শিকার ও শিকারির গল্প
একটা বাঘের ছায়া আমাকে চোখে চোখে রাখে
দিন গোণে
আপাতত সমান্তরাল চলা
উড়াচ্ছি দিন সাদা সুতোয়
জমছে পাতা
মৃত তারা
জমছে চোখ
টলমল জল
ছড়ানো ছিটানো আগুন
শীত এলে আসুক
দু’একবার কুড়াতে গেছি
শীতবিকেলের রোদ
অনেক ঘরে গেছে উষ্ণ রাত
আমার ঘরে মরা প্রজাপতি ডানার রঙ
আমার পছন্দপথে
শিকারি বাঘ একদিন আয়ত্তে পাবে
আমাকে
আমি তারা গুণতে থাকব
পথে-ছায়াপথে
নিঃসঙ্গচৌচালা বাড়ির অনুরাগ
মাঘিজ্যোৎস্নায় সাতপৌরে নিবাসের সব আয়োজন শেষ হলে দেয়াল ও বৃক্ষছায়া মধ্যাহ্ন দখল করে। প্রত্নগন্ধময় উষ্ণচিত্রকল্প প্রদর্শনীতে নড়ে ওঠে মানুষ পরিচিত অভ্যাসাচনে– গম্গম্ স্বরের হাসি খেলা-ঘর-আসবাবাদি-সমূহকল্লোল যায় চাঁদ ছাড়িয়ে। কুয়াশাকালে প্রাচিন সুষমাচিহ্ন খুঁজে বিলপাড়ে-সিমফুলের চোখে চোখ রেখে যারা যায় নিঃসঙ্গ চৌচালা বাড়ির সাথে তাদের অনুরাগ।
রূপনগররে কাব্য
১.
মধ্যাহ্নরাতে দ্রুতযান ভাঙে আন্ধারপাহাড় তোমার উদ্দেশ্যে কিংবা আর কারণে।
তোমার দেশে রূপমেলা বসে জলপাড়ে?
সকল নিশিতারা শুনেছে র্পূব-প্রস্তুতির নিঃসঙ্গমগ্নউচ্চারণ-দূরসমুদ্র ছাড়িয়ে
তোমার কাছে যেতে চেনা পৃথ্বীপ্রান্তর ছাড়িয়ে যাই।
ভিনপথে ছড়ানো রূপোলিসুখস্বপ্নমুদ্রা
উষ্ণহাওয়ায় পঙ্খিরাজঅশ্বপিঠে র্আযকুমার
কূল-নদী উপবন বসতাঞ্চল ফেলে-
যেন আর কোথাও যাওয়ার নেই-
এ জন্মকোলাহলরাজ্যে-
কুমারিবধূর চোখের সীমানা ছাড়া।
২.
মেঘবতি কন্যা-
রক্তর্বণ পুরুষ আমি
এখানে সঙ সাজা, এখানে লোহার গরাদ
আমাদের মজা দেখে প্রাচিনপুরুষ।
আমাদরে অকপট চোখ
শরীর না জানে ছল
হোক অন্ধের মতো
কলসির ভরা জলে তিয়াসাশ্রয়।
দখিনালি হাওয়ার পোক্ত লগন ফেলে-
আজ তোমার অবোধ যাওয়া
সুরম্য কাল যাবে কাল
উঁচুতে দেখ
এ গল্পরাজ্যের মানে
আমাদরে গন্তব্য পালতোলা আকাশরে নিচে
সুতরাং দাবা, অন্ধকানামাছি যাই হোক, এসো।