ফিরে আসা উড়ালমোড়
কেবল স্মৃতিই মুখরা পাখী— নির্দ্ধিধায় উড়াল দেয় … ডানা গুটিয়ে এসে বসে মাছরাঙার ঢঙে!
প্রেরক: শীতের দুপুর প্রাপক: তোমার ঘুম
দীর্ঘ অপেক্ষা
শীতের দুপুরে অপেক্ষা নেমে আসে জ্বলজ্বলে চোখে …
কেবল নামতেই থাকে শান্ত অন্ধকার বেয়ে বেয়ে। অস্থির হয়ে ওঠে তোমার পায়ে অসংখ্য হাঁটার শব্দ ….
… যারা এই বিষণ্ণ সন্ধ্যায় হেঁটে যায় মধ্যদুপুরের দিকে তারাই কি কেবল—
দীর্ঘ অপেক্ষা নিয়ে তোমার পায়ে কান পেতে থাকে?পুরাতন স্মৃতি
কার অপেক্ষায় আস ছায়া হয়ে?
ছায়া ঘিরে বয়ে গেছে বিগত পিপাসা সমুদ্দুরে …শীতের দুপুরে ঘুম ভেঙে খুঁজছি— সমুদ্দুর …
যদিও চলে গেছে ঢেউয়ে ঢেউ! ঘরে রাখা ঝিনুকই সমুদ্দুরের গান!
গানের কপালে ঘুমিয়ে পড়ছে মাঝরাত! মাঝরাতে চাঁদ উড়ালমোড়ে ডানা ঝাপটায় …
সোনালী পাতা পুড়িয়ে দেয় অবিকল তোমার ঠোঁট!
উড়ালমোড়ে মুছে যাচ্ছে পুরাতন স্মৃতি
চুমুক রাখছে আমাদের দুধ চায়ের কাপে!
উড়ে যায় জোনাকী
প্রেরক: এক নং প্লাটফর্ম প্রাপক: তোমার পা
হেমন্তের পথ
গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছ তুমি। আকাশ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে— তারাদের নিশ্চুপ তাকিয়ে থাকা!
তোমার হাতের সোনালী পাতা পুড়িয়ে দিচ্ছে অন্ধকারকে …
অন্ধকারের ভেতর ডুবে আছে সকল কোলাহল— বিগত প্রেমিকাদের ভুলে থাকার যন্ত্রণা!
তোমার দাঁড়িয়ে থাকায় হঠাৎ ডেকে গেল একটি ডাহুক পাখী! আচমকা হু-হু করে উঠল তোমার পা …
দু’পা ডিঙিয়ে উড়ে যায় জোনাকী! হেমন্তের পথ ধরে হেঁটে আসে আরো আরো যন্ত্রণা— ভুলে থাকার আহাজারি….ভাঙন
ঘুম আর দুধ চা সম্পূর্ণ বিপরীত জেনেও এদের ভালবেসেছি মধ্যদুপুরে!
এক নং প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দেখেছি— হেমন্তের চলে যাওয়া …
সোনালী পাতার ফিরে আসাকে বেরিকেড দিয়েছি— রোদ চশমার আড়ালে
তারপরও পুড়ে গেল চোখ, পুড়ে যাচ্ছে নীরবতা!
তানজিন তামান্না
৯ নভেম্বর বাঙলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
ছোটকাগজ ‘সতীর্থ’ এর মাধ্যমে লেখালেখি শুরু। পরবর্ত্তীতে ‘জঙশন’, ‘প্রতিশিল্প’, ‘সূর্যঘড়ি’ প্রভৃতি লিটল ম্যাগাজিনে তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ‘বিন্দু’, ‘কালিমাটি’ ওয়েবজিনে তার লেখা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ: ‘কুরিয়ার সিরিজের কবিতা।
বর্ত্তমানে ‘ওয়াকিং ডিসট্যান্স’ নামে অনলাইন লিটলম্যাগ সম্পাদনা করছেন।