিন হলো;
এবার ভেবেছি মর্টেম এর ডাক্তারগুলোর মাথায় ঢুকবো।
পৈশাচিকতা যেহেতু আমাকে আনন্দ দেয়
আমি ওখানে যথার্থ নেশাগ্রস্ত হবো…
অথবা,
কফিনে মোড়া লাশটার ভেইনগুলো সচল করে তুলবো,
আমরা তা ধিন তা ধিন নাচবো হয়তো
আর পৃথিবী দেখবো উন্মাদ-পিশাচ ঈশ্বর্পিকে।
হা হা হা।
নীরবতা বজায় রাখুন প্রিয় পৃথিবী
পোস্টমর্টেম আমরা একগ্লাসে ওয়াইন খাবো।