লেকু একটু পাগলা কিসিমের মানুষ। কাজ বলতে জীবনে একটা কাজই শিখেছে, খাঁচা তৈরি করা। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মুরগী আর গাছের খাঁচা। অন্য কিছু আর তেমন শেখা হয়নি এ জীবনে। ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার খুব সখ হয়েছিল। লেকুর বাবা বলল, ‘গরীবির ছেলির ইসকুলে যেই কাম নেই। ছাগল রাখ তাতে দুটো পয়সা আসপি’। লেকু যদিও বাবার কথা শোনেনি। একা একাই রফিকুদ্দীন মাস্টারের ভাঙা স্কুলে গিয়ে ভর্ত্তি হয়ে গেল। মাস্টার খাতায় লেকুর নাম লিখে নিল লিয়াকত আলী লেকু। স্কুলে যাওয়াতে লেকুর জীবনে এটাই তার বড় অর্জ্জন। নতুন একটা নাম পাওয়া গেল। রীতিমত বড় মানুষের নামের মতো নাম। বাপ মা শুনেও খুশি হয়েছিল। খুশি হয়ে সেদিন আর স্কুলে যাওয়া নিষেধ করেনি।
— ইসকুলি যাস আর যেকানেই যাসকিনি ছাগলগুলারে কিন্তুক দেকিস। বাপে বলল।
— তোর নামখানা কিন্তুক সোন্দর হইচে। বড় হলি মেম্বরে দাঁড়াতি পারবি। ‘লিয়াকত আলী লেকু ভাইকে আপনার মূল্যবান ভোটখানা দিয়ে দেশ ও দশের খেদমত করিবার সুযোগ দিন’। ইলেকশনের মাইকিং করার ঢঙে লেকুর মা বলল।
— মাগীর সখ কত। পেটে ভাত জোটে না, ছাওলেক মেম্বর বানাচ্চে। মেম্বর হতি খরচ কত জানিস।
— ইর মদ্যি সখের কি দেকলে। আমাগে গিরামে ইলিকশনের সুমায় মাইকিং করত তাই কলাম।
লেকুর স্কুল জীবনটা খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। স্কুলের মাঠে ছাগলের খুঁটো পুঁতে দিয়ে ক্লাসে ঢোকে। ছাগল ঘাস খায় আর লেকু স্কুলের ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখে। একদিন মাস্টারের কথা শুনতে শুনতে একটু বেখেয়াল হল। আর সেই ফাঁকে দুটো ছাগল লাপাত্তা। খুঁজতে খুঁজতে জানা গেল ছাগল খোয়াড়ে। খুঁটো উপড়ায়ে একজনের সবজির ক্ষেত খেয়েছে তাই তারা খোয়াড়ে দিয়েছে। বাপে কাজ থেকে ফিরে টাকা দিয়ে খোয়াড় থেকে ছাগল দুটো ছাড়িয়ে আনল। লেকুর সেই প্রথম খোয়াড় দেখা। বাঁশ আর নানান রকম গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা। গরু ছাগলে কারো কোন ক্ষতি করলে তারা ধরে এনে খোয়াড়ে দিয়ে যায়। তারপর টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয়। লেকুর বাপ সেদিন খোয়াড় থেকে শুধু টাকা দিয়ে ছাগলই ছাড়াল না, কাঁচা কঞ্চি দিয়ে লেকুর মাথা থেকে স্কুলের ভুতও ছাড়িয়ে দিল।
লেকু তখন ছাগল রাখতে রাখতে রহমত গাছীর কাছ থেকে খাঁচা বানানোটা শিখে নেয়। আরও একটা জিনিস শেখে। বাঁশী বাজানো। সেটা নিজে নিজে। কখনও পাতার বাঁশী কখনও বাঁশের বাঁশী। সে বাঁশীতে সুর তোলে। ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’। লেকু হাটে যেখানে বসে খাঁচা বিক্রি করে তার পাশে কেউ কেউ গান গেয়ে, বাঁশী বাজিয়ে টাকা আয় করে। কিন্তু লেকু তার বাঁশী শুনিয়ে টাকা আয় করতে রাজি না। তার কথা আমি খাঁচা তৈরি করি বিক্রি করার জন্য, বিক্রি করি। বাঁশী বাজানোটা হল আমার আত্মার জিনিস, নিজের ছেলে মেয়ের মত ভালবাসার জিনিস তা বিক্রি করার জিনিস না। এমন আজব কথাবার্ত্তা শুনে লোকে হাসে। মজা পায়। কেউ কেউ চটে গিয়ে গালি গালাজও করে। একজন খরিদ্দার এসে হয়ত জিজ্ঞাসা করল, খাঁচার ভিতরে কি হাঁস পোষা যায়? লেকু বলে, খাঁচায় শুধু হাঁস কেন মানুষও পোষা যায়। খরিদ্দার শুনে ক্ষেপে যায়, আমার সাথে ফাজলামি কর মিয়া। আমারে চেন? থাপড়ায়ে দাঁত ফালায়ে দেব। লেকু বলে, ক্ষেপেন কেন ভাইজান? এই যে আপনি মাতৃ গব্বে ছিলেন সেইডেও একটা খাঁচা। এই দুইনেডা হচ্চে মস্ত বড় একটা খাঁচা। তারপর একটু দম নিয়ে সুর ধরে, ‘মন তুই রইলি খাঁচার আশে/খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশে।’ ততক্ষণে খরিদ্দার বেচারা অন্যদিকে পা বাড়ায়। বুঝে ফেলে লোকটার মাথায় গন্ডগোল আছে। কেউ এসে হয়ত বলল, তোমার এত চিকন খাঁচা, এর ভেতরে কি আম গাছ বাঁচপে? লেকু নিজের বুকে হাত দিয়ে বলে, এই যে দেকেন এত্তোটুক একটা খাঁচা। তার মদ্দি আস্ত একটা মানুষির জান। বাঁচতিচে না? লোকটা শুনে হাসে। একদিন এক ভদ্রলোক সাথে আরো দুজনকে সাথে নিয়ে এসে খাঁচা পরখ করে দেখে বলল, আমাদের তো অনেক খাঁচা লাগবে কিন্তু তোমার খাঁচার বুনানো এতো ফাঁকা ফাঁকা কেন? এতো ছাগল মুখ ঢুকিয়ে গাছ খেয়ে ফেলবে। লেকু বলে, স্যার আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা / মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা। কুনু অসুবিদে নেই। আপনি যেমনে চাবেন তেমনে বুনয়ে দেব। ভদ্রলোক সরকারী অফিসার। রাস্তার ধারে বৃক্ষ রোপনের জন্য এক হাজার খাঁচা নেবে। আগামি হাটে নমুনা দেখে অর্ডার দেবে।
লেকুর মাথায় একটা চাপ তৈরি হল এতগুলো খাঁচার বাঁশ কঞ্চি যোগাড় করা। অন্য সময় সে বাঁশ কেনে আর কাছাকাছি কোন ঝাড় থেকে কঞ্চি কেটে আনে। তা নিয়ে বাঁশ ঝাড়ের মালিকের সাথে মাঝে মধ্যে ঝামেলা হয়। আবার মিটেও যায়। এবার পরিমান বেশি তাই ভোর রাতে পা বাড়ায় অন্য গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের দিকে। সেদিন লেকুর কপাল মন্দ। বাঁশঝাড়ের মালিক খুন হয়ে গেল বাঁশঝাড়ের মধ্যে। লেকুর চিৎকার চেঁচামেচিতে পাড়ার লোক ছুটে এসে লেকুকে ধরে ফেলল। পুলিশে দিলে বিচার হয় না তাই খুনিকে পিটায়ে মেরে ফেলতে হবে সেই হিসাবে বেশ পিটানো হল। কিছু মাতব্বর গোছের লোক এসে লেকুকে বাঁচাল। বলল, যা করার পুলিশি করবি। আমাগের বিপদ ডাকি আনার কাম কি?
পুলিশ এসে লাশ আর লেকুকে থানায় নিয়ে গেল। লাশ গেল পোষ্টমর্টেমে আর লেকু থানা হাজতে। রাতে চোখ বন্ধ করতেই দেখে বউ এসে সামনে দাঁড়ানো। সংসারে খাওয়ার নেই বাজার করতে হবে। বাঁশের পাওনাদার এসেছে তার টাকা দিতে হবে। জামাই এসেছে তার ব্যবসার জন্য টাকা না দিলে মেয়ে নিয়ে যাবে না। ছেলের স্কুলের বেতন লাগবে। সবাই তাকে ঘিরে ধরেছে। লেকু বেরনোর পথ খুঁজে পাচ্ছে না। সবাই মিলে তার গলা টিপে ধরে। লেকুর দম বন্ধ হয়ে আসে। লেকু চিৎকার দিয়ে উঠে বসে। থানার সেন্ট্রি এসে বলে, খুন খারাপি করলি মানুষ এরকম স্বপ্ন দেখে। কালকে প্যাঁদানি খালি দেখপি সব ঠিক হয়ে গেচে। তারপর হি হি করে হাসে।
সকালে একটু বেলা বাড়লে থানা হাজত থেকে বের করে একটি ঘরে নিয়ে এসে বসানো হল। তিন জন নেতা গোছের লোক এসেছে কেসের তদবির করতে। তার ভিতরে একজন বেশ ভুঁড়িওয়ালা গোছের। তার প্যান্ট বারবার মাজার নিচে নেমে যাচ্ছে। আর টেনে টেনে তুলছে। বাকি দুজন সাগরেদ চিকনা। দুজন পুলিশ একটা পলিথিন ব্যাগে একটা সিগারেটের প্যাকেট, একটা মাজার বেল্ট আর লেকুর দা নিয়ে এসে বসল।
— তুই এইটা চিনিস? বেল্টটা দেখিয়ে একজন পুলিশ লেকুকে জিজ্ঞাসা করল।
— চিনি স্যার, আমার বাপের ছিল। মাজার বেল্ট। বাপ মরার পর মা’র বাকসের ভিতরে ছিল।
— তার মানে তুই মার বাক্স থেকে খুন করার মতলবে বেল্ট নিয়ে এসেচিস।এখন তুই আমারে ক, হাতে দা থাকতে একটা মানুষ মারার জন্য বেল্ট ব্যবহার করতে হবে কেন?
— স্যার দা দিয়ে কাটলি রক্ত টক্ত বেরতি পারে তাই বেল্ট দিয়ে গলায় প্যাঁচ দিলি কুনু ঝামেলা নেই।
— তার মানে তুই দোষ স্বীকার করে নিচ্ছিস।
— তা নিচ্চি স্যার। আমার দোষেই তো আমি ধরাডা খাইচি।
— যে লোকটা খুন হল তারে তুই আগের থেকে চিনতিস?
— না স্যার। তারে তো আমি চিনতাম না।
— তার মানে তোর পিছেন অন্য কেউ আছে যার অর্ডারের জন্যি তুই এই গাঁয়ে আসিচিলি। ঠিক কিনা ক?
— ঠিক স্যার।
— এই কাজের জন্যি কয় টাকা পাইচিস?
— টাকা তো স্যার পাইনি। আগামি হাটের দিন আমার কাজ দেখে তারপর টাকা দেবে।
— নাম ক?
— স্যার, লিয়াকত আলী লেকু।
— এটা কার নাম? কালকে তো বললি এটা তোর নাম।
— জ্বি স্যার। বিশ্বাস করেন এইডা আমার নিজির নাম। লোকে আমারে লেকু বলে ডাকে কিন্তু খাতা কলমে আমার নাম লিয়াকত আলী লেকু।
— তোর নাম জিজ্ঞাসা করিনি। যে তোরে অর্ডার দিছে তার নাম ক?
— তার নাম তো জানিনি স্যার। আগামী হাটে শুনে আসি কতি পারব।
— এরকম কাজ কি তুই আগেও করিচিস?
— না স্যার, এই পরথম।
— খাঁচা তৈরি করতে করতে তোর এতো লোভ হল যে তুই এতো বড় একটা অর্ডার নিয়ে নিলি।
— তা স্যার লোভটা একটু বেশিই হইচিল। না হলি কি আর এক গাঁ থুয়ে আরেক গাঁয়ে আসি।
— তার মানে তুই স্বীকার করছিস যে তুই নিজে হাতে ওই লোকটাকে খুন করেছিস? এতোক্ষণ যে পুলিশ অফিসারটা চুপচাপ বসা ছিল সে প্রশ্নটা করল।
— না স্যার, আমি তো খুন করি নাই। আমি আসচিলাম কুঞ্চি কাটতি। আসি দেকলাম মানুষটা খুন হয়ি পড়ি আচে। দেকি ভয় পাইয়ে চিৎকার দিলাম। লোকজন আসি আমারে পিটানো শুরু করল।
— তবে যে বললি তোকে একজন খুনের জন্য অর্ডার দিয়েছিল।
— সে তো স্যার খুনের অর্ডার না। খাঁচার অর্ডার।একজন অপিসার রাস্তার ধারে এক হাজার গাচ লাগাবে। তাই এক হাজার খাঁচার অর্ডার।
এবার দুই পুলিশ এবং তিন তদবিরকারী সবাই বেশ নড়ে চড়ে বসল। ভুঁড়িওয়ালা তদবিরকারী লোকটা প্যান্ট মাজার উপরে দুইবার টান দিয়ে বলল, ভেতরে নিয়ে দুটো ডলা দেন স্যার সব বাপ বাপ করে স্বীকার করবে। সাথের একজন চিকনা চামচা বলল, স্বীকার না করলি স্যার ক্রসফায়ারে দিয়ে দেন। পুলিশ অফিসার একটু ঠোঁট বাঁকা করে হাসল। হাসির প্রশ্রয় পেয়ে লেকু বলল, স্যার তা আপনারা আমারে যা দেয়ার দেন। এই বেল্টটা ওই ভাইরে দিয়ে দিতি পারেন। উডা তো আপনেগের কুনু কাজে আসছে না। উনার একটা বেল্ট দরকার। প্যান্ট খুলে নিচে পড়ে গেলে সবারই একটা লজ্জার বিষয়। পুলিশ অফিসারটা ভুঁড়িওয়ালার দিকে একটু আড় চোখে তাকাল। ভুঁড়িওয়ালা উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আপনারা আপনাদের কাজ করেন আমাদের একটু পার্টি অফিসে যেতে হবে। আমাদের নেতা খুন হয়েছে। বিচারের দাবিতে একটা প্রতিবাদ সভা করতে হবে। পুলিশ অফিসারটা বললেন, এখন তো আপনাদের যাওয়া হবে না। আপনাদের সাথেও কিছু কথা আছে।
ভুঁড়িওয়ালা বলল, তাহলে আমরা বাইরে থেকে সিগারেট খেয়ে আসি। অফিসারটা হাত বাড়িয়ে বললেন, কই সিগারেটের প্যাকেটটা একটু দেখি। ভুঁড়িওয়ালা বেশ খুশি হয়ে অফিসারের দিকে প্যাকেটটা এগিয়ে দিল। অফিসার প্যাকেটটা গতকাল পাওয়া আলামতের প্যাকেটের পাশে রাখল। তারপর বেল্টটা এগিয়ে দিয়ে বলল, নেন এটা পরেন তো একটু দেখি। তিন তদবিরকারী একটু মুখ চাওয়া চাওয়ি করে বলল, না না মানুষ খুন করা বেল্ট আমি পরব কেন? আমি বাজার থেকে একটা কিনে নেব।
— আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে এই বেল্ট দিয়েই তাকে খুন করা হয়েছে। এটাতো পাওয়া গেছে মৃতদেহ থেকে বেশ দূরে। তাছাড়া আপনার নিজেরও তো একটা বেল্ট ছিল সেটাই বা গেল কোথায়? পুলিশ অফিসারটা জিজ্ঞাসা করল।
— সে আমি সকালে তাড়াহুড়ো করে বেরতে গিয়ে খুঁজে পাইনি। আমি একটা কিনে নেব। ভুঁড়িওয়ালা আমতা আমতা করে বলে।
— বস, আপনি থাকেন। আমরা দুজন পার্টি অফিসের দিকে গিয়ে দেখি কি করা যায়। চিকন চামচা দুজন ভুঁড়িওয়ালাকে বলল।
অফিসার ধমক দিয়ে বলল, এখন কারও যাওয়া হবে না। তারপর একজন পুলিশকে ডেকে লেকুকে দেখিয়ে বলল, এটাকে লক আপে ঢুকিয়ে রাখ আর উপজেলা কৃষি অফিস আর প্রকৌশল অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখ তো কে এক হাজার খাঁচা কিনতে চেয়েছে।
বিকেলের দিকে হাটের সেই খাঁচা কেনা অফিসার থানায় এসে হাজির। বলে কিরে তোর এ কি অবস্থা! লেকু বলে, এ কিছু না স্যার। এ সব হল খাঁচার খেলা। এক খাঁচার পাখি অন্য খাচায়। তবে স্যার সংসারের খাঁচায় যত জ্বালা যন্ত্রণা এ খাঁচায় অত জ্বালা যন্ত্রণা নেই। অফিসার ভদ্রলোক বলল, তোর ভয় করে না। জানিস তো খুনের শাস্তি ফাঁসি। লেকু হেসে বলল, সে যে খুন করিচে তার তো ফাঁসি হওয়াই উচিত। আমি তো আর খুন করিনি। আমার ভয় কিসির? অফিসার বলল, তা ঠিক। দেখ কি হয়। আমি আমার কথা পুলিশ অফিসারকে বলেছি।
অফিসার বিদায় নিলে সকালের সেই তিন তদবিরকারীকে থানা হাজতের গেট খুলে ভিতরে ঢুকাল আর লেকুকে বের করে বলল তোর ছুটি। এখন বাড়ী যা। যখন দরকার হয় তখন আবার ডাকব। পালাবি না। লেকু বলল, পালাব কুতায় স্যার? সেই তো এক খাঁচার তে আরেক খাঁচা। লালন কেঁদে কয়, খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার / কোন বনে পালায়। পুলিশ শুনে হাসে আর লেকুর দা’টা ফেরত দেয়।
থানার গেটের সামনে একটা জাম গাছের ডাল নিচু হয়ে আছে। লেকু ডাল থেকে দুটো পাতা ছিঁড়ে নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটতে থাকে। বাতাসে পাতার বাঁশীর সুর ভাসতে থাকে, মন তুই রইলি খাঁচার আশে / খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশে। / কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে / ফকির লালন কেঁদে কয়।।
স্বপন বিশ্বাস
জন্মঃ ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৪। কৃষি বিষয়ে স্নাতক ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শুল্ক বিভাগে কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্ম্মরত। বসবাস নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। প্রকাশিত গ্রন্থ একটি।
ইমেইলঃ swapan64@gmail.com