বিন্ধি-২
কার কপালে জোনাক পোকার টিপ পড়াইবাম?
রোজ সকালে শিমুলতলে মিছামিছি বৌ সাজাইবাম?
কারে আমি ‘কিরি-মিরি-ছিরি-বিরি’ ডর দেহাইবাম?
কারে আমি ‘উইল্যা বিলাই-ধইরা কিলাই’ আর চেতাইবাম?
কারে আমি…!
বিন্ধি, রাইত-বিরাইতে কালীবাড়ির বট গাছটায় আর ভুত চাপে না
ডরের ছুডে জড়াইয়া ধইরা আমারে আর কেউ কাঁপে না
কেউ আমারে ছিমডি দেয় না, কাইন্দা-কাইট্টা বুক ভাসায় না
ত’র মতোন কেউ আর আমার আপন নাইরে-
দিনে-রাইতে কেউ ভাবায় না, কেউ ভাবায় না
কেউ না!
মানুষের গল্প
অন্ধ ঘোড়ার খুঁড়ের তীব্রতা খুঁজে পাবে কি প্রাণাধিক প্রিয় অশ্বরোহীর ছায়া?
বুড়িটা সারারাত দরোজায় কড়া নেড়ে ক্লান্ত হয়ে ফিরে গেছে চাঁদে;
শেওড়া গাছের বামন ভুতটা অথবা ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমীর পুরোনো খুনসুটির গল্প-
প্রভৃতি রূপকথারা একদিন হাতড়ে মরবে প্রিয় শ্রোতার খুঁজে
(অথবা শ্রোতারাও রূপকথা হবে)। হায় মানুষ!
সেদিন তোমার গল্প শোনার মতো কেউ থাকবে তো?
ঘোড়াটি কি ফিরে পাবে প্রিয় অশ্বারোহী আর অশ্বত্থের ছায়া?
নাকি তার ঠিকানা হবে ‘মিউজিয়াম’ নামক সভ্যতার ভাঁড়ার!
তেলচিত্রের নারী
পারিজাত ঘুঙুর পাশে পড়ে আছে-
তার পাশে উদাস উর্বশী ভাবনা রতা,
গায়ের বসন পায়ে লুটায়
দুঃশাসন এসেছিলো বুঝি!
দেবী কি উর্বশী জানি না, জানতেও চাই না
তবে-নৈবেদ্য আর দু’ঠোঁটের চুমোয়
করতলে দেবো তুলে সহজিয়া প্রেম।
নেবে?
তোমার উপমায় তোমাকে গড়ে বসাবো বেদীতে
প্রতিরাতে নারীরা যেমন পুরুষের দেবী হয়ে ওঠে।
তোমার শেখানো মন্ত্রেই হবে তোমার রতি পূজা
আনাড়ি এই পুরোহিতকে প্রণয়ের প্রসাদটুকু
দেবে?