★
একটি শঙ্খ ফুটে আছে গোল্লাছুটের সকালে;
শীতঋতু চলে গেলে শাদা নামিকা ফুল তাকিয়ে থাকে
বসন্তরৌদে। এখন জ্বরগুলোর রায় নিয়ে পড়ে আছি-
রৌদ আসলে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি;
ফুটন্ত বাষ্পের মতো আকাশে উড়ে আদমসুরত,
তারা হয়ে জ্বলে থাকে কৃষ্ণ গহ্বরের পাশে!
অহেতুক ভণিতায় ছুঁড়ে ফেলি বাস্তবতা-
ছুঁড়ে ফেলি শশ্মানীর চিৎকার!
একটা সকাল ফুটবে বলে
কিঞ্চিৎ জেগে থাকি ঘুমন্ত কুয়াশার গন্ধে;
★
পাহাড়ি’র কথা ভেবে পাগাড়ের দূরত্ব মাপি
হালকা গন্ধের ফুলে। রঙিন দোয়েল উড়ে গেলে
সন্ধ্যে নেমে আসে উঁচুতে;
রাতের ওমে দাঁড়িয়ে থাকে নোনা শ্রাবণবাড়ি,
অহেতুক হেঁটে চলে-
হেঁটে চলে কুশা, জলজতারার দিনে।
মাঘ মাস আসলে শীত ফোটে। আর চলে যায়
উত্তরে মাথা রেখে;
★
অনিবার্য কারণে ফুটে আছে ঈশ্বরের দ্বিতীয় ফুল
ফুটে আছে কামরাঙার সকাল, শৈল চোখ-
আইসক্রিমের দিনে খুলে পড়েছিলো বোতামের হাত;
সেটুকু বিশ্বাসযোগ্য বলেই ফুল ঝরে পড়ে ফলে।
নগ্ন কুয়াশায় আপোষ করে-
খড়ের সঙ্গমে প্রতিমূর্তি দাঁড়িয়ে ঘাসের সবুজ গন্ধ।
দর্শনের অনুভূতিগুলো স্পর্শ করে প্রেমিকার স্তন, আর
অন্ধরাতে লাল লিটমাসের জন্ম হয় প্রস্বেদনের ভয়ে!!
★
কেউ কেউ এমনই ফিরে-
যেভাবে রাস্তার প্রবণতায় ফিরে আসে যানবাহন;
বা সরলতার কথা ভেবে তাকিয়ে থাকে হতুরবাগানের
মাচা, প্রান্তস্বরে পেলিকান পাখি উড়ে গেলে
ঝরে পড়ে শীত; একটি সূর্য ফুটলে কাঁচা কুয়াশায়
চিকচিক করে সকাল।
★
টুকরো টুকরো ঝরে পড়ছে কার্নিশে ঝুলে থাকা আলো
এইতো মরীচিকা বলতে পারে লোহা জীর্ণতার হাসি।
কাঁচা কুয়াশা, ভেজা গন্ধ;
হিমের ভেতর লুকায়িত মৃত মানুষের নিঃশ্বাস
আর অন্ধ তরঙ্গে বারবার বেজে উঠে টুংটুংগি।
★
বিকেলের রোদে ভিজে যায় কার্নিশে ঝুলে থাকা মেঘ,
এখানে সন্ধ্যা মালতীরা ফুটবার অপেক্ষায়;
হাওয়া বদলের রাতে নিয়ে আসে কৃষ্ণাঙ্গ অধরা।
অথচ স্বরচিত বর্ণনা থেমে যায় শশ্মানের চিৎকারে!
অদ্ভুত সুন্দরের দিকে তাকিয়ে থাকে মৃত মানুষের চোখ
আর একটি কার্তিক মাস এসে দাঁড়ায়,
নীল জেব্রা চলে যায় আয়নার মুখে;