মেশিন
আবার প্রথম থেকে, নতুন করে লিখছি পুরোটা।
বিগত সময়ের কর্মকে কেটেকুটে, ব্যাপক
কাটাকাটি হলেও নতুনে রয়েছে ছাপ, পুরানের।
চিহ্নিত হচ্ছে ধীরে, না-লেখা কলম, তেলের কাগজ।
তা-হোক, তবু আবিষ্কৃত হোক প্রকৃত যাপন…
আদিম শ্রমিক আমি; মেশিন চালাই।
মেশিনে লুকানো আছে পুঁজির জিন
চালাতে চালাতে দেখি আমিই মেশিন!
বিশ্বরূপ
দু’চোখ মুড়িয়েছি রঙিন কফিনে; দেখতে পাচ্ছি না কিছু, বিজ্ঞাপনে; তবু রেলগাড়ি চলে রঙিন পিঁপড়ের মতো। ঘষা কাঁচের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছি সুখানুভূতি। কী হতাশার জীবন গোঁসাই! আলোরা ডালপালা ছড়িয়েছে বন বনান্তরে। চর্বিত মগজের পাশে হাতঘড়ি ঝুলে আছে হৃদয়ের গোপন কোটরে। পাল্টে গ্যাছে ঋতুবতী শৈশবের ঘ্রাণ।
শুকনো পাতারা ঝরে পড়ার কালে মাঝপথে হাওয়া লেগে আবারো উড়ে গ্যাছে অন্য পথে, ভিন্ন গতিতে; মৃত্যুর মতো বদলে গ্যাছে তারা প্রভিন্ন আঙ্গিকে। রঙের স্রোত থেকে একটা দৃশ্য উঁকি দিচ্ছিলো; প্রতিছায়া ছিলো সেটা মানুষের-জাগরণের।
সবটা দেখতে পাই না বলে কোনো নিয়ম-কানুন নেই।
উদভ্রান্ত
একঝাঁক মুগ্ধতা জমে জমে
এক বিরাট কৃষ্ণচূড়া জন্ম নিয়েছিলো;
তুমি কি আমার আত্মকে ছুঁয়ে দেখেছিলে?
সেই কৃষ্ণচূড়া ─ কী আশ্চর্য
এখনো দাঁড়িয়ে আছে অকপটে;
শুনতে পেরেছিলে কখনো মৃত্যুর ডাক?
হৃৎপিণ্ড থেকে বিকিরিত হয়
মুগ্ধরঙিন আলো;
তোমার লালজামার রঙ কি রক্তের প্রতিনিধিত্ব করে?
ধরলার মতো উদভ্রান্ত মেঘ
ছটফট করে আজগুবি;
জমাট মেঘে নানান প্রতিচ্ছবি কি তোমার কাছে বাস্তব মনে হয়?
পাঁজরে পাঁজরে শুধু রক্তের দোলা
আমি তারে না বুঝেই করেছি রচনা;
তুমি কি আমায় ভালোবাসো?