অভিজ্ঞান
অন্ধকারে কিছুক্ষণ থতোমতো খেলি
শরীরের ঢেউগুলি খুলে গেলে ফিরে পাই
পুনরায় যৌনশক্তি। তাহলে স্বীকার করছেন যে পারছি?
সংসারে বসে না মনঃ চ্যানেলে উলঙ্গ ছবি
দেখো আমিও তোমার মতো পরী
টেনে নামাবো আমার বিছানায়।
প্রবাস
কোথায় এসেছি আমি? কোন দেশ?
কোন গ্রহ…আলো অন্ধকার?
মাটিতে পা ফেলতেই ঠান্ডা
মধ্যরাতে নীলজলে চাঁদ
ঝাঁপিয়ে লাফিয়ে পরে প্রিয়মুখ
দেখিনা কাউকে দূরে কাছে
চমকে ওঠে দেখি যে
সে-ই পথ একই তো আছে রোদে-জলে-প্রেমে…
চালহীন চুলো,তলাবিহীন ঝুঁড়ি‘র
দেশের ছেলেরা মাথা নীচু করে দুর্দশা মাপে!
দেবী সর্বমঙ্গলা
ভেঙ্গেছি তোমার দুটো ডানা
পায়ের পাতায় আজ রাত
রেখেছি ওষ্ঠ; লিখবো কাম ও করুণা?
জেনো অস্পষ্ঠ অবশ ঘুমে আমিও প্রান্তিক চাষা
ধাতু-বিভ্রমের আগে পেয়েছি তোমাকে
ইউরেকা! ইউরেকা!
গভীরে কেবল গভীরতা মেলে
আমি অনার্য় দ্রাবিড়
নীলাম ডাকে পেয়েছি কন্যা;
জ্বলে স্নায়ুরন্ধ্র
জিহ্বায় লোহিত লালা
তুমি খুব ভালো মেয়ে
বাড়িতে তোমার আলোচনা
ভোরের শিশির লাগে পায়ে
জাগে বসুন্ধরা?
মা
মাথার উপর বিশাল শূন্যতা নাম তার আকাশ
রং যার নীল
বসতভিটায় আঁচল ভিজিয়ে ছলছল বয়ে চলে
এক নদীর শরীর…
সাতটি ঘোড়ার রথে চড়ে
আমার শৈশব ফিরে ফিরে আসে সুর-তাল-ছন্দে
যেখানে আমার মা বসে আছেন-
ধোঁয়া আর আগুনের মাঝে উনুনে হাঁড়ি চাপিয়ে!
অভিমানী খোকা বাড়ি ফিরে
ভাত খাবে; হাড়িভর্তি শাদা শাদা ভাত!