গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস
(ছবী : ইণ্টারনেট থেকে)
বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী লেখক গ্যাব্রিয়েল হাসে ডি লা কনকর্ডিয়া গার্সিয়া মার্কেস (Gabriel Jose de la concordia Garcia Marquez), তিনি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস (১৯২৮-২০১৪) নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি কলম্বিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য দ্বারা বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হলেও সমগ্র ল্যাটিন আমেরিকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে তাঁর লেখনীতে ধারণ করেন। তাই জাতীতে কলম্বিয়ান হয়েও তিনি ল্যাটিন আমেরিকার কণ্ঠস্বর। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্দ্দেশক ও কাহিনীকার। সাহিত্যজগতে তাঁর আগমন ছোটগল্প লিখে, নাম— Eyes of a Blue Dog (1947), তারপর লিখেন একটি নভেলা Leaf storm (1955), ১৯৬১ সালে প্রকাশিত No One writes to the colonel. নভেলার মাধ্যমে তিনি সমকালে বিশেষ জনপ্রিয়তা ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তাঁর রচিত সর্ব্বশেষ নভেলা Memories of my meancholy whore (2004).
তাঁর রচিত উপন্যাস: in evil hour (1962), One Hundred years of solitude (1967), The Autamin of the patriarch (1975), Love in the time of cholera (1984), The General and his labyrinth (1989) of love and other demon (1994) এছাড়াও তাঁর রচিত ছোটগল্প গ্রন্থ The incredible and sad tale of innocent Erendira and her heartles Grandmother (1978). সংবাদ প্রতিবেদন The story of a shipwrecked sailor (1970). প্রবন্ধগ্রন্থ The solitude of Latin America (1982) উল্লেখযোগ্য।
ল্যাটিন আমেরিকার ইতিহাসে বিশ শতকের ষাটের দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, প্রথমত ১৯৬২ সালের কিউবা সংকট বা রুশ-মার্কিন পারমানবিক যুদ্ধাবস্থা, দ্বিতীয়ত এই দশকে ল্যাটিন আমেরিকার সাহিত্যে নবযুগের সূচনা, সমালোচকেরা একে অভিহিত করেন “Boom” নামে। যা প্রধানত ল্যাটিন আমেরিকার উপন্যাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হোর্হে লুইস বোর্হেস (1899-1986) আলেহে কার্পেন্তিয়ের (১৯০৪-১৯৮০), মিগুয়েল আনহেল আরিয়াস (১৮৯৯-১৯৭৪), আর্তু উসলার পিয়েত্রি (১৯০৬-২০০১) গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস (১৯২৮-২০১৪), হুয়ান কার্লোস ওনেত্তি (১৯০৯-১৯৯৪) ও হুয়ান রালফো (১৯১৭-১৯৮৬) এই নবযুগের অন্যতম লেখক। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ও হোর্হে লুইস বোর্হেস এঁদের মাঝে একটু আলাদা, কারণ তাঁদের নিজস্ব জীবনবোধ। উভয়েই যাদুবাস্তবতার যাদুকর। এই ‘Boom’ ধারার লেখকদের প্রধান বৈশিষ্ট্য দেশের গণ্ডি অতিক্রম করে পুরো ল্যাটিন আমেরিকা বা Meso-American হয়ে ওঠা।
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস সে জায়গা থেকে নিজেকে করে তুলেন আন্তর্জাতিক। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম্ম বলা যায় নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ উপন্যাসকে। এই উপন্যাসে মার্কেস তুলে ধরেন মানবজাতির ইতিহাস ও প্রবণতাকে বাইবেলীয় মিথের সমান্তরালে। উপন্যাসের প্রচলিত ফর্ম ভেঙে ফেলেন তিনি এই উপন্যাসে। উপন্যাসের ব্যাপ্তী প্রায় ১২৫ বছর, কিন্তু সময় এখানে স্থির ও একক নয়, একই বস্তুর বিভিন্ন তলের মত সময়ও এখানে বহুতল বিস্তৃত। মনে হয় যেন Loop timing যা সাধারণত সায়েন্স ফিকশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই শৈলী ব্যবহার করেই তিনি যাতায়াত করেন অতীত বর্ত্তমান ও ভবিষ্যতে। নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের Sudamericana প্রকাশনী সংস্থা থেকে ১৯৬৭ সালে Cien anas de soleded নামে। এ পর্য্যন্ত বইটি ৪৫টির বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। বাংলায় প্রথম মার্কেস অনুবাদক মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। উপন্যাসে পরিচ্ছেদ সংখ্যা ২০টি।