~
বক্ররেখা...
~
প্রসন্ন নিদ্রায় কিংবা নিদ্রাহীন ~ অনিদ্রায়
পতঙ্গ সঙ্গীতে, উদ্ভাসিত পুষ্প ~ বিকাশিত স্তন, কালোতিল
বক্ররেখা, ছুঁয়ে ছুঁয়ে ~ আমার মুহূর্ত্ত ফেটে যাচ্ছে
তোমার মাতাল খাদে ~ কিংবা
নিদ্রার দঙ্গলে ~ শরীর জড়িয়ে যাচ্ছে ~ ঘ্রাণ ঘ্রাণ, মিষ্টি
তোমাতেই উদ্বেলিত, বিকীর্ণ ~ সুডৌল, ফুটে আছিবিমোহিত বিষ শুষে নিচ্ছে ~ প্রতি রন্ধ্র
উন্মথিত প্রতি পল ~ পলে পলে অতীত বা ভবিষ্যৎ
সংখ্যার ভাষায় ~ ভুল ছিল কি, কিংবা নাসমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ~ প্রণয়রেখা ঘিরে ঘিরে
নাভিমূল থেকে ছায়াপথে, ছায়াপথে ~ শঙ্কারেখা ভেঙ্গেচুরে
স্তনে স্তনে ভরে উঠুক সুডৌল সুর ~ বাতাস বাতাস মিষ্টি
তোমাতেই উদ্বেলিত, বিকীর্ণ ~ সুডৌল, ফুটে আছি
~
কলংকরেখা…
~আমার বিষদাঁত, তোমার ~ স্তনবোঁটায়
যে খুন, যে স্বাদ লেগে আছে ~ জিহ্বায়
যে অমৃত তৃষ্ণা, তৃষ্ণায় ~ যে তাল, মাতাল সুর
শুনে শুনে ~ মন আমার নিঃসঙ্গ পাখীযে আঁচড়, যে দাগ, আমার বুকে ~ পিঠে
যে গোপন কামড় ~ আমার ঠোঁটে, দেহে
যে বিষ আমার হৃদয়ের ~ বাঁকে বাঁকে
যে তীব্রতা, শিহরণ ~ বিদ্যুৎ ঝংকার
যে তাড়না তীব্র, ভিতরে ~ বাহিরে
যে স্বাদ, বিষাদ ~ মাতাল, মাতাল সুর
শুনে শুনে ~ মন আমার নিঃসঙ্গ পাখীঅস্তিত্বের সীমানা ~ অসীমে, মিলে যায়
অপার অসীমে ~ প্রেমে প্রেমে ~ বিরহ, বিরহে
পুড়ে পুড়ে, ভস্মরেখা ছাই ~ এই ঝোঁক বেঁকে যাওয়া
হাওয়ায় হাওয়ায়, মেঘে মেঘে রত্ন ~ তুমি নেই
নেই কোথাও, বা, আছ ~ এই ঝোঁক বেঁকে যাওয়া ~ অনন্ত আদি, অন্তে
অনন্ত অনন্তে ~ মূর্ত্তে ও বিমূর্ত্তে, নিরাকারে
মহাজাগতিক আকর্ষণ, বিকর্ষণে ~ নিরন্তর দূরে
দূরহীন দূরে, দূরত্বে দূরত্বে ~ তুমি নেই কিংবা আছ
এই ঝোঁক বেঁকে যাওয়া ~ মেঘে মেঘে বজ্র,ও পাখী, ও কাতরতা ~ এই গ্রহ, ঐ নক্ষত্র
কিংবা আকাশগঙ্গা ~ যেন নেশা, নেশা নেশা
নেশা ছোঁয়া চোখ আমারআমার কামনায়, রক্তকণিকায় ~ যে গুপ্ত জগৎ
যে কলংকরেখা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ~ যে রস ও রসায়ন
যে স্রোত, জোয়ার ভাটা ~ যে টান তোমাতে
যে ইশারা, যে তরঙ্গ, ডাক ~ যে মাতাল সুর
শুনে শুনে ~ মন আমার নিঃসঙ্গ পাখীবিস্তারিত বিলম্ব আমার ~ তৃষ্ণার্ত্ত যাপনে
অতীত লুকিয়ে আছে ~ অতল গর্ভে, বা, নেই
দৃশ্য নেই, দৃশ্যান্তর নেই ~ শূন্য মহাবিশ্বঝুম ধরা ~ নিঝুম, নিঝুম ~ হুহু হুহু ~ নিবিড়, নির্জন
কোন ~ তাড়নায়, কেঁপে উঠলো মন
কোন তাড়নায় ~ কেঁপে উঠলো মন
কোন তাড়নায়, কেঁপে উঠলো ~ মন
~
ভূমধ্যহাওয়া…
~চুম্বনস্বাদ বিষধর নয় ~ তবুও বিষদাঁতের দাগ
লেগে আছে ~ আমার অধর আঁধারে
রিরংসার তীব্র তাড়না
সুর
সুরে
এক স্থির দাঁড়ি ~ ভেঙেচুরে
স্তনচূঁড়া মন্দির থেকে, উঠে আসা ~ স্পন্দন, স্পন্দনেএই বৃক্ষ আলোকিত ~ পাতায় পাতায় বিদ্যুৎ
শিকড়ে শিকড়ে ~ তাড়নাঐ ~ ঐ যে নিশ্বাসের গল্প ~ ঐ বায়ুমণ্ডল
ঐ কবর ফোঁড়ে বের হয়ে আসছে ~ ভূমধ্যহাওয়াঐ
ঐ দেখ
ঐ আমার ~ কাটা ডানা ~ ঐ আঁধার গ্রহে পুড়ছে
~
কার্বনরেণু…
~আমার সমস্ত, প্রেম ~ কার্বনডাইঅক্সাইড ~ হয়ে
উড়ে যাচ্ছে ~ অনন্তের দিকেসমস্ত ব্ল্যাকহোলের নেশা ~ নেশা নেশা ঘুম ~ জমে উঠছে চোখে
আমার প্রতিটি কোষ থেকে প্রতিনিয়ত ~ উড়ে যাচ্ছে হিগস্
নিউরনের সিন্যাপাসের কার্নিশ ধরে ~ বইয়ে যাচ্ছে
অন্য এক ~ অন্য এক, উন্মাদনাএকটি সোনালী কম্পাসের ~ নীল তীর
ভুল তেজস্ক্রিয়ায়, পুড়ে পুড়ে ~ আমাকেই আবিস্কার করে
আমি পুড়ে আছি ~ কার্বন ~ কার্বন রেণু হয়ে আছি
অসীম, অমীমাংসিত, কলংকের দাগ ~ দাগ হয়ে আছি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের হৃৎপিন্ডে ~ তোমাতে ~ প্রেমে
বাদল ধারা
জন্ম:
১৮ মে ১৯৮৫, ঢাকা।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:
শূন্যতার সার্কেল (প্রথম প্রকাশ ২০১৭ এবং পুনমুদ্রণ ২০১৯, ঘোড়াউত্রা প্রকাশন)
তিন সমস্ত সাত ভাগের এক (২০২০, ঘোড়াউত্রা প্রকাশন)