হাইব্রিড মাত্রা
পৃথিবীর মানুষিরা গায় আগমনি গান
মানুষ ভাবে কর্ষণকথা
জংলা জলায় জ্বলে মিথেন আগুন
আলেয়াকে আলো ভেবে খাদে তলিয়েছে বুদ্ধিজীবী
সামনে এসে শংকায় হাত নাড়ে চতুর্মাত্রিক বর্তমান
স্বেচ্ছাচারে বেড়ে ওঠা মূল্যবোধের সবুজ শেকড়
পচে গলে দাগ হয়ে ওঠে হাইব্রিড মাত্রায়
মানুষের কর্ষণকথা মূলত দায়হীন কাণ্ড
মানুষির গোলা উপচানো শস্যগন্ধ
ভোগে ও সুখে ভারি করে ফসলজীবন
মানুষিরা হাসে ফাঁকা হাসি
শূন্যতার
ফুলস্কেপ স্বাধীনতা
প্লাস্টিক সভ্যতার ম্যানিকিউর মননে
রাতারাতি খ্যাতি পায় অপটিক্যাল বোধ
ফাইবার নির্লিপ্তি থিতু হয় বিভেদের জারক রসে
নিঃশঙ্ক দানবের একাকিত্বের হাহাকার
ভারি করে সিস-গালা আকাশ
চতুর্মাত্রিক চেতনার কোটরে কোটরে
হিরে দ্যুতি জ্বলে বিরুদ্ধ বর্তমান
আকাশ উল্টে গেলেও গ্রহনক্ষত্রের উল্টোপিঠ দেখি না
বর্তুলাকার বস্তুপিণ্ড সবদিকেই সমান দৃশ্যমান।
এতখানি প্রগ্রেসিভ মুডেও
ফুলস্কেপ স্বাধীনতা নিমজ্জিত অদৃশ্য কুহকে।
শোকগীতিকার পরের স্তব্ধতা
মুখোমুখি হেঁটে চলা নুড়ি শামুক
নশ্বরতার কথকতা লেখে খোলস বদলে
কোকিলের কামস্বর ছোঁয় নির্জীব পরিপার্শ্ব
খনন
কবর ছাড়িয়ে মস্তিষ্কের কোষে কোষে
থোকা থোকা একাকিত্ব নিরব আকাশে
মুহূর্তের চেনা পাহাড় চূড়োয়
শূন্যতার ভারি মেঘ
ঘন হয়ে আসে কাঁটার বন্দনা
শোকগীতিকার পরের স্তব্ধতা ছড়ায় সফলতার বাঁকে বাঁকে
সংগুপ্ত নিরুপায়গুলো
কতখানি স্মিত পাপ ছুঁয়েছিল বিষণœ চিবুক
সময়ের অন্ধকারে ভেসেছিল
মোটা মোটা শোকদানা
সহানুভূতির পাঁপড়ি খসে পড়েছিল পায়ের নিচে
সংগুপ্ত নিরুপায়গুলো করতালিরত নৈর্ঋত গ্রহণে
সুখবোধ ছুঁয়ে জমে প্রাত্যহিকি-মলিন শ্যাওলা
একটু বৃষ্টি হোক একান্ত যাপনে
কচিপাতা থেকে কিছুটা আর্দ্রতা ধার নেব
প্রস্তাবিত কোমল অপমানবোধ
এবছরই মাঘের শেষাশেষি
বিস্মৃতির মুদ্রায় কেনা ভ্রম সকল
হলুদ আলো ছড়িয়ে ছিল
বসন্তের সজিব উঠোনে
বৌরির সুনীল ডানায় গাঁথা ছিল
কোমল অপমানবোধ
এরপরও প্রতিটি ধুলোমাখা দিনে
ভেঙে পড়ে অনিবার্র্য প্রাত্যহিকি
পাঠ করে গোছানো ভাবনাসমূহ
এলোমেলো নিয়তির টানে
লাভের খুচরা তালুতে ধরে দেখি
চোখের লবণে ভীষণ ভেজা