জ্যোতি আহমদ’র কবিতা

0

মাধবি ফুটেছে ওই
তারা সব উঠেছে ওই
তুমি কি আমার নও?

ভালবাসা ফুটতে ফুটতে
হাঁড়ির তলায় লাগল

খুব ভোরে
যত সকালে পাখিরা ওঠে না
আমি তখন তোমার অপেক্ষায় থাকলাম
তুমি আস নাই।

যত রাতে সব উন্মাদ ঘুমায়
তখন তোমার জন্য
খুশি আপার গলিতে হাঁটাহাঁটি করলাম
তুমি আস নাই।

তার মানে কি!
নয় মাস তোমার জন্য কি করি নাই।
আমি কি নোংরা দেওয়ালে
মাথা ঠুকে অজ্ঞান হব?

বাতাস ছ্যাঁচা গন্ধে ভারি
জিভের মধ্যে টক
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ লাগে
একটা লোক নাই
শব্দ-টব্দ নাই
এভাবে বাঁচে?

ভালবাসা হাঁড়ির তলায় লেগেছে
তোমার দেওয়া বইপত্রে এখন
মুতে দেই।
আসলে তুমি আমার কেউ নও,
আমার নয় মাস
নষ্ট করলে ইচ্ছা করেই।

পদাতিক

চৈত্রের অহম কার ভালবাসা কেড়ে নিলে?
অন্তিম পাঁজিতে মানুষের দীর্ণতা
ছোঁবেই তো ঠিক ঠিক, তাই বলে-
মানুষ তো বেলোয়ারি কিছু নয়!

কিছু কিছু মহামানবের মতো আমিও তো চাইলুম
হাঙ্গরের পেট থেকে ধবল স্বাধীনতা;
কেবলই খুঁজলুম অন্তঃস্থ মেঘের অন্তরে
কবুতরি স্বরগ্রাম। নাগালে আসি নি কিছুই,
তাই বলে প্রৌঢ় পৃথিবী চুমু কি দিলে না
বৈশাখি রৌদ্রের কপোলে?

মানুষ তো বেলোয়ারি কিছু নয়
যে ভাববে না-নতুন পাঁজিতে
অন্বিষ্ট কিছু পাওয়া যেতে পারে?
আসলে কিছু কিছু মহামানবের মতো
আমিও যে আজন্ম পদাতিক।

ঘোষণা

বিকালে ঘোষণা হল নির্মম
অসুখ বিসুখ ছাড়া বিশেষ
কথা বলা যাবে না একদম।

বাড়ির সামনের গাছ-গাছড়া, গরু-ছাগলের গু
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সাফ সবসুদ্ধ।

ফুল-সার্টের হাতা গুটানো যাবে না কিছুতেই
তবে হাফ-সার্টের কি হবে, জনান্তিকে-
বুঝিব বলিলেই।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার