লেখক সম্পর্কে
এদুয়ার্দো গালেয়ানোর জন্ম উরুগুয়ার মন্টেভিডেতে, ১৯৪০ সালে। দীর্ঘদিন লাতিন আমেরিকার বাইরে তাঁর নাম কেউ জানত না। তাঁর দ্বিতীয় বই ‘ওপেন ভেইনস অফ লাতিন আমেরিকা : ফাইভ সেঞ্চুরিস অফ পিলেজ অফ আ কন্টিনেন্ট’ প্রকাশের প্রায় চল্লিশ বছর পর হঠাৎই প্রচারের আলোয় আসে। ভেনেজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উগো চাভেস ২০০৯-এ সামিট অফ আমেরিকাস-এর পঞ্চম অধিবেশনে সারা বিশ্বের মিডিয়ার সামনে এ বইয়ের এক কপি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-কে উপহার দেন। চাভেস পরে সাংবাদিকদের জানান, “লাতিন আমেরিকার ইতিহাসে এ বই একটা স্মারকসৌধের মতো। এ বই পড়ে আমরা ইতিহাস কাকে বলে শিখেছি, আর এর ভিত্তিতেই আমাদের ইতিহাসকে নির্মাণ করতে হবে।” ১৯৭১ সালে প্রকাশের বছর-দুয়েকের মধ্যেই কিন্তু লাতিন আমেরিকার চারটি দেশে— উরুগুয়া, ব্রাজিল, চিলে ও আর্জেন্টিনায় এ বই নিষিদ্ধ হয়েছিল। এর আগে চার বছর ধরে এই বইয়ের জন্য উপকরণ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি, তারপর নব্বই রাত টানা লিখেছিলেন।
গালেয়ানোর লেখালেখি শুরু অল্পবয়সে। বামপন্থী কাগজ ‘এল সোল’-এ তখন ছদ্মনামে লিখতেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্টুন আঁকতেন। ষাটের গোড়ায় সাপ্তাহিক ‘মার্চা’য় যোগ দেন সম্পাদক হিসেবে। পরে দৈনিক ‘ইপকা’র সম্পাদনা করেছেন দু-বছর, সঙ্গে ইউনিভার্সিটি প্রেসের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৭৩-এ উরুগুয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলে রাজনৈতিক কারণে বহু সহ-নাগরিকের সঙ্গে তাঁরও জেল হয়। সেখান থেকে নির্বাসনে আর্জেন্টিনা, বছর-তিনেক ছিলেন সেখানে, তার মধ্যেই ‘ক্রাইসিস’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন। সেখানেও দক্ষিণপন্থী সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতার হাতবদল ঘটে, বিপজ্জনক লোকজনের তালিকায় তাঁর নাম ওঠে, যার শাস্তি মৃত্যু। অচিরেই পালান তিনি, আশ্রয় নেন স্পেনের বার্সেলোনায়। ১৯৮৫ সালে সামরিক শাসনের অবসানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আশ্বাসে তিনি দেশে ফেরেন। ততদিনে লেখক হিসেবে লাতিন আমেরিকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ লেখকজীবন শেষ করে গালেয়ানো পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন ২০১৫ সালে।
অনুবাদ সম্পর্কে
গালেয়ানোর আরও কয়েকটি বইয়ের মতো এই বইয়েরও ইংরাজি অনুবাদ করেছেন মার্ক ফ্রিড। আমরা তাঁর অনুবাদকেই নির্ভর করে এগিয়েছি। বিশ্ব-জোড়া মহামারীর পরিস্থিতিতে, দীর্ঘ ঘরবন্দিত্বের সময়ে এ বই অনুবাদ করা শুরু হয়েছিল। তাতে বন্দিত্ব যে খানিক সহনীয় হয়েছিল, তা লেখা বাহুল্য।
সৌন্দর্যের উৎপত্তি
সেখানে, গুহার দেওয়ালে আর ছাদে চিত্রিত, তারা আছে।
বাইসন, হরিণ, ভালুক, ঘোড়া, ঈগল, নারী, পুরুষ— কালজয়ী এই সব ছবি। হাজার-হাজার বছর আগে তাদের জন্ম, কিন্তু যখনই কেউ তাদের দিকে দেখে তারা আবার নতুন করে জন্ম নেয়।
কী ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা অত আগে এত কোমল সূক্ষ্মতায় এ সব ছবি এঁকেছিল? কী ভাবে সেই বর্বররা, যারা খালিহাতে হিংস্র জন্তুর সঙ্গে লড়েছিল, এত লাবণ্যে ভরিয়ে দিয়েছে এ সব ছবি? কী ভাবে তারা এই সব উড়ন্ত রেখা এঁকেছিল, পাথরের বাঁধন ছাড়িয়ে যা মুক্ত আকাশে উড়াল দিয়েছে? কী ভাবে সে?…
নাকি, সে ছিল কোন নারী?
সাহারার সবুজ
তাসিলি এবং সাহারার অন্যত্র প্রায় ছ-হাজার বছর আগের গুহাচিত্রে গরু, ষাঁড়, কৃষ্ণসার হরিণ, জিরাফ, গণ্ডার ও হাতির শৈলীমণ্ডিত নানা ছবি দেখা যায়…
এ সব ছবি কি স্রেফ কাল্পনিক? তা যদি না হয়, তবে মরুভূমির বাসিন্দারা কী পান করত? বালি? তারা খেতই বা কী? পাথর?
শিল্প আমাদের জানায় মরুভূমি আসলে তখন মরুভূমি ছিল না। এখানকার সরোবর ছিল প্রায় সাগরের মতো, আর তার উপত্যকায় পশুদের জন্য ছিল পর্যাপ্ত তৃণভূমি, পরে সেই বিলুপ্ত সবুজের সন্ধানে তারা দক্ষিণে পাড়ি দেয়।
তোমাকে আঁকার শিল্প
করিন্থ উপসাগরের কাছে এক মহিলা বিছানায় শুয়ে আগুনের আলোয় তার ঘুমন্ত প্রেমিকের ছায়া দেখছিল।
দেওয়ালে তার ছায়াটা কাঁপছিল।
প্রেমিক, যে তার পাশে শুয়েছিল, চলে যাবে। সকালে উঠে সে যুদ্ধে যাবে, যাবে মৃত্যুর দিকে। এবং তার ছায়া, তার ভ্রমণসঙ্গী, সে-ও তার সঙ্গে যাবে, এবং মরে যাবে তারই সঙ্গে।
ঘরে তখনও অন্ধকার। মহিলা জ্বলন্ত উনুন থেকে এক টুকরো কয়লা তুলে নেয় এবং দেওয়ালে তার ছায়ার একটা রূপরেখা আঁকে।
এই রেখাগুলো কখনও চলে যাবে না।
এরা তাকে আলিঙ্গন করবে না, সে জানে। কিন্তু কখনও অন্তত ছেড়ে চলে যাবে না।
পার্থেনন ও তার পর
ফিডিয়াস, ভাস্কর হিসেবে সর্বকালে যিনি সবচেয়ে ঈর্ষণীয়, ভগ্নহৃদয়ে মারা যান যখন অসহনীয় প্রতিভার জেরে তাঁর কপালে কারাদণ্ড জোটে।
বহু শতক পরে তাঁকে আবারও শাস্তি পেতে হয়, এবার অন্যায় অধিগ্রহণের জেরে।
তাঁর সেরা কাজ, পার্থেননের সমূহ ভাস্কর্য, এখন আর এথেন্সে নেই, আছে লন্ডনে। এবং তাদের আর ফিডিয়াস মার্বেলস বলা হয় না, বলা হয় এলগিন মার্বেলস।
লর্ড এলগিন শিল্পী-টিল্পি কিছু ছিলেন না। কয়েক শতক আগে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্বেল পাথরের এই সব ভাস্কর্য তিনি সমুদ্রপথে পাচার করেন এবং ব্রিটিশ সরকারকে বেচেন। সেই থেকে তারা ব্রিটিশ মিউজিয়মে রয়েছে।
লর্ড এলগিন এ সব যখন চুরি করেন, তার মধ্যেই যুদ্ধের কারণে ও প্রকৃতির মারে পার্থেনন প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। দেবী এথেনার চিরন্তন মহিমাকীর্তনে নির্মিত এই মন্দিরপ্রাঙ্গণ এর আগে ভার্জিন মেরি এবং তাঁর যাজকদের আক্রমণ সহ্য করেছে, যারা এর বহু অবয়ব ধ্বংস করে, বহু মুখাকৃতি ঘষে মুছে ফেলে, এবং প্রতিটি পুরুষাঙ্গ ভেঙে দেয়। এর বহু বছর পরে যখন ভেনিশীয়রা আক্রমণ করে, তখন এই মন্দির ব্যবহৃত হয় বারুদের গোলাঘর হিসেবে, ফলে তা খণ্ড-খণ্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
বিধ্বস্ত পার্থেনন পড়ে থাকে।
লর্ড এলগিন যে-সব ভাস্কর্য চুরি করেন, যদিও তার প্রায় সবই ছিল ভাঙাচোরা, তবু তারা একদা যেমন ছিল সে কথা আমাদের জানায় :
পরিচ্ছদ হতে পারে নিছকই এক খণ্ড পাথর, কিন্তু তার ভাঁজে কোন নারী বা দেবীর শরীর দোলা দেয়,
অনুপস্থিত পা নিয়েও হাঁটু হেঁটে যায়,
শিরোহীন শরীরও বহন করে এক অদৃশ্য শির,
ক্ষুদ্র কেশরে এক অদৃশ্য ঘোড়ার হ্রেষা শোনা যায়,
তার পা দেখে বোঝা যায় কী দ্রুতই না সে দৌড়ত!
সামান্য যা আছে, তার মধ্যেই রয়েছে সম্পূর্ণ যা ছিল।
পরির মতো সে হাঁটে
সিয়েনা শহরে এক সকালে ভিনাসকে দেখা যায়। তারা দেখে সূর্যালোকে নগ্ন হয়ে তিনি শুয়ে আছেন।
রোম সাম্রাজ্যের কালে সমাহিত এই প্রস্তরদেবী, যিনি সমুদ্রগর্ভ থেকে উঠে তাদের অনুগৃহীত করেছিলেন, সিয়েনাও তাঁকে যথাবিহিত সম্মান জানায়।
শহরের প্রধান ফোয়ারার চূড়ায় তাঁর স্থান হয়।
তাঁর দিকে তাকিয়ে কারও ক্লান্তি আসে না, সকলেই তাঁকে ছুঁতে চায়।
কিন্তু তার পরেই তার সমূহ ত্রাস নিয়ে আসে যুদ্ধ, সিয়েনা আক্রান্ত ও লুণ্ঠিত হয়। ১৩৫৭ সালের ৭ নভেম্বরের অধিবেশনে পৌর সভা সিদ্ধান্ত নেয়, ভিনাস-ই এর জন্য দায়ী। প্রতিমাপূজার পাপে, তার শাস্তি হিসেবে, ঈশ্বরই এই দুর্ভাগ্য নামিয়ে এনেছেন। ভিনাসকে, লালসার প্রতি এই আমন্ত্রণকে ভেঙে ঘৃণিত শহর ফ্লোরেন্সের মাটিতে তা পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেয় সভা।
ফ্লোরেন্সেই এর একশো তিরিশ বছর পর সান্দ্রো বতিচেল্লির হাতে আর-এক ভিনাসের জন্ম হয়। শিল্পী তাঁকে এমন ভাবে আঁকেন যেন সমুদ্রের ফেনা থেকে তিনি উঠে আসছেন, ত্বক ছাড়া তাঁর শরীরে আর কোন বস্ত্র নেই।
এর এক যুগ পরে সাধু সাভোনারলা শুদ্ধিকরণের এক বিশাল বহ্নুৎসব শুরু করেন। কথিত আছে যে বতিচেল্লি নিজেই তাঁর তুলির পাপে অনুতপ্ত হয়ে যৌবনে তাঁর আঁকা বহু শয়তানি কাজ সেই আগুনে সমর্পণ করেন।
ভিনাসের ক্ষেত্রে অবশ্য তা তিনি করতে পারেননি।
লিওনার্দো
তাঁর পঁচিশ বছর বয়সে অফিসারস’ অফ দ্য নাইট নামে খ্যাত গণ-নৈতিকতার প্রহরীরা তাঁকে তাঁর শিক্ষক ভেরচ্চিওর কর্মশালা থেকে তুলে কারাগারে নিক্ষেপ করে। দু-মাস তিনি সেখানে ছিলেন, খুঁটিতে পুড়িয়ে মারার ভয়ে ত্রস্ত তিনি না পারতেন ঘুমোতে, না ভালো করে শ্বাস নিতে। সমকামিতার শাস্তি ছিল তা-ই, অজ্ঞাত কোন সূত্রে তাঁর নামে ‘জাকপো সালত্রল্লি নামে জনৈকের সঙ্গে পায়ুকামে’র অভিযোগ ছিল।
প্রমাণের অভাবে তিনি ছাড়া পান ও পুনরায় আগের অবস্থায় ফেরেন।
তারপর তিনি তাঁর সেরা কাজগুলো করেন, অধিকাংশই অসমাপ্ত, যেখানে প্রথম স্ফুমাতো ও কিয়ারোস্কুরোর ব্যবহার দেখা যায়,
নানান উপকথা, কিংবদন্তি ও রান্নার রেসিপি লেখেন তিনি,
শবদেহে অঙ্গসংস্থানের চর্চা করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যথার্থ ছবি আঁকেন তিনিই প্রথম,
প্রমাণ করেন যে পৃথিবী ঘোরে,
বানান হেলিকপ্টার, এরোপ্লেন, বাইসাইকেল, সাবমেরিন, প্যারাস্যুট, মেশিনগান, গ্রেনেড, মর্টার, ট্যাঙ্ক, চলমান ক্রেন, ভাসমান ড্রেজার, স্প্যাগেটি তৈরির যন্ত্র, রুটির কল…
রবিবারে তিনি বাজার থেকে পাখি কিনে তাদের খাঁচা খুলে দিতেন।
যারা তাঁকে জানতেন, বলেন যে তিনি কখনও কোন নারীকে আলিঙ্গন করেননি। তবু তাঁর হাতেই সর্বকালের সেরা প্রতিকৃতির জন্ম হয়। এক নারীর।
ভ্যাটিকান পরিদর্শন
যদি তিনি উত্তর দেন, এই ক্ষীণ সম্ভাবনায় মিকেলাঞ্জেলোকে আমি জিজ্ঞেস করি :
“মোজেসের মূর্তিতে শিং কেন?”
“সিস্টিন চ্যাপেলে ‘দ্য ক্রিয়েশন অফ অ্যাডাম’ নামক ফ্রেস্কোয় আমাদের সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে সেই আঙুলে যা আদমকে জীবন দিয়েছে, কিন্তু ঐ নগ্ন মেয়েটি কে, যাকে ঈশ্বর আনমনে কিন্তু অনুরাগের সঙ্গে আদর করছেন?”
“আর ‘দ্য ক্রিয়েশন অফ ইভ’ নামের ফ্রেস্কোয়, ইডেনে গাছের ঐ ভাঙা ডালগুলো কী করছে? কে তাদের ভাঙল? গাছ কাটার অনুমতি ছিল তখন?”
“এবং ‘দ্য লাস্ট জাজমেন্ট’ নামের ফ্রেস্কোয় হাতে যাজকের চাবি আর মোটা টাকার থলি নিয়ে কে ঐ পোপ, যে দেবদূতের ঘুসি খেয়ে গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে নরকের দিকে?”
“ঐ ফ্রেস্কোয় যে-একচল্লিশটা শিশ্ন আপনি এঁকেছিলেন, ভ্যাটিকান তা লুকিয়ে ফেলে। আপনি কি জানেন যে আপনারই বন্ধু এবং সহকর্মী দানিয়েলে দা ভলতেরা সেই লোক, যিনি পোপের আদেশে লজ্জাবস্ত্র দিয়ে সে সব ঢেকে দেয়, আর এ জন্য তাকে ‘আন্ডারওয়্যার ম্যান’ বলে ডাকা হয়?”
বশ
অভিযুক্ত একটা লোকের মল থেকে ছড়াচ্ছে সোনার মুদ্রা।
আর-একজন ঝুলছে একটা মস্ত চাবি থেকে।
একটা ছুরির কান আছে।
বীণা বাজাচ্ছে এক বাজনদারকে।
আগুন জমে আছে।
একটা শুয়োর পরে আছে সন্ন্যাসিনীর পোশাক।
ডিমের ভেতর বাস করছে মৃত্যু।
যন্ত্র চালাচ্ছে মানুষকে।
প্রতিটি মাথাই বাস করে তার নিজের কোটরে।
কেউ কারও সঙ্গে দেখা করে না।
সবাই দৌড়চ্ছে, কোথাও যাচ্ছে না।
পারস্পরিক ভীতি ছাড়া তাদের কোন কিছুই পরস্পরের সঙ্গে মেলে না।
“পাঁচশো বছর আগে বিশ্বায়নের ছবি এঁকে গেছেন হিয়েরোনিমাস বশ,” জন বার্জার লিখেছেন।
(“মিররস : স্টোরিস অফ অলমোস্ট এভরিওয়ান” থেকে নির্বাচিত কয়েকটি) (বুবুক থেকে প্রকাশিতব্য)
অনুবাদক সম্পর্কে
প্রায় চল্লিশ বছর আগে পত্রিকা সম্পাদনার সূত্রে অনুবাদ করা শুরু। তার পর এই চার দশকে সম্পাদিত ও অনূদিত বইয়ের সংখ্যা কম নয়। তার মধ্যে অনূদিত কয়েকটি : পিয়ের লা ম্যুর-এর ‘মুঁল্যা রুজ’, হারবার্ট রিড-এর ‘শিল্পের সারার্থ’ (‘মিনিং অফ আর্ট’), ভিনসেন্ট ভান গখ-এর শেষ সাত মাসের চিঠি ‘এ ভাবেই চলে যেতে চাই’, পাবলো পিকাসো-র ‘আমি : আমার ছবি’ ইত্যাদি। প্রকাশক : মনফকিরা। নিবাস : কলকাতা।