জানালার বাইরে পোষা সমুদ্র
১
দক্ষিণ চীন সমুদ্র
জানালার বাইরে পোষা সমুদ্র
মনে হয় সিনেমার সেট
সুনামির ভয় নাই
কেউ নাই – কিছু নাই
শুধু নীল,হাল্কা আকাশি আর গভীর বেগুনি
রঙ বদলায়,রঙ বদলায়
বড় বড় জাহাজেরা এসে
তেল তোলে
তলদেশ থেকে।
মুক্তা তোলে রজত শিকারী
শিশু তোলে ঝিনুক,প্রবাল
ভাটার সাগর শুকিয়ে কাদাবালি
সিফুড সংগ্রহ করে দ্বীপবাসী।
আমি কুড়িয়ে নেই দু’একটি কবিতা
২
নরখাদক
যে সমুদ্র আপাতত শান্ত মনে হয়
আসলে সে মানুষ খাদক,
ভাটার টানের সাথে
টেনে নেয় জীবন,পৃথিবী
লুকোনো বিষাক্ত জেলি ফিশ
হঠাৎ হাঙর, চোরাবালি
সবকিছু ঢেকে রেখে নির্লিপ্ত নয়নে চেয়ে থাকে
সুনীল নয়নে থাকে শান্ত আহবান।
৩
স্বর্গশহর
এত কাছে নীল
দুপুরের সমুদ্র রৌদ্রে ঝিলমিল
কার্নিশে বাতাস খেলে
ডাকে যেন সমুদ্রের চিল
হায় চিল তুমি আর কেঁদো নাকো
তোমার কান্নার সুরে আরেক সাগরের কথা মনে হয়
কোথায় সে মাতাল বাতাস, সেই উত্তাল ঢেউ
সমুদ্র কি এমনই নিষ্প্রাণ?
এখানে স্ব্গের মত ছোট্ট এ শহরে
দলাদলি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই
যানজট, লোডশেডিং কোনকিছুই নেই
সি-ভিউ রুমে বসে এসির ঠান্ডায় জমে যাই
উত্তাপ দাও বাংলাদেশ
একটু উত্তাপ চাই ।
সারাদিন মেঘের সাথে
একদিন মেঘ পাড়াতে
ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে
ঘুম ঘুম চোখে দেখি
এ পৃথিবী আসলে এক কুয়াশা মাখা ভোর
পাহাড়ের কিনারা দিয়ে যার
পা ফসকে পড়ে গেছে সূর্য
আজকে বৃষ্টি হবে কি হবে না
আজকে গল্প হবে কি হবে না
আজকে কোথাও যাব কি যাব না
এইসব ভেবে ভেবে
তাকাব
উরুক্কু রঙিন মেঘের দিকে
মেঘের কম্বল মুড়ি দিয়ে কফি খাব এক বিকেলে তাবুতে লুকিয়ে
হিম হিম বাতাসে
আগুন জ্বলবে বাইরে ভেতরে
রাত্রিতে তুলো তুলো মেঘ ছড়িয়ে পড়বে
পাহাড়ের আনাচে কানাচে
উড়ন্ত চুম্বনের মত
বাতাসের চাদর উড়ে যাবে
দিগন্তব্যাপী
অকাতর ঘুমের ভেতর দেখি
দিগন্তে মেঘপুরুষের মত দাঁড়িয়ে আছে
এক ঘোর অন্ধকার রাত্রি।
গল্প শুনে শুনে প্রিয় মেঘের কোলে আবার ঘুমাব।