আই এম টকিং অ্যাবাউট ফুয়েল অয়েল
বিহাইন্ড দ্যা সান:
মাড়াই কলের চাকা ঘুরে ঘুরে আখের মিষ্টি ঘ্রাণটা হঠাৎ হেভি ফুয়েল অয়েলের সাথে মিলে গেলে বুকের আর্তনাদ পাঠ করে বিব্রত মৃত্যু।
ব্রাজিলের মাঠে মাঠে আখ চাষার চোখ এভাবেই কি বিস্ময়ে ছেয়ে যাবে আখের রসগুলো ইউএস টেকনোলজিতে ট্যাংকারে ঢুকে যেতে দেখে!
আজব মাহাজন! সবখানে কেমন তেল তেল গন্ধ পায়।
দ্যা গোল্ড রাশ:
কালের ক্যারামতিতে ডাইনোসারগুলো এখনো গলে যাচ্ছে খনিতে খনিতে। তার উৎসারে ঘরে ঘরে গ্লে¬াবাল আমেজ। মানুষও তো গলে গলে যায় মাটি খুঁড়ে আরও দূরের খনির নিচে। সেই মানুষ, জীবন্ত এক-একটি তেল উৎস, ইউএসএনএস অবজারভেসন আইল্যান্ড ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে আর হোয়াইট হাউজের চোখের সামনে হেটে বেড়াবে তা তো হয় না।
তাই তুই খুব ঘন করে গণকবর খুড়িস বাগদাদে, কাবুলে। কালেরে দেখাস তোর কেরামতি।
একজন রাউল র্যাইস
দেখ, বলিভিয়ার সেই জঙ্গল থেকে কলম্বিয়া কিংবা ইকুয়েডরের জঙ্গলে সেই একই চিত্র। একই প্রাণনাশে আপ্রাণ আক্রমণ ব্যাপ্তজীবনের দৈহিক অস্তিত্বে…
প্রাণ (কারও কারও কাছে আত্মা) নিয়ে অনেক ভিন্নমত থাকলেও জীবন তো জীবনই। তোমাদের আমাদের একচেতনা একজীবন। একজন রাউল র্যাইস একজন আর্নেস্ত্রো চে গুয়েভারা।
বিক্ষত দেহ থেকে সস্বপ্ন জীবনস্রোত বয়ে যেতে যেতে প্রশান্ত আটলান্টিক হয়ে এখন পৌঁছে গেছে সর্বত্র। ইন্টারনেটের তারবেতার হয়ে ঢুকে গেছে ঘরে ঘরে, রক্তের ভিতরে এবং মগজের কোনাকাঞ্চিতে।
সবাই জেনে গেছে আজ: জীবনের কখনো মৃত্যু হয় না। দেখ না! জীবন কেমন প্রস্তুত হচ্ছে পৃথিবীব্যাপি, আগামিব্যাপি।