পথকলি কথাদের কথামালা ও অন্যান্য অনুষঙ্গের উপসর্গ
১.
শিবের উত্থিত লিঙ্গ দেখে আমিও কেমন প্রথাবিরোধি উপাসক হয়ে যাই;
হয়ে আর কোথায় যাব-নগরজলেই ভাসি
জলপদ্ম ধ্যানে জলের দেহে যেন মেডিটেশন আঁকি
২.
কঙ্কাবতি নদীর ত্রিভুজে খুলে রাখ সুমসৃণ কাঁচুলি
মৎস্য দেবতারা নিয়ে আসবে সাতনরি হার ফলবতি বৃক্ষের ছায়া কামধেনু গাভি আর ফসলিমাঠ
৩.
দুর্গা তোমার দশটি হাতে
অনেক হাতের ছোঁয়া পাবে
একটি হাত আমায় ছোঁবে
একটি হাত আমার হবে।
৪.
আরো আরো স্বপ্নেরা উড়ে যাবে ইথারে দূরে মহাকাশে
অ-নাব্য নদীরা ভাসাবে সাম্পান কে কার চোখে
৫.
একটি নদী নষ্ট হল কষ্টে কষ্টে চর জাগাল একটি পাখি উড়ে গেল উড়তে উড়তে নীড় হারাল
৬.
জলেরও তরঙ্গ থাকে নিশিতান্তে টেনে গেলে
আ লো রে খা
ভেজামেঘের পরে থাকে যে আরশ তার নাম ভার্জিনিটি
পরাগায়ণের পূর্বে ঘুড়িমনে উড়ে যাচ্ছে যে রেণু তার নাম তাপিত বোধ
৭.
শোক ও সুখের দৃশ্য-অদৃশ্য উভয় রূপই বিপরীত
ফুল কিন্তু ছড়ায় একই সৌরভ সবদিক
৮.
বহুদূর হেঁটে আসা ক্লান্ত পথিক
পাতার মর্মরে বেজে ওঠা প্রবল সংগীত
মাভৈ মাভৈ দিকভুল দিকভুল
ডানা মেলো গাঙচিল চৌদিকে অসীম শূন্যতা, শূন্যতায়…
৯.
কেটে গেলে বিষণ্ন ভোর নেমে আসে আলোর যন্ত্রণা
সান্দ্রআঁধারে জেগে বাঁচি, বাঁচিমরি আমি ও আমার দীর্ঘশ্বাস
বুকের খাঁচায় বন্দি আছে যে উদ্যত যোগিমহাজন
সুবিন্যস্ত খনি এক রেখেছি ক্ষয়িষ্ণুপ্রবণ পাথর আর মানুষের
গহিনকন্দরে হরিত পত্রালি কি শোনে বসন্তের নীলপাখি সংগীত
প্রবাসিবন্ধু দিয়ে গেছে কাঁটা-কাঁটার সাথে কাটছে সারাবেলা
১০.
জ্বলে জ্বলে নিভে যাচ্ছে মধ্যরাতের একাকি নাগরিক ল্যাম্পপোস্ট
সপ্তমুদ্রায় আমরাও বাজাতে চাই রাতমুখি ঝিনুকজীবন
ধারণাতিক্রমে এই বোধ ছায়াশূন্য তবু স্বপ্নের ভাগাড়ে জেগে উঠছে
যমজ দৃশ্য! বিভাবরি মন মিতালি সংহারে খোঁজে জোছনাবতি মায়ার কানন
আত্মমুদ্রণে তাই চেয়েছি মাটিবর্তী জলবর্তী তৃণের জীবন
সখা-সখি মেঘনিবাসি হলে জল ও স্থলেরা উড়ে যাবে দূরমহাকাশে
জন্ম-বংশ খেলা শেষে উড়ে যাবে প্রাত্যহিকের ফ্রয়েডিয় হাওয়া
আমাদের দিনগুলো বড়বেশি বিবর্ণ দীর্ঘখরদাহে
আমাদের রাতগুলো ঢাকা পড়ে আছে দীর্ঘঅন্ধকারে