সংগ্রাম মিথিকা
নেতিগুলো ইতিগুলো সব পরস্পর ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
ভাগ হয়ে মহাদেশ পার হয়ে
ক্রুশের সমদ্বিবাহু বিভাজনি স্কেচের
মতো দূরবর্তী হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। প্রান্তর
পোড়া গন্ধ; স্যাতস্যাতে আত্মচরিত্রহীন
ধোয়ার ল্যাজে ঢেকে গেছে ছবিটা।
ক্রমে নাম ওঠে প্রাচি, প্রতিচি কিংবা
আরও অনেক কিছু। এখানে না
সর্বদা। শোভন শর্করা সব ওখানে?
দৃ.ক (তিনজন)
মশারির ভিতরে এক আলোপোকার কাব্যগ্রন্থিক
ফসিল জ্বলে, নীল নক্ষত্রের
আরও নীল মাথা ঝুলিয়েছে সে
নিরীশ্বর নেকলেটে; নিচে ঢেউ অতো ঢেউ
জলবৎ তরলং, কাল ফিতার
ওড়াওড়ির ফাঁকে ফাঁকে ঝিনুক গেরিলার
সাদা শূন্য স্থান—আরও এক পোকা—
মশা নাম, উপজাতির ছেলে,
রাঢ়াং বাজায় ভাল, মহিষ সওয়ারে চলে—
হাতকাটা লাল জামা পরে
সেও আজ অর্ঘ্য জানাচ্ছে
মশারিকে, আর আমি বহু
প্রাগ যুগে নিখোঁজ হওয়া একখণ্ড
বিগ্রহের নির্ঝর
পরিণত হয়েছি শৈবালফুলে
ছাওয়া পাঠশালা পলায়িত বরফের দেয়ালে।
কথা অনেক জমে গেলে
কথা অনেক জমে গেলে একটা বই
লেখা হয় আর আমাদের কথাগুলোকে
তো আমরা পাঠিয়ে দিই সামান্য ছুটির
অবকাশে ছোট পাহাড়ের শহরে কোনো
এক দলের সাথে ছবি আঁকতে। ব্যান্ডেজের
নলাকার গহ্বরে পরস্পরের দিকে পা
দিয়ে ঘুমিয়ে আছে দু’টো স্টিডলার
পেন্সিল। শিশিরে তাদের দেহে জলরঙের
মেঘ কেবল বাড়ছে। অথচ এ চতুর্ভুজ
সৌম্যতার রাত্রি বক্সগুলোকে ছোট করে
ক্রমাগত নিজেই একসময় লালবৃত্ত হয়ে
নিজেকে দেবে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বক্সকে।
কাউকে হত্যা করতে হলে নিজেকেও
আত্মহত্যা করতে হয়, তার সময়ে।
হৃদয়ের টানে দু’টো গোলার্ধই আমরা
ফুটো করি পাখি এবং প্লাসের
সংকর দেহে। টং বাধা কোনো ঘরে
কান্নার শব্দ নেই, আজ শীতলতম
রাত, যেখানেই থাকুক কুকুর ও
মানুষেরা জানে— পথে ক্ষেতে বরফগুলো
দেখতে মেগাসাইজের মাছের মতো—
তাদের পশমি অস্তিত্ব নশ্বর। আর
নশ্বর টানে পরবর্তী নশ্বরগুলোকে।
পরিবর্তন চাইলে পরিবর্তিত হতে হবে।
দৃ.ক (দুইজন)
পৃষ্ঠা জুড়ে আমিই আছি। প্রায় বুনোপথের
বৃষ্টি জুড়ে আমি। নিসর্গ একমুঠো প্রবাল
আমার কাছে। ভেঙে তাই কম্পোজিশনে
কাজে লাগাই। আকাশে সমুদ্রে গঠন দ্রুত
বর্ণ ও শব্দের বিস্ফোরকশৈলি ছড়াচ্ছে। পর্বতঘেরা
গ্রিনরুমে জানকি পৃথিবীর অনুস্বারের
মতো লম্বা ব্যথা। আর আমি
নিজেকে জানি বলে গ্রন্থপাঠ অস্বীকার করছি।