ঘুড়ি খেলা
লাটাইচ্যুত কখনো হইনি আমি
মেঘবতি, শুধু ঘুড়িটাকে ওই মেঘসংসারে পাঠাবে বলে
লাটাইয়ের সবটুকু সুতো
ছাড়তে
ছাড়তে
ছাড়তে…
ঘুড়িটাই অস্ত গেল তোমার চোখে—
এই ঘোর সন্ধ্যায় পুনরায় কতটা সুতা গুটাবে তুমি।
জীবনের পেছনে মৃত্যু দাঁড়ানো
যে দুর্নিবার অমানিশায় বাবা গর্বধারণ করেছিল
আমার ছিল তখন আজন্ম শৈশব
মেঘকন্যা পাঠশালায় যৌবনকলা শিখতে গিয়ে
সমাজের জরায়ুতে ছড়ানো দেখেছি অহং-এর ভ্রুণ।
গর্বধারি বাবা, আমার বয়সি মগজে কোনো বীজ পুঁতে যাবার আগেই
চলে যান দীর্ঘপরবাসে—
নিরক্ষর পণ্ডিতের মতো ততদিনে আমি শিখে ফেলেছিলাম
স্বপ্নবাজ ‘মানুষে’র প্রত্নকলা— জেনে ফেলেছিলাম রক্তকোষের চুপকথা।
ফল না জেনে মাটিতে পুঁতে না কেউ বৃক্ষচারা
তবুও এক-আধ জন যারা গন্তব্য না জেনেই
স্রোতের প্রতিকূলে ডোঙা ভাসায়
কিংবা
নিছক ভাল লাগার ভালবাসায় ডোবায় স্বপ্নথিতু।
ভ্রুণ বুনে বুনে মানুষের সভ্যতাবিকাশ
তবুও জানে না মানুষ—
জীবনের পেছনে মৃত্যু দাঁড়ানো
স্বপ্নের পেছনে ভয়।