স্বপঞ্জয় চৌধুরী’র কবিতা

0

অক্ষরে আঁকি ফুল

প্রাচীন লিপি দেখে দেখে
আমি পৌছে যাই
গ্রীক, ভারত, ল্যাটিন আর আফ্রিকান সভ্যতায়।
বিশাল মরু থেকে বে অব বেঙ্গল
প্রকাণ্ড ড্রাগণ থেকে ক্ষুদ্র পঙ্গপাল
সবই আমি দেখে ফেলি অক্ষরে অক্ষরে
আমার আদিম নিবাস প্রপিতামহের গুপ্ত সরঞ্জাম
লুকিয়ে আছে জটিল শ্লোকের মারপ্যাচে।
আমি তাকে খুঁজে বেড়াই অক্ষরে অক্ষরে
সিন্ধু থেকে মরু অবদি
উত্তর থেকে পশ্চিমে
জল থেকে পাহাড়ে
কোথাও পায়নি আমি তার আদিম স্বাক্ষর
অবশেষে মায়ের ভাষা নিয়ে ফিরে আসি
নিজের পরিচয় জানা হলে
অক্ষরে অক্ষরে আঁকি ফুল।

জন্মসনদ

এইমাত্র যে শিশুটি জন্ম নিল
তার জন্যে ভীনগ্রহে তৈরি হচ্ছে জন্মসনদ
এই বিষবাষ্পের শীষাময় পৃথিবীতে
তার সকল নথি ঝলসে যাবে সময়ের আবর্ত্তে।
তার ছায়া মেপে মেপে বৃক্ষ মহীরুহ হয়
আদিম সভ্যতা মুছে গিয়ে শুরু হয় যান্ত্রিক সভ্যতা
নদী তার কলকল ধ্বনি থামিয়ে প্রবাহিত হয় সাগরে
যেদিকে দুচোখ যায় কেবল ধুম্রলিপি দেখি
চিরতুষার এর উপর বসে শ্বেত ভল্লুক ভেসে থাকে
বরফ খন্ডে, পেঙ্গুইন ছানাগুলো ক্রমশ আকৃতি বদলাচ্ছে
পৃথিবী হারাচ্ছে তার মাধ্যাকর্ষণ
মানুষ হারাচ্ছে স্নেহশীল স্রোত
এ এক বিবর্ত্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
তাই আজ থেকে সব শিশু এই অসীম গ্যালাক্সির।

একবিংশ শতাব্দীর তুমি আমি

এই একবিংশ শতাব্দীতে
মানুষ সব কিছু স্বাভাবিকভাবে মেনে নিবে
যেমন প্রিয়জনের লাশ কবরে শুইয়ে এসে
চুপচাপ ঘরের এনার্জ্জি বাল্বখানা নিভিয়ে
ঘুমিয়ে পড়বে তুমি।
যেন কিছু হয়নি সবকিছু ঠিকঠাক
তোমার বুকের ভেতর একটুখানি ঠাঁই হবে কি?
তুমি নিজেকে নিয়েই পড়ে থাকবে
সময়ের আস্তাকুড়ে।
তোমার চোখের সামনে একুরিয়াম-এর
লাল হলুদ মাছগুলো বুদবুদি ছাড়তে ছাড়তে
নিস্তেজ হবে; তুমি নতুন মাছের যোগান দিবে
তোমার চোখের সামনে মহামারিতে
ধুকে ধুকে মরবে বউ, বাচ্চা, পিতা, মাতা
নতুন সম্পর্ককে খুঁজে নিবে
যেন তা হবারই ছিল।
তুমি এক শুষ্ক নদী হবে
যার কোন জল নেই,
তুমি এক পত্রশুন্য বৃক্ষ হবে
যার কোন ছায়া নেই।

বোধিবৃক্ষ

গাছের সাথে সাইনবোর্ডে লেখা : ‘এটি বোধিবৃক্ষ
এর নিচে বসবেন না এটি আপনাকে সংসার বিরাগী ও সন্যাসী করে তুলবে।’
জানি না তুমি এ লেখাটি দেখেছ কিনা যদি না দেখে থাক তবে কেন
বুকের ভেতর বোধি বৃক্ষের ছবি আঁক।
আমার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে যেতে এত দূরে চলে গেছ
হয়ত ঈশ্বরেরও নৈকট্য পাওয়া যাবে তোমার নয়;
তুমি বুদ্ধানুরাগী নও, সন্যাসী নও তবে কেন সংস্পর্শে তোমার ভয়
তবে কেন তুমি নিজের আড়াল কর, বঞ্চিত কর ডুবে থাক দ্বিধার সাগরে।
তুমি কী এক অস্বাভাবিক বিকলাঙ্গতায় সব কিছু পেতে চাও নিজের মত করে।
নিজেকে নিয়ে থাকতে থাকতে তুমি নিজের সত্ত্বা থেকে পৃথক হয়ে গেছো
কৃত্রিম অশরিরী তুমি নও তবে কেন নিজেকে লুকিয়ে রাখো ব্যবধানে পারিসংখ্যানিক হিসেবে; ভালোবাসার কোন সময় নেই
রাত, দিন, সকাল, প্রহর, দ্বিপ্রহর কিংবা শ্বাসচূত্য নিথর শরীরে এঁকে দিতে পার
তোমার ভালবাসার শেষ চুম্বন; তোমার কাছে রাত্রি মানেই অন্ধকার আর ঘুমের প্রহর
আমার কাছে রাত্রি মানে কত কথা বলা না বলার প্রহর দ্বিধাহীন সময় অফুরান;
কাঁধে মাথা রেখে কফিতে দেয়া চুমুক, কফির মগে লেগে থাকা তোমার খয়েরি লিপস্টিক আর যতো ব্রাণ্ডের সুগন্ধি আছে তার ঘ্রাণ শুকে শুকে ঘরে বাগান ডেকে আনা।
তোমার কাছে দিন মানে কাচের দেয়ালের ভিতর নিজেকে বন্দি রাখা, কৃত্রিম হাসিমুখে নিজেকে জাহির করা, আমার কাছে দিন মানে আলো আর আঁধারের সংগম ঝলমলে রোদে নিজের মুখটি দেখা আর তার পাশে তোমার সরল হাসি।
আমাদের দূরত্ব ও নৈকট্য বরাবর আজীবন বেড়ে চলেছে এক সংসার বিরাগী বোধিবৃক্ষ।

মহামান্য অধিপতি

সহস্র গ্যালাক্সির ওপারে
যেখানে কোন প্রাণী পারেনি পৌছতে এখনো
তবে আত্মা ও আলো পেরেছে পৌছাতে
সেখানে আত্মার সাথে দেহ জুড়ে দিয়ে
চলছে বিচার কার্য্য
সমুখে মহাশূন্য তার সামনে
একটি থালাকৃতির চৌম্বক মাঠ
ঘাস নেই, জল নেই আছে শুষ্ক খড়গ আলো
প্রথমেই জলসা মাতাতে আসছেন কুকুর শ্রেণী
মহামান্য অধিপতি আমি পথে পথে ঘুরি
ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে উচ্ছিষ্ট খাই
ক্ষুদ পিপাসায় কখনোবা
আদম মখলুকাত এর দরজায় মুখ ভিড়াই
কখনো পাই চেলার বাড়ি কখনো বাসি রুটি
আমাকে নিয়ে চীন দেশে উৎসব চলে
আমার জ্যান্ত বাকল ছাড়িয়ে
ওরা মেতে ওঠে তৃপ্ত আহারে
আমার আর্তভাষা বুঝেছিল চাঁদ
তাই সে লজ্জায় লুকিয়েছিল তার কুসুম আলো।
মহামান্য অধিপতি আমি জোনাক
আমার পশ্চাৎদেশে আলো জ্বলে
সেই আলোতে জল খায় বুনো হরিণ
আমি সারারাত বসে বসে সাপের সংগম দেখি
তারাদের মিটিমিটি হাসি দেখি
তারপর ধোয়ার ভেতর নিজের ধ্বংস দেখি
মহামান্য আমি পক্ষী
পৃথিবীর সব বৃক্ষ আমার দেশ
আমি মেঘের ওপর ভেসে ভেসে নেই দীর্ঘশ্বাস
প্রবীণ ফলেরা সব আমার আহার
ধীবরের জাল টানা শেষ হলে আমিও চাতক
চোখে চেয়ে দেখি রূপোলী আঁশের ছবি
আজ বৃক্ষ নাই দাবানলে ওরে কুটিরের ভস্ম।
মমহামান্য আমি নিম্নবর্গীয় আদম
আগে জংগলে ছিলাম এখন লোকালয়ে
আমার একশ্রেণী আজীবন দস্যু রয়ে গেল
ছলে বলে এরা ছোঁয় আকাশের প্রদীপ
আর আমরা বুনো ঘাসফুল হাতে নিয়ে
হাওয়াই মিঠাই খাই।
আমাদের কৃষবরণ দেহে জোঁকের মতো যে
দাগ দেখতে পাচ্ছেন এ হল ইতিহাসের বর্ণমালা
আমি শস্য ফলাই আমার দেহ থেকে ঝরে নোনাবৃষ্টি
ভাংগা বেড়ার ফোকর দিয়ে ঢোকে ঝড়ের পূর্ব্বাভাস
আর দস্যুরা অশ্ব বোঝাই করে নিয়ে যায় অর্থবহ কাগজ
তারা যখন কাঁচের ঘরে বসে লেখে সভ্যতার কথা
আমরা তখন বেগুনি আলো গায়ে মেখে সভ্যতা গড়ি
আমদের অন্ন নাই, জোড়াতালি দিয়ে চলি মাটির ভূষণ
রোগে পতিত হলে খাই হরতকীর রস।
তারা যখন মটর ছুটিয়ে ছুটে যায় অবকাশে
আমরা তখন গোধূলির আলো মেপে মেপে লেপি উঠানের পিঠ
আমদের নিথর দেহ চিরে আঁকিবুঁকি করে তরুণ ওঝা
খুঁজে পায় নতুন দিশা
আমরা যখন লোহা পিটিয়ে গড়ি লাঙলের ফলা
ওরা তখন কারখানায় বোনে বারুদের বীজ,
দিকে দিকে করতালি আর আলোর ফানুশ
আমরা থাকি জলচোকির নীচে কানে আংগুল দিয়ে
আমার শিশুরা একটা শুকনো রূটির জন্য
চেয়ে থাকে চাতকের মত মায়াময় চোখে
তাদের নিথর আংগুল চির জাগ্রত রবে মহামান্য।
আজ মহাবিচারের মাঠে আপনার কাছে আর্জ্জি।
দিকে দিকে দস্যুর ঘোড়া আর দানবের হুংকার।
মহাবিশ্বে থমথমে ভাব মহামান্য বিচারক পড়ে শোনাবেন রায়:
আজ থেকে সমগ্র পৃথিবীতে বিরাজ করবে এক
অদৃশ্য মহামারি, যাকে চোখে দেখা যাবে না কিন্তু
যার ভয় তাড়া করবে তোমাদের আমৃত্যু।
দস্যুর ঘোড়া ক্লান্ত সে আটছে নতুন ফন্দি
ওহে বোকা দস্যু আজ তুই মৃত্যুর হাতে বন্দী

বালিশ কিংবা শিমুল ফুল

শিমুলের বনে গিয়ে
দুপায়ে মেখে নিয়ে এসেছি রক্তিম লাল
দুপাশে ছড়ানো ছিটানো শিমুলের কাচা রঙ
পাখির ঠোটের মতো তীক্ষ্ণতা নিয়ে
সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে আলো যেনবা
রাজকীয় মজলিসে বিছিয়ে রেখেছে
লাল জবার মতো মখমল কার্পেট।
আমি ভুল রাজা সেজে পাখির গান শুনি
প্রহর ভেঙে ভেঙে মাপি মেঘের ওজন।
আকাশকে পোট্রেট বানিয়ে এঁকে ফেলি
জলরঙ শোভিত শিমুলের মুখ।
বালিশে কান পাতলে শুনি কুহকের ডাক
শিমুলের পাপড়িগুলো ঝরে পড়ে চোখের পাতায়
অতঃপর জ্যামিতিক বর্গে মুড়ে রাখি মেঘের শরীর।

মুখোশ

মানুষ আঁকতে পারিনি কখনো
এঁকেছি তার চিন্তামগ্ন মুখোশ
আঁকতে পারিনি তার বিরহগাঁথা, হাসিমুখ, উল্লাস
চিরদিন এঁকে গেলাম তার অবিচ্ছিন্ন খোলস।
কত প্রহর আসে যায় বিভ্রান্তির ছলে
কত কথা বলা হয় না বলা ভাষায়
কত শব্দ গাঁথা হয় কবিতার মিথে
তবুও অলেখা থেকে যায় তার বুকের বেদন।
তোমাদের এই আলো ছায়া নগরে
প্রতিদিন কত পা, কত মুখ স্বপ্ন ছবি আঁকে
তার ভেতর থেকে বেছে নাও পরিচিত মুখ
আসলেই সেকি পরিচিত নাকি তার মুখোশ।
মুখ ও মুখোশগুলো এক হলে সব
মৃত্তিকার প্রহর গলে আঁকবো তোমায়
যেনবা তোমার ভেতর আমার
মুখোশ আঁকতে পারি।

ভাঙনের গান

এখনো গভীর রাতে বুকের ভিতর
জেগে ওঠে প্রমত্তা নদী
হালানের দু’যুগ বয়সী খেজুর গাছ
আর তার কুটিরের বুনন
সাপের মতো গিলে খায় আড়িয়াল খাঁ
তার ছোট ছেলে নদীর দিকে তাকিয়ে
এখনো খুঁজে ফেরে ঘরের মানচিত্র
তার ঘর এখন মাছেদের অভয়ারন্য।
সহসা নদীর বুকে প্রসবিনীর মতো
ফুলে ফেপে জেগে ওঠে চরের শরীর,
হালানের বৌয়ের চোখে গাঙচিলের আমোদ
যেন উড়ে গিয়ে পেতে নিবে গোপন সংসার।
নিশাচর মেঘের মতো ঢেউ এসে গ্রাস করে চর
আকাশে পেতেছি ঘর রঙলাগা নায়ের উপর চেপে
ভাসি আর তারা গুনি জীবনের স্রোতে।
এখনো তাই শেষ রাতে আজানের ডাক শুনে
ঘুম ভেঙে দেখি নদীর জলের ভেতর ঘরের ছবি।
ঢোল কলমির ফুলে ফুলে ছেয়ে দিব চর
বালুর বুক চিড়ে চষবো বাদামের বীজ
আরো কতো স্বপ্নের নকশা আঁকে প্রত্যহ।
হালান এখন পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ
এখনো প্রতিরাতে তার বুকের ভেতর
বেজে ওঠে ভাঙনের গান।

করোনাদিনের কাব্য-জয়তুন

জয়তুন শুনলাম দ্যাশে মড়ক ধরছে
জামতলির মোড়ে গেলাম
দারোগা বাবু কইল ঘরে থাহো
মজু সওদাগরের কাছে যাইয়া কাম চাইলাম
কইলো ঘরে থাহো
লাল ঠোঁট করা ওই ব্যাংক দিদির
কাছে পঞ্চাশটা টেহা চাইছিলাম
কইলো ঘরে থাহো
বাইচ্যা থাকলে অনেক খাইতে পারবা।
জয়তুন আমার ঘরডা কুনহানে
ইট্টু দেহাইয়া দে আমি ঘরে থাকুম
জয়তুনের মুখে জবাব নেই
আছে বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে
দেখা বৃথা আস্ফালন।
হয়তো জয়তুন বলতে চায়—
ওই যে আসমান,
এই পিচঢালা পথের উপরে
আসা ঠাডাপড়া রোউদ,
নীল গাং ভাইংগা আসা
সর্বনাইস্যা ঢেউ,
এই দুনিয়ার যত গাছ গাছালি
বেবাগ তোমার ঘর বাজান।
তুমি আর রিফিলের লাইনে
তিন ফুট দূরে খাড়াইয়া খালি
হাতে ফিরা আইসোনা বাপজান
ঘরে থাহো,
বাঁচলে অনেক খাইতে পারবা
দ্যাশে মড়ক নামছে।
রাইতের আন্ধারে যহন কিলবিলাইয়া
মরা আলোগুলান জ্বলজ্বল করে
ওই ভাংগা ডাস্টবিনডার কাছে
তহন ওই হাভাইত্যা কুত্তার লগে
আমিও যাই খাওন খুঁজতে
তোমার কোনো চিন্তা নাই বাজান
ঘরে থাহো দ্যাশে মড়ক নামছে।

বিকল বিহ্বলতা

বিকল ট্রেনের শকটে পড়েছে মরচে
শালিকের আনাগোনা তার কম্পাউন্ড জুড়ে
ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক জলত্যাগ করে তার বিকল শৌচালয়ে
কয়েক টুকরো পাথরের নুড়ি পড়ে আছে লোহা সেজে।
রাত্রিবেলায় কয়েকজন মাদকসেবি মদ আর প্রমোদিনী নিয়ে
মেতে ওঠে এর বিকল দেহে
শূন্যতার ভেতর থেকে ভেসে আসে কুউউ ঝিকঝিক
অত:পর আধারের অবসান হলে
প্রমোদিনী চোখ মেলে তাকায়
মদের গন্ধ মেখে ঘুমিয়ে থাকে মাতাল
ভোরের আলো ডেকে আনে শালিকের ঝাঁক
আমি অবাক হয়ে দেখি তার বিকল বিহ্বলতা।

জলজ স্বপ্নের উপাখ্যান

রোদের ঝিমুনি শেষে নতজানু বঙ্গোপসাগরে
ওঠে গোখরোর হাসফাস
ডুবে যাওয়া জাহাজের ভেতর থেকে
রঙিন মাছগুলো ছুটে চলে নিপুন শৃংখলতায়
সমুদ্র বৃক্ষের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে প্রকাণ্ড হাঙ্গর
অজানা স্বপ্নে বিভোর গোল্ডফিস আরো যত মাছেদের স্বজন ;
প্রলয়ের আভাস শুনে ছুটে যায় জাহাজের গুহায়
নতুন ডিমছাড়া স্টারফিস চলে যেতে পারেনি
রেনুর শৃংখল ছেড়ে,
ইলেক্ট্রিক বিকিরণ জলে ছড়ায় স্বপ্নের বিক্রিয়া
জোয়ারে ভেসে আসে হাঙ্গরের শব
বাজ পাখি ছিড়ে খায় তার নরম মাংসখণ্ড
অবশেষে একথাই দিকে দিকে ধ্বনিত হয়
বিকটের বিনাশ হয় আজীবন
টিকে থাকে ক্ষুদ্রের জলজ স্বপ্নের উপাখ্যান।

16298667_1738658519493715_3909974777755761904_nস্বপঞ্জয় চৌধুরী।
জন্ম ১৯৮৪ সালে ৬ জুন। বর্ত্তমানে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে সাউথ পয়েন্ট কলেজে কর্ম্মরত আছেন। ইতিপূর্ব্বে কাজ করেছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ্যসিসট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর পদে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় খন্ডকালীণ সাংবাদিকতা ও সম্পাদনার কাজে বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্ম্মরত ছিলেন। কবিতার পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ, ছড়া, চিত্রনাট্য, অনুবাদ, গানসহ সাহিত্যের সকল শাখায় রয়েছে তার পদচারণা।
প্রকাশিত গ্রন্থ—
কাব্য : পতঙ্গ বিলাসী রাষ্ট্রপ্রেম (২০১১, সাহিত্যদেশ প্রকাশনী)
গল্প : জলপিপিদের বসতবাড়ি (২০১৩, পূর্বা প্রকাশনী)
কাব্য : কালযাত্রার স্নিগ্ধ ফসিল (২০১৬, শব্দসাঁকো, কলকাতা)
কাব্য : দ্রোহ কিংবা পোড়ো নদীর স্রোত(২০১৮- চৈতন্য প্রকাশনী),
কিশোর কাব্য : মায়ের মতো পরি (২০২০, অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনী)।
মোবাইল:০১৬৮২৭৪৪৬৩৮।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার