চাঁদের বর্ষা
ঝটিতে লেখা পদ্য ঝাঁঝাঁ রোদ কাঁখে বাসন্তী বায়;
আমি বুড়িগঙ্গা
আমার সারাজীবন হৃদয় মরার ভয়
-হিরোটা অন্য কেউ হও ।
ব্যক্তিত্ব যাবে না, কাঁদো!
তুচ্ছ পঙক্তি ভেজালে নতুন চোখ নড়বড়ে হয় পাতা ।
কাঁদা ছাড়া কোন সময় থাকে পায়ের নীচে পথ
হাড় দেখিয়ে দুড়দাড় প্রস্থান?
সস্তা কবিতা পড়ে কিছু মেয়ে খুব কাঁদে ।
কী করব, দুধকুমোরের জলে যে তখন ফুল-বসন্ত-আলো?
বলব, কান্না থামা, এইটা কবিতা না?
পিঁপড়ের মিছিল থেকে উড়ে এল আধখাওয়া বেতবুনোফল;
আমার মন খারাপ
আমি বিদ্রূপ মেখে হাসব কেন?
-এক কাপ ভারী চা দিন, চামচ দিয়ে খাই ।
শেষবেলার লোক
শব্দরাজ দুঃখ, আমি নিঃসন্তান
একার ওপর আস্ত একা
আমার অসংবৃত লোভ দ্রষ্টব্য জীবন
দেখা থাক, চুমু থাক, আজ থাক-
শেষ বর্ষায় হোক না একটা প্রেম
সব ধ্যানে, সব পাপে
দূর দূর উড়ুপথে আত্মগত নদী, প্রিয় আমি
এবং অবশিষ্ট পুণ্যাত্মা
যতদূর যেতে চায়
যতদূর যেতে যেতে সীমান্তফাঁড়ি
যতদূরে দূরত্ববিদায়
সেইসব দূরান্তের কাছে
সেইসব অমৈত্র্যের কাছে
অরণ্য চাঁদের হাত স্বপ্নে ধরুক
ঘর্মাক্ত বগলে প্রেম থাকুক, প্রেমিকারা দেশে থাকুক
আমার প্রেমিকারা হোক দেশপ্রেমিক ।
যতটা শোনা যায়
কাল সারাটি বিকেল আমি তোমার সাথে
দোতলা ভলভোয় চেপে মিরপুর
ভায়া ফার্মগেট হয়ে রমনার সবুজ চত্বরে ।
আমি জানি
ফুটপাত থেকে কেনা দেড়শো টাকার বহুমূল্য শার্টে
আমাকে আশ্চর্যরকম সুন্দর দেখাচ্ছিল
যদিও তোমার চোখে আমি কখনোই
ঠিক স্মার্ট হয়ে উঠতে পারিনি ।
তবুও আমি সপ্রতিভ । মুখে কুলুপ এঁটে
শুধুমাত্র একটি বিশেষ কথা শোনার অপেক্ষায়
বসে ছিলাম অখণ্ড মনোযোগে ।
অথচ বিস্তর আলামত দেখিয়েও
তুমি বলনি । হয়তো ভুলে গেছ
হয়তো মনে পড়ি পড়ি করেও মগজে পড়ছিল না !
খিদে পেলে দশ টাকার কফি, ভেজা পেটিস
খেতে গিয়ে আমার ভোজনরসিকত্ব নিয়ে
কী একটা রসিকতা করলে-সত্যি বলছি,
বড্ড কানে বেজেছিল তা ।
তোমাকে দোষ দিই না
অমন বুভুক্ষের মতো খাচ্ছিলাম!
কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি কখনোই ঠিক
অমনটা ছিলাম না । একটা শীতল তন্দ্রাচ্ছন্নতায়
আমি ঘুরপাক খাচ্ছিলাম-তোমার মুখ থেকে
কেবল একটি কথা শুনব বলে ।
বিদায়ের আগক্ষণে নিজেকে প্রবোধ দিয়েছি
-দুঃখ কোরো না, কিছু নাই বা শুনলে আজ
একটা ভালো দিন তো কাটালে!
আজ, এই মধ্যরাতে তোমাকে লিখছি
মানছি নিরর্থক এ লেখা, কারণ তুমি জানতে
কাল আমার জন্মদিন ছিল ।
নান্দীকর
নিজেকে আড়াল করে দাঁড়ালে
অনুতাপ রাত করে ফেরে, বাড়ির বউ
বাড়ির থাকে না ।
নিজেকে আড়াল করে দাঁড়ালে
সত্য, সত্য থাকে না ।
হুমায়ুন আজাদ হয়ে দাঁড়ালে
অনুতাপ রাত করে ফিরত না, বাড়ির বউ
বাড়ির থাকত ।
হুমায়ুন আজাদ হয়ে দাঁড়ালে
সত্য, সত্য থাকত ।
মা-মেয়ের রিকশায় প্রথমজন অতিরিক্ত স্মার্ট
রিকশায় মেয়ে চাপলে
চালকের গায়ে শক্তি এসে যায়
দুগগা, দুগগা…
মা, আপনি তাকাচ্ছেন!
আমার আগ্রহ কিন্তু ছোটোজনের দিকে ।
গার্লস্ হোস্টেলের দারোয়ান গোপনীয়তার সমার্থক
ফেরারির ড্রাইভার হতে তার আপত্তি
থাকতেই পারে; সত্য হল
সারাক্ষণ তার ঝিমুনি আসতেই পারে ।
সত্য মাতালও বলে
তবে কথা হচ্ছে, উনি ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড না
আল্লা না ।
প্রেমে জড়াবার আগে
পুরস্কারপ্রাপ্তির দিনে
ভাবুন, এটা স্পট ফিক্সিং না তো!