সাইদ র’মান’র কবিতা

0

ঢেউ

সাদা রং গোটানো অন্ধ মানুষের
পবিত্র সুখ-
সুকার খেলায় আলোর বলগুলো
ফিরে আসে
পিছু হটা বাড়িগুলোর দেয়ালে
ঘর্ষবিদ্যুৎ তোমার সাথে দেখা হল-আবার;
পথগুলো নির্ঘুম করা
ডানলপ টায়ার কখনো কি মনে করে
তোমার আদরদানা সাজানো ঘুমের
নেকলেস।
আমি বাঘ ভালবাসি
ভালবাসি পায়ের পাতা,
অনিদ্র নখের ক্ষুধার কামড়
তুমি হলে ডে-নাইট
যার একদিকে জাগরণ প্রেম অপরাধ
অন্যপাশে পাশবিক ঘুমের আঁধার
ওষুধে হারিয়ে গেছে তোমার শরীরের ভাষা
জালের ফাঁস গলে যারা এপাশে আসে
তাদের অপেক্ষায় ছিল সমুদ্রলবণ

কামড়

তোমার দেশ থেকে বেড়াতে আসা
পাকা/কাঁচা
এই গোলকধাঁধায় মোড়া আপেলগুলো
কামড়ে দিচ্ছিলাম,
কামড়ে দিচ্ছিলাম তার রোদ
পোহাবার ভঙ্গি।
তুমি বলছ ঠাণ্ডা-
আমরা অথবা ওরা
এদিকে রোদ পুড়িয়ে দিচ্ছে
তাঁতে বোনা, চরকায় পাকানো সুতোয়
কাঁচা রংয়ের সারে পচা হাত
কাপড়ের গোলাকার লতিয়ে ওঠা ভাঁজ;
আরো কামড়ে দিচ্ছিলাম
তোমার পায়ের তালু
অথবা হাত
যেন রোদ এসে শুকতে না পারে
বারুদে ভেজা বাঁকানো আঙুল

চকলেট/ওফেয়ার

তোমার জ্বর অথচ আমি পুড়ে যাচ্ছি
ইস্পাতের মতো
ঢালাই লোহা হয়ে তৈরি করব সিমারের চাকু
ও কি জানে
দেবিরা উত্তপ্ত হলে
জনপদ পুড়ে যায়
ফসলের মাঠ-পেশল মায়া
মাছেরা তিন ভাগ হয়ে
আত্মত্যাগ করে
জলদ কাদায়
খনিমুখ ভ্রমণে ক্লান্ত
ডিনামাইট-লাল ও সবুজ

রং

তুমি কি শুনেছ কিছু!
গম ভাঙার শব্দে
মরে যাচ্ছে পুরোনো গাছ
জিভ থেকে লালা ঝরায়
আমি একজনকে মনে রাখি
যে শুধু ভাঙতে জানে জ্যামিতির খেলা
যে শুধু ঘুড়ি এক্সওয়াই মুছে ফেলতে
বার বার ছিঁড়ে যায়
তোমাদের ফুটন্ত জ্যামিতির কাছে
নিয়ম করে যারা পালাতে যায়
নিয়ম করে যারা কাঁটা বাছে, মাছ খায়
ঘর মোছে। ঘায়ের জল
তাদের মেজেন্ডাগুলো
রঙের জোয়ারে
জবা ফুলের কাণ্ড হয়ে যায়

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার