পাউডার মোজাইক হার্ডওয়ার
মোজাইক হার্ডওয়ার
রাস্তার পাশেই, এক জোড়া পা তুলে দাঁড়িয়ে হাসছে
তার নিচে ইটের গুঁড়ো, অথবা টুকরো টুকরো সুরকি
তারা অবিরাম কাটে সাঁতার, কাল পিচের রাস্তার পাশে।
এই কুয়াশার ভেতরও তাকিয়ে আছে, অব্যর্থ নিশানা।
মেঘবালিকার ক্রুরদৃষ্টি।
মাথার উপর শীতবালিকার কান্না জুড়ানো বাতাস।
মসৃণ অন্ধকারে, ‘পাউডার মোজাইক হার্ডওয়ার’ নামের দোকান।
গুড়গুড় করে কি যেন ডাকে, আওয়াজ তোলে-এই দোকানের
দিকে তাকিয়ে থাকার পর।
প্রতিদিন একইভাবে, অমৃতের স্বাদ, পথওয়াজের শব্দ ভেসে আসে
মাটির তলদেশ থেকে।
এবং মর্তের ওপর টুংটাং করা রিক্সা। হাইড্রোলিক হর্নওয়ালা
ট্রাকগুলো, হাঙরের রূপ নিয়ে চলে দিব্যি।
নিয়তি
রক্তের ভেতর ভীষণভাবে রক্তকণাগুলো
যখন আলোড়ন তোলে
কেমন যেন লাগে
ভোর হওয়ার ইচ্ছে জাগে-সন্ধ্যার পাহাড়, স্তব্ধ কিছু।
একবার হাঁটতে হাঁটতে অথবা দৌড়াতে দৌড়াতে উঁচু
কোনো পাহাড়ের উপত্যকায়ও পৌঁছাতে ইচ্ছে করে।
তখন ভীষণ এই যান্ত্রিকতার মাঝে, অনেক শঠতা।
এবং প্রগলভ রিরংসার ভেতর হোঁচট খাই।
হোঁচট খেতে খেতে পুবে যাই কিংবা পশ্চিমে পাখনাবিহিন ময়ূর।
তখন ভীষণ রক্তকণাগুলো দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে ওঠে
নেতিয়ে পড়ে।
একদল খুনি ও আমি
ধর, একদল মানুষ খুন করতে আসছে আমাকে
ভয়াবহ চোখমুখ, দাঁত খিঁচিয়ে-
হাতে আছে লাঠিসোটা এবং ছোরা
আমি তাদের কাছে এসে দাঁড়িয়ে যাব
হাত বাড়িয়ে থামিয়ে দেব।
ওরা গজরাতে গজরাতে একটু দাঁড়াবে
তৎক্ষণাৎ কিছু বক্তব্য দিতে গিয়ে, আমি বলতে পারি-
ধর্মের কথা, শোনাতে পারি সুরেলা গান
কোন অভিনয়।
তারপর তারা যে, পোশাকবিহিন-উলঙ্গ
সেটা দেখিয়ে দিতেই, আমাকে হঠাৎ খুন করে বসবে।
অলৌকিক আকাশ
রৌদ্রের পিঠে এক সমুদ্র ঢেউ, তোমার হাসি
আর করতলে অ¯পৃশ্য ধোঁয়া, ধোঁয়ার কুণ্ডলি
হেঁটে হেঁটে স্থির হয়ে যায় আমাদের আয়োজন।
অনেক শোরগোল এক বারুদের হাসি-বিদ্যুৎ
অথচ ডিমের কুসুমে তাপ দেয় একশত বক।
আবার তোমার চোখে, ঘুর্ণনরত চাকার খেলা
দেখি এবং এই অন্ধকূপে এক অলৌকিক আকাশ
স্পর্শ করার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে করি কসরত।
অসংখ্য আলোর মতো জ্বলে, হঠাৎ নিভে যাওয়ার মতো
এ রকম জ্বলে-নিভে, নক্ষত্রের প্রেরণা
তারপর হঠাৎ, বিশাল ছায়াপথ হয়ে যায়
কোন এক অন্ধকূপের নিচে।