অদ্বৈতম্
………………………………………………………….
এক
কাতারের সমাজ, কাঠামো
বিনির্ম্মাণে …
‘নমায’ প্রতীকী আয়োজন!
(এই বোধ,
করছে বয়ান, সুবহসাদেকে
উত্তরের জানালায় পল্লবের ফাঁক গলে হেসে ওঠা সকালের আভা
আর
ঝিরিঝিরি
উদ্দাম হাওয়া!)
কমরেডস্, এমন নমায করি গো আদায় …
স্বর্গজ সমাজ বিনির্ম্মাণে!
একত্বম্, (মৌমাছির ঝাঁকময়) দাঁড়াই কাতারে … কাতারে কাতার …
আদিগন্তে পাতা সবুজ জায়নমায …
দূরে …
বাউলিয়ানায়
সাধের একতারা
গাইছে—
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে! …
সবুজিয়াপন্থা
………………………………………………………………
সুরেলা আযান জাগা সুবহসাদেকে
জ্যোৎস্নার আলো
আর
শিশিরের জলে অযু করে
পাখিসব
(কিচিরমিচির) সুরেলা সুরায় পড়ছে নমায, সবুজ পাতার মসজিদে।
পরমের পরম আবাস
মাটির ধরায়
সবুজ পাতার মতবাদে (…)
ঊষার রঙীন আলোর জিকিরে
ফোটে
কুয়াশামুখর ভোর, সবুজ পাতায় লেগে থাকা শিশিরের জলে
রোদমাখা
সোনালী ছটায় সবুজের হাসি— সবুজিয়াপন্থা …
শ্যামলে শ্যামল নীলিমায় নীল
পরম নিখিলে
সবুজের পদধ্বনিময়
বৃক্ষের মিছিলে … পূণ্যণ্যবৃক্ষে, বৃক্ষপূণ্যে
আদিগন্তে
ফুটছে ফুলেরা
(আ মে ন … আ মে ন … সুরে) ভ্রমর-আকুল …
স্বয়ম্বরা
……………………………………………………………………………
জনৈক নারিবাদী, বলছেন—
যেদিন থেকে
ব-এর ওপর থেকে ঔ-কারের ঘোমটা খসে
উ-কারের প্রেমে পড়ে
(নবরূপে)
উত্তীর্ণন হল
সেদিন থেকে চাঁপাডাঙার বৌয়েরা ঘোমটা খসানো বউ হয়ে গেল … যাচ্ছে …
ব-দ্বীপ অঞ্চলে
বৌ কিংবা
বহনের
অস্তিত্বাদিকরের বিপরীতে
বউ কিংবা
বহনের
(নবরূপে) উত্তীর্ণনে নির্ব্বাচন করছেন
বর!
এবং সমাজকে দিচ্ছেন,
চতুর্দ্দোলা!
আম কাঁঠালের ডাল
আর
কাজলা দীঘির মনে শাপলাশালুকভরা
জলের শরীর কাঁপানো মেয়েরা
এখন আর
চতুর্দ্দোলায় চড়ে বধু যায় না … ‘বৌ কথা কও’ পাখীদের দেশে …
সূর্য্যোৎসব সকাল চর্চ্চার উপাখ্যান
ওঁ সূর্য্যং নমঃ
সুন্দর দেখার পথে কোথাও যাব না এখন
বসে থাকব এখানে
কফির টেবিলে
জীবনচরিত
বিগতপথের বিষাদ হরণে
ধূমায়িত
কফির পেয়ালা থেকে
আয়েশি চুমুকে
নেব
অমিয় পিপাসা! …
ভেজা হাওয়ার নিমন্ত্রণে
কোমল আলোর স্নানে
দেখব পলকহারা
ডিমের কুসুমরাঙা টিপ শোভিত কপালে
পৃথিবীর
প্রথম সূর্য্যোদয়!
ঢেউছুঁইছুঁই … সমুদ্রসৈকতে …
ফরেষ্ট হিলের
ক্যাফে
সকালচর্চ্চায়
পৃথিবীর প্রথম সূর্য্য
উঠছে
ভোরের কপালে …ভোর > দিবসের সুবহ চেতনা! …
পাঠ, মাঠ ও ঘাটের কথা
……………………………………..
কেবল পাঠে না, চাই মাঠে এবং ঘাটেও …
ভাটির উজানে
কালের কলস … জল ছুঁই ছুঁই …
পাঠে
নীলাভ আকাশ ছোঁয়া নকশিকাঁথার মাঠ,
বসে ঘাটে
দৃষ্টির সীমায় …
কে কখন
বাঁধছে কাহারে?
নিতে জেনে
কেবল মাঠে না, চাই পাঠে এবং ঘাটেও …
নী-রব ফুঁ-এর আস্বাদনে
বাজুক বাঁশরী! …মাঠের পরাণে পাঠ
আর
পাঠের পরাণে মাঠের কথন, হবে ঘাটে!
আরণ্যক টিটো
জন্ম : জুন, ০৬, ১৯৭৭।
জন্মস্থান : উত্তর গোবীন্দর খীল, হাঁদু চৌধুরী বাড়ী, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
(শৈশব কৈশোর ও তারুণ্যের সময়যাপন)
বেড়ে ওঠা (পূর্ব্ব বালিয়াদী, মীরশ্বরাই, চট্টগ্রাম) নানার বাড়ীতে।
প্রকাশিত কবিতার বই : ফুলেরা পোষাক পরে না (সাল: ২০১৮, প্রকাশক : মনফকিরা, কলিকেতা)।
সম্পাদক : চারবাক।