প্রেমপত্র
কাশফুল আকাশ। কে যায় রে? মাথার উপরে তো চাঁদ। জ্যোৎস্না থই থই। যে মুখ উঁকি দিলো, সে গেলো কই? মেঘ তুমি শিশু হও, কোলে নেই।
.
শরৎ, মড়া কার্তিক, কামুক কুত্তার প্রকাশ্য কামকেলি। সত্য সবই। সত্যি কাশ তুলার বীজ গর্ভে শূন্যে উড়ন। সত্যি নয় এই ত্যাগ। এই অরণ্যরোদন। কি কাঠিতে টোকা দিলে জ্বলতে গো? নিভে গেলে কোন কাঠিতে? চন্দ্রাহত সারমেয়র কান্না শুনেছো? শুনেছো ব্যাঙেদের ডাক। ও বোবা বাংলা বালা, যাই বলো তাতে কেনো দুর্বোধ্য মেশাও? সদরঘাটের গামছা কেনো সদরঘাটেই বিকাও? কোবরা সাপিনী কই গেলা তুই?
.
বিষাদ সমুদ্রে ছুঁড়লে যদি আরাধ্য মোক্ষ মেলে? মেলে যদি চিরচেনা পাড়, মিলে যাক, তবে মিলে যাক। স্বাক্ষী দিও শরৎ, বলো তাকে এ মানবটার এখনো বাড়ানো আছে হাত।
বিষয়বিহীনা
নিষ্ঠুরতাকে পর্বত শিখরে ঝুলন্ত দেখেছি ঈগল পাখির উড়া কালে ছায়া এসে উড়িয়ে নিয়েছে কাম্যকন্যাদের উটের বহরে উঠতে দেখিনি কে যেন ফিরেছে মেপল পাতা মাড়িয়ে জেমস নদীরে ফেলে
রুটি বানানিয়া ভোরে ভোরে হাত চলে গড়িয়ে গড়িয়ে পাথর যে পড়ে তার কি নাম
অনতি দূরে এক লাল নিশান উড়ে উড়ো না উড়ো না ওড়না আকাশ গঙ্গা তলে যতোদূর মর্মে আসে ততো দূর পথ আত্মহত্যাকামিতার স্বপ্ন কল্পনাতেও ছেড়ে যাচ্ছো যাও কুর্দিস্তানে আমাকে দেখছো কি টার্কিস মাওবাদীরা কি তেলাপোকা
ভার্চচুয়াল জগত
একটা দিন আসে
একটা দিন যায়
খাই দাই ঘুমাই লিখি পড়ি
কখনো বা দাঁত মাজি
বুঝতেই পারি না
একটা দিন গ্যালো
আসলোও আবার একটা দিন
আমার আকাশের জগত
আপনাকে সহস্র সালাম
আপনাতেই আমি সমস্ত সঁপেছি
ডাক
দুঃখকে গলির মোড়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছি
প্রতিভাকে বলেছি
তফাৎ যা
আর গুড়া গুড়া ব্যাটারি রিকসার যে কিশোর কাঁদছে,
তাকে বলেছি
নে বেটা, রাইফেল নে
ব্যাংক ডাকাতি করবো
অস্ত্রবাজদের অস্ত্র কেড়ে নেবো
পুরা দেশটাই দখল করবো, আয়…
প্রেম
বাঁশি বাজার আনন্দে বাঁশি বাজবে
ফুল ফোঁটার আনন্দে ফুল ফোঁটবে
আর পাখি আপন মনেই গাইবে তার গান
প্রাপ্তির প্রত্যাশায় যে প্রেম
তাতে পরাজয় থাকে
থাকে জয়
প্রেম, সে তো প্রেমই
একা একাই স্বয়ং সম্পূর্ণ
হাসি আনন্দ বেদনা যাতনা উল্লাসে…
জীবন ও কবিতা
দৌড়ে কবিতা নেই
থাকে না
জীবন এক অনন্ত গোল্লাছুট
এক অন্ধকার থেকে
অন্য এক অন্ধকারে গমন
সাথে যদি থাকে
কবিতার ডানা
মদ-মাংস মায়াবিনী সহজেই মিলে ঢের
যে যেমন পাত্র
সে পায় তেমন
তবে পায়
পাওয়াতেই পাখি উড়ে গান গায়
গোলাপ জাগানোর গান
হৃদয় কি জলের?
এক মানুষের হৃদয়ে তুলতে না পারা ঢেউ।
হৃদয় কি পাথরের?
ওতে ফোটানোই হলো না কোনো ফুলের নকশা।
সোনায় বাঁধানো,
হীরায় মোড়ানো,
জহরতে ডোবা,
না-কি তরল গরলে ভাসমান? হৃদয় হে,
কি এমন মসনদে ছিলো বাস?
‘আরো এক বিপন্ন বিস্ময়ে’ লাগলো না দোলা?
চলে গেলো ফিরে এলো
ঘাটে ঘাটে বাস হলো
হৃদয় তবু তার গাইলো না গান
কবি, কবি হে, কি এমন কবিতা তোমার?
এক মানুষের মনেই তুলতে না পারো সুর,
লক্ষ কোটি মনে? সে এক জ্যান্ত খোয়াব।
খোয়াবে বাইচো না গো মনোধন,
আসো আবার আবার আবার অবিরাম এক হৃদয়ে গোলাপ জাগানোর গান গাই
আশার বাসাতে আসতেও পারে পাখি, আসে