পরকিয়া
আমাদের গোড়াপত্তন এইখানে
তাহে চুমো দিই
উদার যুবতি বুক
গাঙতমা
মেঘ-কাতান খুলে খুলে
শুঁকে শুঁকে
আনগ্ন বুকে জড়াই
সুখে ও লজ্জায়… … …
প্রেমের কথা মনে পড়ে
যৌনতার কথা মনে পড়ে
গোড়াপত্তনের কথা মনে পড়ে
সুউষ্ণ পীড়িত বুকে জ্যোৎস্নার তমশা
আমাদের বউরা কামনায় বালিশ হয়েছে সঙ্গি
রাতের খোঁয়ারি মোহে কাঁপছে
আমার পাত্তা গাঙতমা
আমার আত্মা ঢেউ
অবিভাজ্য তৃপ্তিতে
তুলা ওড়া ভঙ্গিতে
অনিবার্য রীতি
শরীর বেঁকে যায়
বাতাসের খাপে ক্রম মোচড়ায় রাত
একদলা কাল
গাঙশাসন
একপশলা আলো
যোনি ভরপুর
জরায়ুতে জালবিস্তার
প্রাণের মতো মাছের উদ্বেল হুটোপুটি
শ্রান্তিতে ঘুমায় পড়ি কত কত রাত
কত কত দেহে জোশবা আসে নোয়ামান্ষের
বৃষ্টিবিনিময়
পুকুরটা কি দিয়েছিল? কিছুটা ডুবমগ্ন সময়; ধ্বনিকে
আড়াল করে স্পর্শমান প্রজাপতি
মাটি আখ্যানের শেষ পাঠ শ্রান্তির বলয়ে
তৃষ্ণা সমাচ্ছন্ন পাতাল পাখি আঁকে রক্তিম প্রজাপতি
প্রজাপতি ওড়ে, পাখিটা কি ভাসে?
না-কি জলে ধোয় বায়বিয় সংসার
অতঃপর ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ রবে মাতোয়ারা থেকে
আবার সমগ্রে যাওয়া
ভালবাসার শেষ শব্দ প্রজাপতিই বুকে রাখে
পাখিটার শুধু মৌসুমি প্রবণতা
২.
পঞ্চাশের উপর চড়ালাম একশ বিশ। অতিশয় ব্যবধানে
বেহাল দশা, চাক্কা পাংচারের যোগাড়। কিন্তু তা কি কভু হয়,
সহে যায়, সহে যায় ‘ঝিনুক নিরবে সহে’
প্রজাপতির মুখ করুণ হোক, পাখিটার বড্ড বাড়াবাড়ি
তারপর পাতা ছিঁড়ে ফুল চুষে গহিন উৎসমুখে
তরতর শিশিরের পাণ্ডুলিপি ক্ষয়
পাহারাদার তরু-নিমা চুপচাপ
দেউড়ির গোঙানি ধারণ করে না বিনিময় পর্ব
‘ত্যাগেই প্রকৃত সুখ, ভোগে নয়!’