ভাষার ভাষান্তর
ভাইয়ের রক্তের জন্য তারা পথে নামে। পথ ও পথিককে শেখায় শৃঙ্খলা। দূর্নীতিতে ডুবে আছে আপাদমস্তক একেকজন। প্রেমের ভাষা শিখিয়ে দেয় কিশোর। যে ভাষায় সূর্য কিরণ ছড়ায়। যে ভাষায় কোকিল গেয়ে উঠে। যে ভাষায় নদী কলকল রবে সাগরে মেশে।
হিংসার বিধ্বংসী ছোবলে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। দরবার হলে লাশের স্তুপ জমে উঠেছিল। রক্তে ভিজে গিয়েছিল দামী কার্পেট। প্রেম ছিলনা বলেই জোয়ানরা জোয়ানের বুকে ঢুকেয়েছে বুলেট। এই ভাষায় কথা বলেনা প্রকৃতি। এই ভাষায় সিংহ ছাড়ে হুঙ্কার।
ভাংগা বিল্ডিং— এর নীচে চাপা থাকে কত কাহিনী। লোভের শিকার শত শত কর্মী। পঁচা লাশের গন্ধে প্রকৃতির আবহাওয়া ভারী হয়ে যায়। পুঁজিবাদের হীন স্বার্থ পূরণ করে কয়েকটা আশাবাদী জীবন। এই ভাষায় কথা বলে হায়েনা। এই ভাষায় কথা বলে হাঙ্গর।
আনন্দে অবগাহন
আনন্দ ডুবে আছে সকালের পৃথিবী। যেভাবে ডুবে থাকে রসগোল্লা। রসগোল্লা হবে নাকি রসাদ্বনে ব্যস্ত রসিক। এই জগৎ তোমার কাছে সত্য রুঢ়। কঠিনের মাঝ দিয়ে হাটে পথিক যেন সবুজ ঘাসের কার্পেট।
কর্মের ভিতরে খুঁজে পাওয়া যায় আনন্দ। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়না আর রাজপথ। বৃহৎ পরিবর্তন নাই কোথাও সবাই মানিয়ে নেয়। ফুল ফুটে ঝরে যায় স্থায়ী হওয়া জন্য বোঁটা আকড়ে থাকেনা।
পূর্ণ কেউ ছিলনা কোন কালেই। তবুও আমরা পূর্ণ করে তুলি খালি কলসির মতন। পিপাসা মিটানোর জন্যই যেন নিরাপদ ট্যাংকি। যার যতটুকু প্রয়োজন ঢেলে ঢেলে পিপাসা মিটাও।
কাব্যচাষী
কবিতার প্রোয়জন নেই এই সময়ে। শব্দগুলি প্রকাশ করতে পারেনা সমস্ত আবেগ। মানবদেহটা যেন ধানভাঙ্গার মেশিন সবকিছুরই ছাল ছাড়িয়ে দেয়। কল্পনায় স্থীর হওয়ার চেয়ে বাস্তবতার ভিতর দিয়ে এগিয়ে চলে জীবন।
কাব্যচাষ করে যে চাষী সোনালী সময়ের আশায়। মরিচীকা হয়ে যায় তার পদে ও পংক্তিতে। চাষীর সোনালী ফসল ফেরী করতে থাকে তার স্বপ্ন। ফেরীওলার ঝাকায় যেভাবে সাজানো থাকে হরেক রকম জিনিষ।
শ্লোকে গেঁথে থাকে বর্তমান সময়ের বয়ান। সহজ লভ্য এখন কাগজ ও কালি তার চেয়েও সহজ কবিতার আবাদ। যারা কঠিন করতে চায় তারা অহংকারে পুষ্ট। এতটাই সহজ যে পাঠকরাও সহজে এড়িয়ে যায়।
বিশেষ-অজ্ঞ
বিজ্ঞানের ভাষার নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্য এইচটুও। এইচটুও ইংরেজী বলে বোঝা কঠিন ফারসীতে পানি। ও-কে পৃথক করতে বিক্রিয়া করতে হয়েছে। হাইড্রোজন থেকে অক্সিজেন ছাড়িয়ে নিয়েছি শ্বাস নিতে যাতে সহজ হয়।
মানুষকে সহজভাবাটা অন্যায় অক্সিজেনকে সে কার্বন-ডাই-অক্সইড করে ছেড়ে দিয়েছে। কিভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড হলে তার বিবরণ দেয়াটা কঠিন হবে। কিন্তু প্রত্যেক মানুষই সহজেই এই প্রক্রিয়াটা প্রতিনিয়তই করে চলেছে।
মেঘেদের ছাড়িয়ে আকাশের উপরের দিকে তাকাই। খালি চোখে কখনও দেখিনি ওজন স্তর শুনে শুনে বলা। বিজ্ঞান ফলাতে নয় অজ্ঞতাই প্রকাশ হয়। কত কম জেনেও নিয়ত বিজ্ঞানের জটিল ক্রিয়া করছে মানুষ।
বাইনারীসংখ্যা
বাইনারী সংখ্যা এক ও শূন্য নিয়েই ডিজিটাল সময়। ভারী চশমা চোখে কম্পিউটার ব্যবহার করা অপারেটরও জানে। ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করা ব্যবহারকারীও জানা।
ভিটিও গেমস খেলারত ছোট মেয়েটি না জানলেও চলে। সময় পার করা দিয়ে কথা মোবাইল প্রোগ্রামিং করা হয় না জানলেও চলে। টাকার মাফকাঠিতে কেনা বেচা হয় সব।
বাইনারী সংখ্যা দুটি একেবারে কিনে নিতে পারেনি কোন বিলিওনিয়ার। তারা শুধু একটি সংখ্যাকে বাড়িয়ে গেছে পরিশ্রম দ্বারা। তৃপ্তিসহকারে হিসাব রেখেছে নোটবুকে।