কমলাপুর রেলষ্টেশন— রাত ১১.৩০, বৃষ্টি বিষয়ক, তৃতীয় চোখ || উত্তম মণ্ডল

0

বৃষ্টি বিষয়ক
…………………………………………
বিষন্ন চাদরের মধ্যে জীবন,
ভেজা অন্ধকারে
স্যাঁতসেঁতে মাটি
আলো পড়ে না তাতে,
পরিত্যক্ত বাগানে
মরা পাতা
পঁচে পঁচে
সেই স্যাঁতসেঁতে মাটিতে মিশছে,
রূপান্তরের অনুভবে
লেখা হচ্ছে বেঁচে থাকার ইতিহাস।

আর এ নিমগ্ন বর্ষায় বৃষ্টি পড়ছে চিরন্তন অনুভবে
ভেজা বাতাসের স্পর্শে মেঘের আলোয় ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে জীবিত পাতারা।

 

তৃতীয় চোখ
(দ্বিতীয় অংশ)
……………………………………………………….
বোধের অন্ধত্ব
চিন্তা করতে না পারা
নালা জলে ভেসে যায় বাসী ফুল,
পাগলাটা রাস্তায়
ছেঁড়া জামা গায়
ধুলায় ময়লায় নির্লিপ্ত গায়,
জগতের পরিহাস সমূহ।

সর্ব্বহারা
চেতনালুপ্ত মরিয়ম
দেহভিন্ন জীবন,
পথে পথে পড়ে থাকে মরা যিশু।

কী প্রেম আছে—
নিরেট ধাতব অনুরণনে?
কী প্রেম আছে—
পাথুরে ঢালে গড়িয়ে পড়ার মাঝে?
বেদনার্ত্ত, সিক্ত, আসক্ত জীবন—
জীবনের সম্ভবনায় ঊর্ধ্বগামী মাত্রা।

ঝড় আসে
সবকিছু এলোমেলো হয়
যা কিছু গুছিয়েছে প্রানপণে,
আসে বৃষ্টি
আসে বিষন্ন সুন্দর
এদিক ওদিক পড়ে থাকে কয়েকটা মরা পাখী
ভাঙা গাছের ডাল,
উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ঘর—
গৃহস্হালীর অন্তঃপুর।

গল্পটা গল্পে এসে পড়ে
না শেষ।
একটা ঘর,
আলো এসে পড়ে তাতে
আসে অন্ধকার,
থাকে বাতাস বার মাস।
একটা জানালা
উঁকি দেওয়া আকাশ।

 

কমলাপুর রেলষ্টেশন, রাত ১১.৩০
………………………………………………………………..
এ শহরের ধুলা ময়লা গায়ে মেখে
আমি পবিত্র হই, ডুবে যাই নর্দ্দমায়
যা কিছু অনুভব; সব—

চলাচলে মত্ত পায়ের কাছে সিথান দিয়ে
শুয়ে থাকা মানুষ, তার ভিতরে ঘর আমি—
মাথার উপরে ঝাঁঝালো আকাশ
চারপাশে ক্রমশ নষ্ট হতে থাকা দুর্গন্ধ,
উচ্ছিষ্ট,
গোলাকার চোখের মাছি
সংকীর্ণ হয়ে আসা পথ
ঝাপসা হয়ে আসা দৃষ্টি,
বোধ থেকে বহু দূরে বসত। এখানে কোনই আবাস নেই।

.

.

.

104591758_2621493241502902_7892604540418369246_oউত্তম মণ্ডল
জন্মঃ ১৭ নভেম্বর ১৯৮৯, জেলা- নওগাঁ উপজেলা- পত্নীতলা। বর্ত্তমানে স্কয়ার ফার্মার অধীনে মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার হিসেবে কর্ম্মরত।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার