পুঁদা পুয়া (দীর্ঘ স্ব-আলাপ) ও অন্যান্য কবিতা // তাওহিদ করিম

0

পুঁদা পুয়া (দীর্ঘ স্ব-আলাপ)
১.
আমি ও কতিপয় পুঁদা পুয়া
‘পথ ছেদনকারী’।
মুততে বসতাম কেয়া ঝোঁপের পাশে
অমনি বর্ষা হয়ে যেত, কেয়াবনে ফুল ফুটত।
সাধারণ বিজ্ঞান বলে, চোদাচুদি ছাড়া ফুল ক্যামনে ফোটে?
আমি ও কতিপয় বন্ধু ভীষণ রকম বদ ছিলাম!
যেদিকেই তাকাতাম এক্কেবারে শেষ, ইমোশনাল লুক দিয়ে শেষ করে দিতাম।
রবীন্দ্রনাথ হুক্কা টানতেন, জীবনানন্দ কেন কুয়াশা খাইতেন
সাহসী বিভূতি রাত একটার পর কেমনে আরণ্যকের বনে
মেটাফিজিক্সের ভুত পরীর কাছে ধরা খাইলেন— এসব।
ভয়ানক ইমোশনাল পুঁদা পুয়া ছিলাম আমি ও কতিপয়।
আমাদের দেখে বৃক্ষরা পালায় যেত, পাখিরা উড়াল দিত
ঘাসেরা মুখে মাক্সপড়ে নিত
ভীষণ ভয় পেত!
এরকম ভয়ের ভুতের রাতে খরানার শাদা শাদা রাস্তায় লুঙ্গি তুলে দৌঁড়ায়ছিলাম।
আমরা কতিপয় আসলে কোনকিছুই মানতাম না।
না সমাজ, না রাষ্ট্র, না ধর্ম কোন কিছুই মানতাম না।
‘চোদানির পুয়া’ বলে শুধু দৌঁড়াইতাম।
‘মেনে নাও’ এমন কিছুর সর্বোচ্চ বিরোধিতা করতাম।
নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন পৃথিবী, নতুন ভাবনার বিস্তার বাড়াইতাম খালের পাশে বইসা বইসা—
যদি কিঞ্চিৎ বিরতি হইত তাইলে বৃক্ষরা অস্থির হইত, পাখিরা উইড়্যা চইল্যা আসত বাহুর কাছে
নদীরা উতলা হইয়া পাড় ভিজায় দিত
বাবলা পাতা কিলবিল করত
মাঝির হাত অবশ হই যাইত
নৌকা উল্টায় যাইত।
জোছনার উজ্জ্বলতা ম্লান হইয়া যাইত,মেঘেরা আঁচল দিয়া তারে ঘিইরা রাখত।
পূর্ণিমার রাইতে খোলা জমিতে গু ছাড়তে বইসা প্রথম ধরা খাইছিলাম রাতচরা পাখির হাতে
সেই থিইকা খোলা জমিতে হাগা ছাইড়া দিছি—
কিন্তু শেষ ধরা খাইলাম পড়ন্ত বিকালে এক মাজারে নারীর কান্নার আওয়াজে
বিভূতির মতোন কি ধরা খাইলাম!!
নারী এতো কাঁদতে পারে! এত এত আরশ কেঁপে উঠছিল মনে হয়।
সেই থিকা পীরের পোঁদ মারতে মারতে রক্ত বের করে ফেলছিলাম।
কারণ এভাবে সম্ভ্রম হারাইতো হতাশাশ্রয়ী নারীরা।
তবু আমি ও কতিপয় ‘মি ও মিনস্’ পোঁদারামি আরো বাড়াইতে লাগলাম।
‘ইফ’ পাইলেই হইতো। দীর্ঘপথের এক বিরামহীন যাত্রার মতোন।
ইমোশনাল আর নিঠুর বাস্তবতার ফারাক তখনো বুঝতে পারি নাই।
ইমোশনাল মানুষ এক ফালতু বাজে মানুষ।
এরা সমাজের কলঙ্ক, পরিবারের বোঝা, রাষ্ট্রের উচ্ছিষ্ট প্রকৃতির মরা গোরু।
যারা মেনে নিয়েছে তারা কোনমতে টিকে আছে!
নিঃশ্বাস ফেলছে; ‘মরি নাই’ বলে ইথারে সংকেত পাঠায়!
যারা পুরাই মাইনা নিতে পারছে তাদেরো নতুন দৃষ্টি জেগেছে— নবরুপের দৃষ্টি।
চাকচিক্য শানশওকত,দান খয়রাতের প্লেটে ছেড়ে দেয়ার কৃষ্টি জেগেছে বহুদূর পর্যন্ত।
তারা সফল—
মাথায় তেল মাখানো সিঁথি পরা নোবেল মানুষ। সামাজিক আইকন। সফলতার ভাবুক বিলগেটস।
আমি ও কতিপয় এখনো সেই পুঁদা পুয়া রয়ে গেলাম।
‘ক্যানে চলর’? বাঁচি আছস? বাড়িত ন’যস?
আমি ও কতিপয় যাদুগোপাল ছিলাম!
নন্দন কাননে ফুল দেখতে দেখতে একদিন ঝরে পড়ছিলাম
শাঁখের করাতের উঠানে—
আচমকা শঙ্খের ভেতর খানিকটা সমুদ্রের গর্জন শুনি।
২.
আমি ও কতিপয় পুঁদা পুয়া ছিলাম
বন্ধুর মায়ে কইত, কি বালের পোলা বিয়াইলাম সারাদিন ঘরে পইড়া থা!
উগ্গা মাইয়ার লগেও প্রেম করিত ন পারছ?
এক শরত মাধবীবনের রাতে এক নারী কিরুপে হাত স্তনে উঠায় দিল
বিগব্যাং হইয়া গেল! রুপবতী রাত কিরাম পাল্টে গেল!
পরস্পর কিরুপে পাইলাম— পাইলাম— সমস্ত সম্মানে আত্মস্থ করে পাইলাম
সবুজের আড়ালে সবুজ উন্মুক্ত মিলন।
সেই ভুতিরাম অনুভুতির তার মায়েরে কইলে তিনি হাসতে হাসতে ধোঁয়া হইয়া; হাওয়াই মিঠাই হইয়া গেল।
নারীর সাথে প্রেমিকার উদ্ভিজ্জ আলাপ বাড়াই দিলাম।
বাড়া ভাতে ছাই মাইক্কা দিলে পেটে খিদা আলোক হয় তেমনি খিদা বাইড়া গেল।
পোলা একদিন তার মায়েরে কয়— বিশ্বে এমন কোন পোলা আছে যে বিয়ার তিন মাসের মইধ্যে বাপ হয়?
মায়ে এবারো হাসতে হাসতে খিল!
শুধু তার বাপের নাম ধইরা ডাক পাড়ে।
মা-বাপের জোড়া। তাদের স্নেহের প্রেমের আস্পর্ধা।
আমরা পলায় যাই নাই।
নারী-প্রেম-প্রের্মাথ-তুলনা-মর্মাথ-মমত্ব কিরুপে পৃথিবীর বুকে বিস্তার হইত
শিল্পের রুপ পাইত সেই মোহময় তর্কবির্তক মহাকাব্যে মিললাম।
আমি ও কতিপয় প্রকৃতি ও নারীর রুপ আবিষ্কার করলাম নবরুপে
শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়,প্রেম কলাময় যৌনতায় স্নেহের ক্রিয়াকলাপে।
সমাজে যেখানে নারীরে লইয়া হা-ডু-ডু প্রথা খেলে সেখানে গন্ধমের বালছাল আলাপ ছাইড়া
বিশাল শৈলশ্রেনীতে হারাইলে যেরাম লাগে সেই লইয়া বাঁচতে শুরু করলাম
জীবনরে নতুন রুপে চিনতে পারলাম।
নারীর শেকড় বটবৃক্ষের মতোন সেই মতেই নারী জগতমনে স্বাধীন
তারে শেকলপড়ার গল্প ঘরে ঘরে শুধু হাহাকার বাড়াইছে, শান্তি সুখ বিলাপকলহ বাড়াইছে বাড়াইছে—
আমরা কতিপয় সবসময় বাড়বাড়ন্ত প্রথাবিমুখ
‘মেনে নাও’কে তুড়ি মেরেছি সর্বোত্তম মানবিকতার স্বার্থের ভেতর।
রঙিন আলোকে শেঁকেছি আলোক ছাঁচ দিয়ে, আবেগ দিয়ে। আবেগহীন মানেই মৃত্যু।
৩.
ছোট ছোট পরিবর্তনকেই পরিবর্তনের সূত্র ভাবছি
পাল্টাবতো নিজেকেই, অন্ধত্ব রুখে দেয়ার মত নিজের সততাই বিপ্লব ভাবছি।
এই যে তোমাদের মতোন যারা ডেকেছো, বলেছো— পুঁদা পুয়া, ফালতু, থার্ডক্লাস, ভোদাই, বাল
দেখো দেখো কত সুন্দর চোখ নিয়া চারপাশ সুন্দর কইরা লই।
একখান দীঘি।
যে মানুষ এ পাড় থেকে ও পাড়ে জীবনরে শেষ করেছে
বনের বন্দি পশুর মতোন, না পাইনি কোনদিন মনুষ্যত্বের আলোক;
অন্ধকার চক্রেই জৈবচক্রের মতোন ধাপ গুনে গেছে
শিখেছে তারা কলহ-বিবাদ-হিংসা-অপরাধ-মুখরোচক গীবত!
তারা জীবনে শুনেনি পাখির গান,দেখেনি বৃক্ষের ধ্যান, বুঝেনি জলের প্রাণ
স্বাদ পায়নি, পায়নি।
তারা গোসল করে সাফ হওয়ার জন্য
সাবান লাগায় পরিষ্কার হওয়ার জন্য
প্রতিবারই কাদা লাগায়।
হৃদয় বৃত্তি তার সহজে আসে না।
সমাজ সংসার রাষ্ট্র করে একাকার— নিরাকার— সহজাকার— মূর্তকার— মূর্তহীন
পাইনাকো আলোকের খুব কাছে; আঙুলের ফাঁকে থাকা সহজ সন্ধান!…

 

নদী ও জোছনাহরণ

জোছনায় ছিঁড়ে গেছে শার্টের বোতাম
হাওয়ার উপর ভার ছেড়ে দিয়েছিলাম।
কে জানত?
নদীর কপাল পুড়বে
চঞ্চু, শ্বাস।
গ্রীষ্ম গেলো
জল টইটই বর্ষায়
বস্ত্রহরণ ক্যাম্প হলো!
বাদ যায়নি চন্দ্রবক্ষ; দ্রষ্টার কথিত পথ
এক প্রস্থ বস্ত্রে রেখেছিলাম
নদীর কপালে হাত।
ধৃতরাষ্ট্র–চতুর
বুঝতে পারেনাই
এখানে দলবেঁধে কাব্যহরণ হয়।

 

পুরুষ: শোক ও শ্লোক

গ্লাস করা ইঞ্চিমোটা ফ্রেম।রঙিন সুতার অক্ষরগুলো উজ্জ্বল।যিনি তুলেছিলেন তিনি নারী।তাহার মনের বিব্রত অভিজ্ঞতা অথবা কেবল শখের বসে পুরাণ শ্লোক সুঁই দিয়ে তুলতেন।তিনি জানতেন ভাই পুরুষ, পুত্র পরুষ, স্বামী পুরুষ। আসলে নারী এভাবেই শোক করতেন রক্ত পতনের ফোঁটায় ফোঁটায়।তিনিও স্বগোত্রীয় নারী। আত্মীয় অনাত্মীয় যারাই মাথা নিচু কওে সামনের কুলে ঢুকতেন এসব শ্লোক অনায়াসেই পড়তে পারতেন।কেবল পড়তেন? কোথাও কি লুকনো ব্যাথা, খোঁচা, আঘাত নড়েচড়ে যেতোনা। বিব্রত হতো না।
এই নারী শ্বাশ্বত। এই নারী কলহপ্রিয়, কুটিল, প্রেমময়ী। হয়ত নিজেদেও ব্যথা বলতেন পুরুষের বুকে মাথা রেখে! ভাই ও পুত্র পুরুষ শোক তাহার।
নারী কেবলই অন্যের শ্লোক।তার নিজেরো।
ক্রমবাহিক……।
বৃষ্টি-কুকুর-কাক

