তামীম চৌধুরীর দুইটি কবিতা

0

প্রতীক

চাঁদ উদিত হলে
আমাদের চোখে বৃক্ষের নিঃসঙ্গতা ধরা পড়ে।
সবুজ-ঝরা মৃত বৃক্ষটি
চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে
অবিকল আমার মতোন
যেমন আমি দীর্ঘ দু’বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
বিশ্বাসযোগ্য মেঘটিও মোড় ঘুরিয়ে
অন্যদিকে উড়ে গেছে…
হয়তো অদূরেই বৃষ্টি হচ্ছে…
অথচ, একটা বৃক্ষ এখনো চৈত্রের খরায়
ডুবে আছে জলহীন মাটিতে
শিকড় ছড়িয়ে।
পাখি উড়ে গেলে
দিনশেষে বৃক্ষেরা বড় একা।

আয়নায় কিছু দৃশ্য

চৌকোণাকৃতির বিশেষ আসবাবে বসে
পদ্মপাঁপড়ির মতো খুলে দিয়ে সমগ্র দেহের ভাঁজ
চোখে পরাচ্ছিলে কাজল
আঁচলের ঈষৎ খসে উন্মুক্ত হয় বুকের একপাশ
বক্ষবন্ধনী ঠেলে ঠেলে
                        উপছে
                              উপছে
                                   ঢলে ঢলে
                                           পড়ে
                                                লাল জ্যোৎস্না
আয়নার ভেতর তোমার বলদে
একটি চঞ্চল হরিণীকে দৌড়াতে দেখি।
গাভীর দুধের মতো উজ্জ্বল পিঠে
কী আশ্চর্য! অপূর্ব তিলের আত্মপ্রকাশ
লোভনীয় কালো সৌন্দর্যে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়াতে
ড্রেসিংটেবিলের আয়নার ভেতর
অবাক করা চমৎকার কাণ্ডের আবির্ভাব
                        তরুণী হরিণীটির পাশে
                                             দৌড়োচ্ছে
                      আরো একটি তরুণ হরিণ।
— মিলিন হবার এখনই উৎকৃষ্ঠ সময়
কাজল পরা বাদ দাও আপাতত।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার