ব্রাত্যজনের আকরণ ভেঙে হেঁটে যায় শিব
শয়তানের পানপাত্রে জেগে আছে ব্রাউনকালার জীবন
লালসার চোখ তুলে আনে উয়ারি-বটেশ্বর
পূর্ব-পুরুষের বিদ্যাপাঠে জেনেছি
নালন্দার পাতা উল্টে হারিয়েছি প্রত্নগান
সেসব বুঝেনি রমা বাই…
ছেঁড়া-পাতার ইতিহাসে কেটেছে বাল্যশিক্ষা
গণতন্ত্রের ছাদনাতলায় শুধু বিচ্ছিন্ন
স্পার্ক-জ্বলে উঠে নিভে যায় লুইয়ের চোখে
ঔপনিবেশিক বাকশস্য বুঝেনি এ ডিসকোর্স
ব্রাত্যজনের আকরণ ভেঙে হেঁটে যায় শিব
ফরাসি রমণি বগলদাবায়
দ্বিচারিত প্যাডে আসে শাসিত সংস্কৃতি
লর্ড মেকলে-ধ্বংসেই বীজ
দেখা হবে অচেনা কোন বন্দরে…
সভ্যতার নৈবেদ্য
ঝাঁপি ছেপে ছাতি খুলি
নতুন দিন আনব বলে পুরোনো পথে হাঁটি
শেকড়ের ডানা ভালবেসে মধ্যরাতে জাগি
ইথারে সমকালের তানপুরা বাজে
মগ্নতার দ্বৈরথ ছায়াপথে ঠাকুরবাড়ি যায়
তুলসি সভ্যতার মাদুলি গাঁথে যতীন স্যারের ক্লাসে
হরিপদ জানালা ভেঙে ঘুড়ি উড়ায়
চণ্ডালের খিস্তি খেউরিতে পিশাচ হাসে শ্মশানে
অন্তর্দীপন যাবে না মুখাগ্নিতে…
সুবাস্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে লালন আখড়ায় নৈবেদ্য সাজায়।
ক্যাফে বনস্পতি
হৃদয়বৃত্তির স্কুলে অজগর কোজাগরি ক্লাস করে
প্রতিষ্ঠিত বুড়োবট শিক্ষা দেয়। আমিও ছিলাম
কৃপাপ্রার্থি লাস্টবেঞ্চে
জানালার ওপাশে সাঁকো পেরিয়ে গার্লস স্কুল
ঐ জানালায় রোজই হাসে এক কৃষ্ণকুমারি
ওদের পাঠ দিত হরিদাশ; কৃষ্ণকুমারি ছিল হরিজন
বটবৃক্ষ ও হরিজনের পাঠচুকে দু’চোখ এক হল
অরণ্য আশ্রমে। নীপবনে সঁপে দিলাম
হৃদমন্দির প্রণয় উচ্ছ্বাসে। সাম্প্রদায়িক
জাতি-বর্ণের চুক্তি ভেঙে মুক্তির তিলক
আঁকলাম বনস্পতি বিহারে। হরিঠাকুর
চোলাই মদ্য ঢেলে দিলে; বান্ডেল কলোনির
বুকে ভেসে ওঠে সাম্যের পদ্য।
বিনম্র ক্ষত অতল পিঠে শতাব্দির দেয়ালে
শ্লোগান লিখি বিনির্মাণের। দেরি’দা গলির
শেষ ক্যাফেতে কেরুর ছিপি খোলে।
অভিসার
বুড়ো অশ্বত্থের তলে জিনের লাশ ফেলে
বাঁকল খুঁড়ে খোদাই করেছি স্মৃতির ফলক
অনুশির সদ্য গজিয়ে ওঠা তনুর বৃন্ত খুলে
জাগিয়েছি বুকে…
মাধবিলতার শিরাচক্র এঁকে দিলাম কল্পনার পাঁজরে
অনাবৃত পাড় উঁচু করে তুলে দিলে
ওম নিব
ক্লান্ত রাত
বিভোর প্রহর
অষ্টছিদ্রের সুরে ব্যঞ্জনা আঁকি মেঘের পালে
কাব্যলোকে শঙ্কস্বরে হরি ডাকে পদ্মবিলে
রশ্মির রক্ত আল্পনা খোঁজে নীল চাদরে
ভালবাসার তন্দ্রা বিলাসে জ্যোৎস্না জাগে