দুভাগ হয়ে যার যার পথে ছুটে মানুষ।
— প্রাকৃতিক পরম্পরা!
ঝুম ঝুম বৃষ্টি।রাস্তা ফাঁকা।কুঁই কুঁই করে বৃষ্টিতে ভিজছে কুকুর।
বৃষ্টি আর জল,জ্বলে আত্মজ পরাণ।
— কুকুর বিদ্যা।
জোড়া কাক উসকে দিচ্ছে আকাশীস্বত্তা
সঙ্গম বাজনা বাজিয়ে
কাকশালা
কুকুরশালা— সব পাঠশালা।
দু’পা উঁচিয়ে ধরেছে কুকুর
আমার কেবলই বৃষ্টিতে ভেজা হয়।

 

চেয়ে থাকলে চোখ লাল হয়

আকাশে জ্বলে উঠল চাইনিজ বাল্ব
আস্তর উঠেপড়া চারদেয়াল
গাদাগাদা কাগজ
রুটি রুজির রুট।
প্রতিদিন আবৃত্তি করি
চেয়ে থাকলে চোখ লাল হয়
চেয়ে থাকলে চোখ লাল হয়।
আলমিরা, কাঠের চেয়ার, অফিশিয়াল ডায়রী
মোরগ ঝুঁটি লাল!
বেশি আলোয় যাদের চোখ ঝলসে গেছে তারা ধনপতি
একটু অন্ধকার রেখো ও আমার
বিশ্বগোলক চোখ।

 

সন্ধ্যা ও অপেরা

ছিলে শাওয়ারের নিচে।টানা জলপতন কোন মানুষ সহ্য করতে পারে না।হৃদয় হাপুস হুপুস করছে।চোখ জ¦লছে রাত জ্বলে উঠলে যেমন লাগে।গতদিন আর গতরাত কতো অবিশ্বাস্য!আয়ুপেরুবার লক্ষ লক্ষ বছর ধরে যারা হারিয়ে হারিয়ে নিরীক্ষা চালিয়েছে চোখের ভেতর; তারাও তোমাকে বুঝেনি সন্ধ্যা।বুঝেনি তোমার গড়ে তোলা অপেরার সমূহ ক্রন্দন।অপেরার ধর্ম বাজনায় সব।বাকি সব নিস্ফল!
কতিপয় সুই ঠিক ফোঁড়ে ফোঁড়ে যায়।সুঁই বিশ্বাস রাখে বুননে, পারফর্ম করতে পারে রঙিন বেদনা।

বাষ্পদানারা অপেক্ষা করো
পরবর্তী আলো জ্বলে উঠবে।

গ্রীণরুম হট্টগোল।

 

বীর্য আর নূর: বায়োলজি বীক্ষণ

“….তার আগে ধারণ করো উদ্ভিদ আর প্রাণীবিজ্ঞান আলাদা করে সর্বনাশ ডেকে আনবে না”
মানুষ মাত্রই চলে, পা থাকলেই চলে… হলে… মলে…
জিজ্ঞাসা করি…
নূর কোথায় ঢালা যায়? কোথায় ঢালতে হয়?
…তার আগে ধারণ করো উদ্ভিদ আর প্রাণীবিজ্ঞান আলাদা করে সর্বনাশ ডেকে আনবে না।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বারোশা ফুট কি তেরোশো ফুট; সবুজ শৃঙ্গে উঠার পর কি যে হয়ে আসে!
লুঙ্গির সাথে প্যাঁচ খাওয়ার পর বূঝলাম…ইউরেকা… ইউরেকা!
আপেলে গাছের আপেল ছাড়া এরকম এক নং জিনিস, এতো ঘনো, টাটকা, সুন্দরবনের মতোন অভিজাত
ঘানি বীর্য!
কার আছে? কাদের আছে? ওহ্! গ্রেট বেরিয়ার… ক্যানেল… হিমাঞ্চল
ধারণা হয়ত মন্দ নয় তোমার তোমাদের
মাঝে মাঝে হালকা পাতলা বিষয় কিরুপে; কেমনে আসে কে বলতে পারে!… ইউরেকা সবাই বলতে পারে? নগ্ন কি সবাই হইতে পারে?
এতোবড়ো পৃষ্ঠদেশ বিস্তৃত আকাশের নিচে; হলুদ ফুল; মরিচফুল; দূরের বাগান
ভুমিষ্ঠ হওয়া সদ্য সূর্য… শিশুর মতোন মুখ আলোকিত হইয়া দুধভাত ঢালতেছে…
গভীর অতল থেকে তুলে আনছে পুরাতন সোনা-দানা… পুরাতন মানুষ… পশুর হাড়গোড়…
থালা বাসন কয়েন…
তবু মানুষ খুঁজে পায় না… বীর্য কোথায় ঢালবে?
এতো ক্ষুদ্র… ন্যানোময়(শুক্রাণূ)… সংঘাতের নূর; নূরের আলো!
স্পাম জগতে ঢাললে সে আমার বীর্য… তোমার স্বত্তার নূর… বোধের বাড়ির পেছনে: বীচিকলার গাছ।
চিচিংফাঁক… নব মুঠোময় বিশ্ব ই-কল্যাণের এক মহা-আবিষ্কার
এক বিরাটকার মূর্তমান আতন্কিত শব্দ “ফাকার, ফাকার” “মাদার ফাকার” অথবা “ফাদার ফাকার”
চরমাকার চরম চিন্তার শব্দ বাসর… জানার বহর…
অর্জনের মানুষ সদা জাগ্রত, হাস্য, লাস্য, ভঙ্গিময়
লাল মাথার নরম স্তুপকার পর্দাথ… জৈবপর্দাথ… রসায়নের ল্যাবরোটরি
চাইয়া আছি… আমাদের জগত কতো সাধনময়, আয়নাময়…
কুয়াশার বুদবুদ উঠে আসতেছে বলকল বলকল করে
সে দৃশায়ন শেষ হয়না, তাকে ছুঁতে হাঁটতেছি শতকের পর শতক… হেলে পড়েছি
উত্তর মেরু; দক্ষিণ মেরু
অথচ সামান্যই যা দেখা যায়, যা একান্ত নিজের… ছালখাওয়া অর্জুন বৃক্ষের রস নয়, বনের লুটকরা মুধু পোকার খাবার নয়…
একেবারে বিশুদ্ধ সবচেয়ে বিশুদ্ধ ঘনতমো একফোঁটা বীর্য… আর এটার নাকি ফেলার জায়গা নাই! মানবের হায়!
হাহাকারের অরণ্যরোদনে ঘুরিছে বহুদিন বহুদিন…
চাপা পড়েছে নিঃশ্বাস; তবু মহলের অন্ধকার, জন্মানোর অন্ধকার দেয়ালে
দেয়ালে ক্ষুদ্র গন্ডি ছেড়ে বেরিয়ে আসা ঘাসের শস্য… মাঠের শস্য… পাহাড়ের শস্য… আকাশের শস্য… বাতাসের শস্য…
এই লহো; এই লহো শস্যদানার কেরামতি; আর কারো না
এক দানা বীর্যের!
জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়া পলি বীর্য হয়ে বিকিরণ ছড়াচ্ছে জলে স্থলে আবহাওয়ায়
মরুর রুহে রুহে…
তোমরা নূর বলে চেঁচাও, ঘানি বলে খাওয়াও নিরাপত্তায় নিরাপদ প্যাকেটজাত ফানাল্লাহ ফানায় ফানায়…
প্রকৃতির বিছানায় ঋতুবতী রাতের বিকীরণে
নগরে শ্রাবণে ভাদে নগ্ন হওয়ার সাহস কি আছে?
তাইলে, কেন বলো এ পৃথিবীর কোথাও একফোঁটা সুখ নাই, শান্তি নাই?
ছাঁটাই করো মগজের অব্যবহৃত ভগ্নাংশ
তোমার… তোমাদের… সামগ্রিক উষ্ণতার
রাষ্ট্র আর দেশতত্ত্বের নিয়ম থেকে অনেক দূর থাকাই হলো নগ্নতা পরম শান্তির কুহকতা
সুধি এন্টারটেইনার… আলো, বাতায়ন বার্তা নয়…
মঞ্চ হলো, বিশ্বমঞ্চ হলো শিল্পস্বত্ত্বার আদি বীর্যফেলার মাঠ
তাইতো সবর্ত্র সরবে ঢালো… রহমে ঢালো… জলকণায় ঢালো
জীববিজ্ঞানের পাঠ:
বৃষ্টির সময় নদীর পানি গরম হলেও জল গরম থাকে না।।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার