জীবন কথা
আর একবার অনুমতি চাই
দ্রোহকালে বের হয়ে আসতে চাই ছাতার আড়াল থেকে
অন্ধকারে নিজেকে সঁপে দিয়ে কার জন্য করো আলোর খোঁজ
অসীম সমুদ্র পাড়ি দিতে হলে
নাবিকের চোখে রাখো চোখ
শেষ চুম্বন যদি দিতেই হয়
তবে আলো থাকতেই দিও
আলোরা কালের সাক্ষী হয়ে থাকুক
ভালোবাসার হুইসেল বাজিয়ে দিগ্বিদিক ছুটে চলুক জীবনের ট্রেন।
ফেল করি
আমি চাই কেউ কেউ ফেল করুক।
ফেল করুক ট্রেন
বাসের সূচি
মধুচন্দ্রিমার সময়
পূর্নিমার রাতের উর্বশী চাঁদ।
বিপর্যয় ঘটুক বয়সী প্লেনের যাত্রায়।
ইচ্ছে করে মাঝে মধ্যে সময়ের ঘড়ি উল্টে ধরে
উত্তরসূরি-পূর্বসুরিদের একই পথে বসিয়ে দেই।
এসো, এবার না হয় দু’জন মিলেই ফেল করি
ফেল করে করে একই শ্রেণীতে থাকি সারা জীবন
প্রজন্মের হিসাবে যেন ভুল না হয়।
এখনই তো ভালোবাসার সময়
ভেঙ্গে পড়ছি কচি চারার মত করে
তোমার বুক পাঁজর বরাবর
সতর্ক সংকেত না দিয়ে উঠতি ডাকাতের মত ভয় পেয়ে সরে যেও না
ভেসে যাচ্ছি খড়কুটোর মত করে তোমার প্রেমের জোয়ারে
পড়ে আছি তোমার ইচ্ছেমতীর গোলক ধাঁধায়
দেখ, নরম কচি ভোর কেমন করে সরিয়ে দিচ্ছে রাতের আঁধার
বুকের পাঁপড়িতে কারুকাজ দেখে পূজার থালায় সাজিয়েছি নৈবেদ্যর ডালি।
এখন চলে যাওয়ার সময় নয়
অনুর্বর মাটি ফাটিয়ে হাসছে যে বিরহী বাগান
নিবিড় আলিঙ্গনে এবার তাকে সিক্ত করে দাও।
জীবন সূত্র
রাত্রি নিবিড় হলে জনতার চোখ ঢুলুঢুলু
কাপালিক তন্ত্র, ডাকিনি বিদ্যা আর ছিনালি সময়
পরিত্যক্ত ঘোষনা করে দুপুরের মখমলে রোদ।
দেখ, পতনের বিছানায় সূর্য করে রাত্রি ভ্রমন
মাটির শরীরে বসন্তের সুখ
ছাইচাপা আগুনে পুড়ছে প্রচলিত মুদ্রাদোষ।
তবুও সহজে মেলে না সরল অংকের উত্তর
ভুলে ভরা যখন পাটিগণিতের প্রথম অধ্যায়।