পরিচ্ছেদগুলোকে মোটামুটি চারটি প্রধান ভাগে বিন্যস্ত করা যায়— ১ম থেকে ৫ম পরিচ্ছেদে বিবৃত হয়েছে বোয়েনদিয়া পরিবারের ইতিবৃত্ত ও মাকন্দো পত্তনের ইতিহাস, ৬ষ্ঠ থেকে দশম পরিচ্ছেদে রয়েছে বোয়েনদিয়া পরিবারের সমৃদ্ধি, সরকারি কর্ম্মকর্ত্তার হস্তক্ষেপ ও মাকন্দো’র সমৃদ্ধি, ১১ থেকে ১৫ পরিচ্ছেদে রয়েছে কর্নেল আউরেলিয়ানোর যুদ্ধে অংশগ্রহন ও বাড়ী ফিরে আসা, ১৬ থেকে ২০ পরিচ্ছেদে রয়েছে মান্দো ও বোয়েনদিয়া পরিবারের অবক্ষয় ও বিলুপ্তি।
নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ উপন্যাসের প্রধান বিষয় নি:সঙ্গতা ও প্রেমহীনতা। এছাড়াও ভাগ্য ও সুযোগ, সময়, মৃত্যু, জ্ঞান ও অজ্ঞতা, মিথ, যাদুবাস্তবতা, রাজনীতি উপন্যাসের অন্যতম উপজীব্য। হিস্পানী ভাষার অন্যতম লেখক মিগেল ডি সারভেস্তেসের মত করে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এ উপন্যাসে। কর্নেল আউরেলিয়ানোর ৩১ টি ব্যর্থ অভ্যুত্থানকে এক কথায় বলা যায় ‘কুইক্সোটিক’। মার্কেস সেরভাম্ভেসের যথার্থ উত্তরসূরী এদিক থেকে। সমালোচক Gordon Botherstone বলেন—
‘The novel does fun of people, especially politician and writers. It satirizes the chaos of latin American history, as well as the gullibility of people so easily taken in by circus freaks and politicians. Mostly, it make fun of the reader, who in the act of reading realizes that he or she is a Buendia, who is reading the parchments of Melquedes and ignoring the child being eaten on the floor.'[১]
মার্কেসের ঘটনা বিবৃত করার স্টাইলও অভিনব। তিনি এই উপন্যাসে অনুসরণ করেন চিরায়ত গল্প বলার ভঙ্গী, যা তিনি পেয়েছেন তার দাদীর নিকট থেকে ছোটবেলায় গল্প শোনার মাধ্যমে।
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস কে হাসান আজিজুল হক অভিহিত করেন “মহাদেশের কথক” বলে। যথার্থ অর্থেই তিনি মহাদেশের কথক। ল্যাটিন আমেরিকার প্রায় প্রতিটি দেশ পঞ্চদশ শতাব্দীতে পরিণত হয় উপনিবেশে— স্পেনের, ইংল্যান্ডের কিংবা পর্তুগালের। এই উপনিবেশী শাসন চলে ঊনিশ শতকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশক পর্য্যন্ত। ১৯ শতকের ল্যাটিন আমেরিকায় যে স্বাধীনতা স্পৃহা জন্ম নেয় তার মূল কারিগর সাইমন বলিভার। তিনিই প্রথম মুক্তির পথ দেখান ল্যাটিন আমেরিকার বাসিন্দাদের। ইউরোপীয় উপনিবেশ সময়কালে ল্যাটিন আমেরিকার জনগণ ছিল প্রায় দাস, তাদের কোন মর্য্যাদা বা মূল্যায়ন ছিল না। মার্কেস নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন ১৯ শতকের বাস্তবতা কিন্তু যা যাদু বাস্তবতার অধিকতর অনুগামী।
হোসে আরকাদিও বোয়েনদিয়া মাকন্দো গ্রামের পত্তন করে, সে ও তার সঙ্গীরা সবাই মিলে সেখানেই বসবাস শুরু করে। হোসে আরকাদিও utopian গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে মাকন্দো কে, তাই সে মোরগ লড়াই নিষিদ্ধ করে। যদিও তার এই “utopian land” [২] একসময় বিলুপ্ত হয়ে যায়।
মার্কেস যেন এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে সময় সবকিছু বদলে দেয়। তাই উপন্যাসে শুরুতে যে দম্পতি সন্তান নিতে অনাগ্রহী শেষ পর্য্যন্ত তাদের পঞ্চম প্রজন্মের আগমন ঘটে! মাকন্দোর সকল সমৃদ্ধি উপেক্ষা করে কর্নেল আউরেলিয়ানো যুদ্ধে যায়— যায় বিপন্ন জীবনে। যা বোয়েনদিয়া পরিবারের অমোঘ নিয়তি বলে মনে হয়। তাদের বংশে কেউ কখনো স্বাভাবিক বা স্থিতিশীল জীবন গড়ে তুলতে পারেনি। এর মূলে রয়েছে বংশের প্রথম পুরুষ হোসে আরকাদিও বোয়েনদিয়ার পাপ— প্রুদেনসিও আগিলারকে হত্যা। এ যেন বাইবেলীয় মিথ এ্যাডাম ও ইভ-এর আদিপাপের নবতর সংস্করণ। এ্যাডাম ও ইভ যেমন স্বর্গপরিত্যক্ত হয় তেমনি হোসে আরকাদিও ও উরসুলা জীবনে শান্তি ও স্থিতি হারিয়ে ফেলে। বৃদ্ধ মেলকিয়াদেস যেন কোন দেবদূত যে চেষ্টা করে যায় হোসে আরকাদিও ও উরসুলার জীবনে আনন্দ ও জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দেয়ার। ‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’ উপন্যাসে মার্কেস কিন্তু নৈরাশ্যের বাণী শোনাননি। তিনি নিজেকে মনে করেন উইলিয়াম ফকনারের সহগামী। তাই তিনিও ফকনারের মতই মানুষের অস্তিত্বে বিশ্বাসী ও মানুষের ইতিবাচকতায় আস্থাশীল।
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস কমিউনিস্ট ধারার রাজনীতির প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। এই উপন্যাসে তিনি যে সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তাও যেন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শেরই অনুগামী। কর্নেল আউরেলিয়ানো যে যুদ্ধে বারবার জড়িয়ে যায় তা হল রক্ষণশীল বনাম উদারপন্থী দলের যুদ্ধ। তাঁদের আদর্শ দুইরকম। উদারপন্থীরা চায় সমাজে যে যার মত থাকুক, আইন-ধর্মের অনুশাসন না থাকুক। “উদারপন্থী মানে হল কুলিমজুর— শিক্ষাদীক্ষা নেই, পাদ্রিবাবাদের ফাঁসি দিতে চায়, ওরা আইনি বিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ চালু করতে চায়, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে এবং দেশটার পুনর্ব্বিন্যাস ঘটিয়ে ফেডারাল শাসন চালু করতে চায় যাতে সর্ব্বোচ্চ কেন্দ্রীয় শাসনকর্ত্তার একচ্ছত্র ক্ষমতা ছাড়তে হয়।” [৩]
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস জীবনকে দেখেন মহাজীবনকে কেন্দ্রে রেখে। একজন মানুষ কিংবা একজন ব্যক্তি দ্বারাই সমাজ বিপ্লব কিংবা সমাজ ধ্বংস কোনোটাই সম্ভব নয়। জীবনকে সামষ্টিক ভাবে দেখলে জীবনকে বুঝতে সুবিধা হয়। ‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’ উপন্যাসে মাকন্দো গ্রামে প্রথম যে বিপদ দেখা দেয় তা অনেকটাই অ্যাবসার্ড— বাড়ী রঙ করা ও কোন্ রঙ করা হবে তা। যদিও এতে রক্ষণশীল ও উদারপন্থী চিহ্ন রয়েছে। মাকন্দো গ্রাম একদিকে কিন্তু অন্যদিকে পুরোদেশ, মাকন্দোতে যতই আদর্শিক দিক থাকুক না কেন পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা সে দিকটিকে ধ্বংস করবেই। মাকন্দোকে পরিবর্ত্তিত করে তুলে ইংরেজ মি. ব্রাউন, সে টেলিফোন লাইন, রেললাইন, টেলিগ্রাফ নিয়ে আসে। এ সবই আনা হয় তার ব্যবসার সুবিধার্তে। সে কলা চাষের খামার গড়ে তুলে শ্রমিক বানিয়ে ফেলে মাকন্দোর ও আশেপাশের অধিবাসীদের। ফলে এরা হয়ে যায় পরাধীন ও উৎপাদনযন্ত্র। যখনই এরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে মেশিনগান গর্জ্জে ওঠে। মারা যায় তিন হাজার নারী, শিশু পুরুষ। মার্কেস দেখিয়েছেন পুঁজিবাদী সমাজ কিভাবে মানুষকে দাসে পরিনত করে ও শিকারের লক্ষ্যে পরিণত হয় সাধারণ মানুষ। ‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’ মহাকাব্যিক উপন্যাস। এর সময়কালের ব্যাপ্তী, বর্ণনাকৌশল, চরিত্রায়ণ, প্রতীক ব্যবহার, মিথ ব্যবহার, ল্যাটিন আমেরিকার সমাজ কাঠামো সকল কিছু নিয়েই এটি অনন্য। বিশ্বসাহিত্য যথার্থ মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনার যে কয়টি উপন্যাস রয়েছে তার অন্যতম ‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’। তবে নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ যে কারণে অন্য সব উপন্যাস হতে আলাদা তা হল ল্যাটিন আমেরিকার বাস্তবতাকে ধারণ, যা যাদুবাস্তবতার প্রতিভূ। জীবনকে জীবনের মতই করেই দেখা কিন্তু এ দেখা সম্ভাব্যতার সীমানা ছাড়িয়ে।
“On the basis of the close Reading of his work, it would be appropriate to hold that he was able to raise such strong protest against colonialism only because he chose to write in the tradition of magical realism. Garcia Marquez’s multi-layered writing smack of firm belief in magical realism and can be interpreted on several levels of meanings.” [৪]
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। তিনি জীবনকে দেখতে চান মনকে নয় জীবনকে কেন্দ্রে রেখে, তাই তিনি যাদুবাস্তবতার লেখক পরাবাস্তবতার নয়। ‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’ মহাকাব্যিক উপন্যাসে তিন কাল প্রবিষ্ট হয়েছে, পাঁচ প্রজন্মের মৃত্যু ঘটে, কর্নেলের ৩১টি ব্যর্থ বিপ্লবচেষ্টা দেখা যায়, দেখা যায় অনিয়ন্ত্রিত অবাধ যৌনাচার। সব মিলে যা মানবজীবনের সীমানা ছাড়িয়ে বিস্তৃত।
তথ্য নির্দেশ:
১. The Emergence of the Latin American Novel, Gordon Brotherstone, Penguine Books,1980, Page No-234.
২. Quixotic Images in Garcia Marquez’s One Hundred Years of Solitude, Maneesha Taneja, Journal of Delhi University 2000, Page No-189.৩. নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ, তরুণ কুমার ঘটক অনূদিত,প্রতিভাস প্রকাশনা,কলকাতা,২০১৪, পৃষ্ঠা—১১৩।
৪. Magical Realism, Social Protests and anti-colonial Sentiments in One Hundred Years of Solitude : An Instance of Historiographic Metafiction, Muntasir Ahmed and Ayaz Afsar, Asian Journal of Latin American Studies, 2014,Vol. 27, Page No-233.
সহায়ক গ্রন্থ :
১. The Emergence of the Latin American Novel, Gordon Brotherstone, Penguine Books,1980.
২. Quixotic Images in Garcia Marquez’s One Hundred Years of Solitude, Maneesha Taneja, Journal of Delhi University 2000.
৩. নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ, তরুণ কুমার ঘটক অনূদিত, প্রতিভাস প্রকাশনা, কলকাতা, ২০১৪।
৪. Magical Realism, Social Protests and anti-colonial Sentiments in One Hundred Years of Solitude : An Instance of Historiographic Metafiction, Muntasir Ahmed and Ayaz Afsar, Asian Journal of Latin American Studies, 2014,Vol. 27.
৫. কথাসাহিত্যের কথকতা, হাসান আজিজুল হক, সাহিত্য প্রকাশ প্রকাশন, ২৯৮১।
৬. পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যভাবনা, সম্পাদনা— নবেন্দু সেন, সাহিত্যিকী প্রকাশ, ২০০৯।
৭. প্রবন্ধ সমগ্র— ১, কবীর চৌধুরী, অনন্যা প্রকাশনী, ২০০৪।
চলন্ত সরকার
জন্ম : ১ এপ্রিল ১৯৯২, মৈমনসিনংহ।
আগ্রহের বিষয় : মিথলজী, তুলনামূলক সাহিত্য, পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব।
পড়াশোনা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল। বাংলা ভাষা সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।