ছায়ার দৈর্ঘ্যে অসমাপ্ত একাত্তর
চার
কাল
ক্রমশ কাল
কাল পিঁপড়ের পিলপিল… কাল আমাদের কথা…
কথাগুলো-
হিরের খনির খাদগহিনে পাওয়া ভয়ংকর বোমা
ভৌগোলিক সীমা পেরিয়ে বিষ ঢালে তাহাদের লোভি কানে
নাইজেরিয়ার শিশুটির মতো
ট্যারাচোখে তাকায়
হাড় জিরজিরে ভবিষ্যৎ…
অথবা সার্বভৌম ভূমির সম্ভাবনা নিয়ে
মানুষে মানুষে বুনোফুলের সশস্ত্ররেণু
স্পোরগুলো গহিন জঙ্গলে একেকটি ক্ষুদে গেরিলা
অতপর একটি মুক্তিকামি জাতির অগ্রবাহিনি
আর আমাদের সেনাগণ
জাতিসংঘের কনডম হয়ে গিলে সঙ্গম লাভা
আহা! ডগমগ আনন্দ। আহা…
ছয়
ক্যাম্পফায়ারের রাতে সি-বিচে যেভাবে দোল খায়
ক্যাব স্কাউটের শিশুমন
সেইভাবে-
ঊর্মি নামের মেয়েটির বায়না মতো
সমুদ্র মেশে না জাহাজ। জেলে নাও আর উপকূলিয় বন্ধুত্বে
পাড়ে পাড়ে উৎসব আমেজে
মাতে রাষ্ট্রিয় করাত
ধারাল দাঁতে রাতে রাতে নিঃশেষ ঝাউবন…
বেনিয়া
পাতা ঝরিয়ে রাখি ন্যাংটো গাছ-
বনে লেগে থাকুক শীত
গহিনে গভীর শীত-কারও যেতে নেই বনে।
মনে-প্রাণে নদীটাও আমার।
বলি-
মড়করোগে ছোঁয়াচে ভয়… যেতে নেই বনে
রাতগোপনে
বাণিজ্যে উলঙ্গ নদী ও আমি
গাছ নিয়ে নামি সমুদ্রফেনায়
হোক সাদা সাদা নোনতাস্বাদ।
ব্যক্তিগত ঠোঁটে
আরও কিছু ‘আয় আয়’ তালিকা
আমি পাতা ঝরিয়ে রাখি ন্যাংটো গাছ
বাজার
ছিপি খুলতেই হয়
না হয় বোতলটা নিজেই বোমা-
তলপেটে টনটনে ব্যথায়
প্রায় যায় যায় হুঁশ
হাঁফ ছেড়ে কোনো এক দেয়ালকে আড়াল করে
দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপন-মেয়ে
খেয়ে নেয় চোখ
মন
এবং আরো কিছু অতিরিক্ত গরম
ভাঙে মন
একজন তৃপ্তি খোঁজে দীর্ঘায়ুর বাজারে