পিছুটান
……………………………
ছাড়ছি না পিছু/ তোমাকে/
পেয়েছি ভূতে/…
অব্যক্ত কথার
পথে ও প্রান্তরে/
ঘুরাব নির্জনে/ বনে বনে/ বনান্তরে/…
পায়ে পায়ে
বয়ে যাব চুপিচুপি/ পথের মতন/…
তুমিও তো স্মৃতিকাতর/
না হলে কেন-বা/
উদাস সময়ে/
চোখ/
রেখে জানালায়/
ডুবে থাক দৃশ্যের গোচরে/—
ভাবো/
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জের কথা/…
ছাড়ছি না পিছু/
তোমাকে/
পেয়েছি ভূতে/… পিছুটানে/…
অতএব/
যেতে দাও পিছুপিছু/ পথের মতন/…
শোনাব/
অ-ভূতপূর্ব্ব উচ্চারণ/…
বা’হাতি
………………………
বামহাতে দিলাম…
কিছু মনে করবেন না…
যদিও
টাকা
হাতের ময়লা…
ময়লা তো
বামহাতেই পরিষ্কার করি…
আমি
যদিও বা’হাতি খেলোয়াড়!
দেখবেন
এই বামহাতে দিতে দিতে
বামাকুলে
আমরা
বামে ফিরবো…
বাম(ন) পরাণ দেখবে—
(বিধি
চলছে বামের দিকে…
আপন মনে
লিখছে বামায়ন…)
বামহাতে দিতে দিতে
বিধি-বামে
ধরেন
একটু মধুর ভুল করলাম…
হতেও পারে
ইহা
শাপেবর!
পৃথিবীর ডাষ্টবিনে
হাতের ময়লা
উপচে পড়ছে… উপাচারে…
কিছু মনে করবেন না…
জানেন তো
গো-বরে নিহিত আছে পদ্মের বিকাশ!…
কাঠামো ও ফোঁড়া
ফোঁড়ার বেদনে কাতরায় শরীরী কাঠামো
সার্জন
দেখছে অপারেশনে
কোথায় উৎস, কেথায় চালাবে কাঁচি
ভাবছে
করবেনা ডেমেজ
কারণ
সুযোগিমৌসুমে বেরিয়ে আসবে ফোঁড়া
এবং দখল নেবে বেবাক শরীর
বেবাক কাঠামো
তাই
এখনই কেটে ফেলা ভালো
ভেবে এতটুকু
সার্জন
চালালো কাঁচি কাঠামোর মর্ম্মে
ফোঁড়া
উগড়ালো পুঁজ
বেদন-আনন্দে নেচে নেচে ওঠে চোখ
চোখের আকাশে চমকায় প্রণমাহি নতুন জীবন…………………
বই
বইখানা/
অনন্ত যৌবনা/ বয়ে চলা নদী/…
দুইধারে কাশবন/
সবুজ হিজাবে ঢাকা/ ছায়াময় গ্রাম/ ছায়াময় দুর্গ/
দূর্গতিনাশিণী/…
বইখানা/
উন্মুক্ত নয়না/
নব-আষাঢ়ের জলদ-গর্জ্জন/…
বইখানা/ ইনফর্মেশনের বারুদে ঠাসা/
কেবল/বোতামে চাপটুকু চাই/…
তা-র-ও-ও আগে/
বইখানা/ নিবিড় মমতামাখা/ পাঠটুকু চায়/…
সমকালীন কবিতা
………………………………
বাহ্…
সেরাম হইসে…
ওয়াও…
অসাধারণ…
আআআআ হাআ…
অসাম ব্রো…
চমৎকার লিখনি…
ফা-টা-ফা—টি…
ওহ্…
আহ্…
উউউউউমমমমমমম…
কী মজাআআআ…
ব্লা ব্লা ব্লা…
মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয়…
আড়ালের ভাষা
…………………
জানি
সমবেত সংগীতে বেজে ছিল,
হেঁইয়ো… হেঁইয়ো… মিছিলের ধ্বনি, ভাষার বিকাশ!…
ভাই! চেতেন ক্যা? আপনি কি চেতন স্যাকরা?
চেতনায় শান দেন?
মাভৈ মাভৈ!
আপনি ঘটান, আমি ভাষা দিই,
আনন্দচূড়ায়,
বেদনাবোদন করি, লোকে কয়, শিল্প!
যতই চেতেন শ্রী চৈতন্যে,
বলা হবে না কিছুই!
স্যাকরার চেতনা শিকারে
[……….]
এটুকু আড়াল থাক!
সবটুকু
কাচের চুড়ির টুংটাং টুংটাং ঝংকারে ভেঙে বলা যায়?
ইশারায়
ইংগিতে বেজে ওঠুক না
ছোট ছোট গল্পগাথা ভোরের সুষমা!
[……….]
রে কঠিন, পাঠের বাসনা জাগা মনে,
কথনটি হাসি হয়ে ভাষা পাক অধরের লাবণ্যপাতায়!…
আরণ্যক টিটো
জন্ম : জুন, ০৬, ১৯৭৭। জন্মস্থান : হাদু চৌধুরী বাড়ী, উত্তর গোবীন্দর খীল, পটিয়া, চট্টগ্রাম। (শৈশব কৈশোর ও তারুণ্যের সময়যাপন) বেড়ে ওঠা (পূর্ব্ব বালিয়াদী, মীরসরাই, চট্টগ্রাম) নানার বাড়ীতে…। প্রকাশিত কবিতার বই : ফুলেরা পোশাক পরে না (সাল: ২০১৮, প্রকাশক— মনফকিরা, কলকাতা)। সম্পাদক : চারবাক।