নাভিমূল
যত-ই দূরে যাই
ফিরে আসি বারবার, ফিরে আসি বৃত্ত আঁকা পথে।
কোথাও শান্তি নাই।
তাই-
ফিরে আসি নিজনাভিমূলে-
ফিরি নিজকুলে।
তোমরাও কি এমন-ই বারবার যাও ফিরে,
নিজ নিজ নাভিমূলে?
সব দেখা শেষে, সব হাঁটা শেষে
যখন খুলি নিজ নাভিমূল…
বিষ্ময়ে তাকিয়ে দেখি এ-তো নই আমি,
নও তুমি, নয় কোন বিচ্ছিন্ন নাভিমূল।
এ-তো যেন ভেদাভেদহীন-
এক অবিকল স্বপ্নলোক,
এক অবিচ্ছিন্ন মানবকুল।
যতসব সাম্রাজ্যবাদী প্রেম
ইসরায়েল গাজায় যত বিমান হামলা করেছে
তারচেয়ে শতগুণ বেশি মোবাইল ফোন হামলার শিকার আমি।
এমিনকি তুমি আমার সবচেয়ে গোপন সুড়ংগে
মেসেজ বোমা নিক্ষেপ করেছো অনবরত।
তুমি আমাকে সস্থি দাওনি একদন্ড
কখনো চালিয়েছো অতর্কিত মিসডকল হামালা,
আমি বহুবার চেয়েছি কিন্তু তুমি চীজ ফায়ার চুক্তিতে
সাক্ষর করনি কখনো।
আমার শান্তির ঘুম তুমি শক্তিশালী ভাইব্রেশনে
উড়িয়ে দিয়েছো বহুবার।
ইদানীং তুমি বলছো, তুমিই আমার
একমাত্র বৈধ দাবীদার।
এখানেই শেষ নয় তোমার দখলদারী মানসিকতার,
শেষ পর্যন্ত তুমি আমাকে আত্মঘাতী হামলার ভয় দেখাচ্ছো?
দীপ্তিহীন বেঁচে থাকা
গোলাপের গন্ধ আর গোলাপে নেই,
যন্ত্রনায় নেই যন্ত্রণা।
যেমন ভালোবাসায় নেই কোন ভালোবাসা।
মরতেও আর লাগেনা ভালো,
মরণে তো আর মরণ নাই।
শুধু আছে দীপ্তিহীন বেঁচে থাকা
শুধু আছে খন্ডিত আকাশ
শুধু আছে নির্লজ্জ বোকা চাঁদ।
উৎপাতহীন মিথোলজি
তুমিও অবিমিশ্র নও, সে ও ছিলোনা
বস্তুতঃ কেউই থাকেনা।
তথাপি অনভ্যস্ত মন খুঁজে ফিরে,
পৌরাণিক কাহিনীর পৌরাণিকতা বুঝেনা।
আর আমার মন জানোইতো পুনরাবৃত্তি-প্রবণ
বারবার শুধু চর্বিত চর্বণ।
তাই অধুনাতম লেখায় বেড়েছে
বিষ্ময়সূচক চিহ্নের ব্যবহার।
নব্য ভাববাদী কিংবা উত্তর-আধুনিক তোমরাতো জানোই
আমার লেখা মানে হাতসাফাই সব ভেল্কিবাজি
তাই এসব লেখায়
ইঁদুরের যতটা উৎপাত ততটা মানুষের নয়।
ত্রিভুজ প্রেম
আমি আমার প্রেম ত্রিভুজের বৃহত্তম বাহু-
তবু ওরা যতই ক্ষুদ্র হউক না আলাদা
জ্যামিতিক নিয়মেই ওদের হৃদয়ের সমষ্টি
বাধ্য বড় হতে।