বাবা
একঝাঁক রঙীন মাছ আর ক’জন ডুবুরি নিয়ে বাবা হঠাৎ হারিয়ে যান।
সেই থেকে মা দিনরাত পুকুর ঘাটে বসে থাকে জল নড়তেই বলে—
তোর আব্বা গায়েবি জানে, হুট করে একদিন ফিরে আসবে দেখিস।
আমি দেখতে থাকি গণিকার ঘাঘরার মত সময় খসে পড়ে,
মায়ের কবরের কোল ভিজে সমুদ্রের মত হয়
একটা রথের ঘোড়া ক্রমশ গন্তব্যে ছোটে, বাবা ফিরে না কোনদিন।
সন্তরণকৌশল
মানুষ শিখবে সন্তরণকৌশল অথবা কিছুই না
পেট পূজো করে যারা ফিরবে তাদের আস্তিন জুড়ে
প্রগাঢ় ধূলো জমবে,
মানস সদৃশ্য সকল গিলে খাবে সমুদ্র…
সমুদ্র— মূলত বেশ্যা, গাঙচিলগুলো কবে মিশে গেছে জলে
তবু কাকে যেন সে দেখতে পায় উড়ে!
পিঙ্গল গন্ধম
আদিতে নিশিথ বেশ্যা সাজিয়ে রাখি তারপর পিঙ্গল গন্ধম
চতুর মানুষ এমিলিয়া বেঁচে নেয়!
আত্নঝিলিকের পথে পড়ে থাকা বিধ্বস্ত বটবৃক্ষ স্বয়ং আয়না হয়ে উঠে।
আয়নার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়—
দেখি সম্পূর্ণ এক রবিবার আত্নহত্যা উদ্যাপন করে,
দূরে উবু হয়ে বসে থাকা ক’জন জল্লাদ নিরুত্তাপ তর্কে জড়ায়।
জলকপাট
নানাজান আপনে থামেন, আপনে এখনো সাতার জানেন না
দিঘীর জলে হাঁসছানারা চইচই করে নামে, পদ্ম ফুলের উপর খেলা করে কলিম পাখি
নানাজান এসব দেখেন।
নানাজান আব্বার কথা মনে করেন; আব্বা দিঘীর জলে নামার পর হাঁস হয়ে গেল! সে হাঁসকে দু’বেলা গল্প শোনাতে হত, জলকপাটের গল্প শুনে সে প্রায়ই চমকে উঠত, কি বুঝত কে জানে!
নানাজান আম্মা আপনারে ডাকে ঐ যে তালগাছটার নীচে ঐখানে বসে তারা রাজা রাণী খেলে। নানাজান রাজা ফুরিয়ে গেছে আপনে আসেন।
সাইফুল ইসলাম
জন্ম : জানুয়ারি ০৫ ১৯৯৫, ফেনী।