নাছির ভাই সাইনবোর্ডের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়েন। তার এই এক ক্ষমতা আছে। ভাল বা মন্দ দুটো বুঝাতেই তিনি একইভাবে মাথা নাড়তে পারেন। মাথা নাড়তে নাড়তেই যেন বুঝিয়ে দিতে পারেন আমেরিকার রাজনীতি থেকে, সৌদির তেলের সংকট এবং আন্তর্জাতিক বৈষম্য নিয়ে তার চিন্তা। মামুন প্রথমদিন বুঝতে পারেনি নাছির ভাইয়ের মাথা দোলানোর অর্থ। কিন্তু চোখের সামনেই দেখত, কী সুন্দর ৫ বছরের ছেলেটা নেভী সিগারেট আর চা নিয়ে হাজির হয়ে যেত নাছির ভাই মাথা নাড়লেই। অবসরে এই ছেলের কাজ তার বিশাল দুটো কুকুর নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেলা করা। অপার্থিব লাগে মামুনের, যখন ছেলেটা হাত বুলিয়ে দেয় কুকুরগুলোর মাথায়। জন্মান্তরে তারা কে ছিল?
আসুন, নিউ নচিকেতা শিল্পী গোষ্ঠীর মাষ্টারের কাছে। কারো কারো কাছে তিনি ওস্তাদ নাছির ভাই। ঘষে যাওয়া গলায় তিনি অদ্ভুত সব রসাত্মক গান করেন। খুব চলে ইদানিং এইসব গান গায়ে হলুদে। অনেক দূর থেকে মানুষ আসে। এসে হাসতে হাসতে ভেঙে পড়ে তার গানের কথা নিয়ে। একবার তিনি গান গাইলেই ৫০০০ টাকা নেন। “কোন ভাইখেলা নাই” পার্টিকে প্রায় বলেন তিনি। সাথে ওইরাতের খাওয়া ফ্রী। ব্যক্তিগত জীবনে নাছির ভাইয়ের আপন কেউ নেই। মামুন মাঝে মাঝে এসে বসে থাকে তার ‘বসতবাড়ী’তে। ‘বসতবাড়ী’ নামটা মামুনের দেয়া। অনেকদিনের পুরোনো ডোবার পাশে, একটা বাসী গন্ধওয়ালা উঠোন পেরিয়ে ঢুকতে হয় নাছির ভাইয়ের ঘরে। দেড়শ টাকার রবীন্দ্রনাথের চোখ নড়ে যাওয়া ছবি, এবং লাল ইটের ‘পরে কালচে শ্যাওলা দেওয়া কালের ছাপ প্রথমেই চোখে পড়ে। মামুনের অবশ্য আকর্ষণ হল, ছাদের চৌবাচ্চাটা। নাছির ভাই ওটাকে বাথটাব বানিয়েছেন। ৫০ টাকার দুই পলিথিন স্পিরিট দেওয়া মদ নিয়ে গিয়ে ওই বাথটাবে বসে নাছির ভাই আর মামুন খায়। প্রতিবার এই মদ খাওয়াটাই যেন তাদের শেষ খাওয়া। নেশা হলে মামুনের মনে হয়, এটা বাঘের খাঁচা। নাছির ভাই বুড়ো বাঘ। গর্জ্জে গর্জ্জে গান গায়। সবই নচিকেতার গান। সুরের কোন বালায় থাকে না ওইগানে। এ যেন অন্য একজন। ওস্তাদ নাছির ভাই হয়ে যান দূরদ্বীপের একজন একলা জেলে। মাছ ধরতে গিয়ে যিনি ধরে ফেলেছিলেন রূপকথার এক অন্ধ দৈত্যকে। মাছরাঙা শরীরের ওই দৈত্য ভাসতে ভাসতে চলে এসেছিল দানিয়ুব থেকে। একেকজন একেকভাবে অনেকবার বলেছে এই দৈত্যের কথা! একজন থেকে অন্যজন হয়ে ছড়িয়ে পরেছে এক একটা দেশে! দৈত্যটা ভর করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। দৈত্যের বাহকরা বুড়ো হয়ে গেলে দূর দূর গ্রামের বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারের সন্ধ্যায় গল্প জমাত এই অন্ধ দৈত্যের। অন্ধ দৈত্যটার বাহক মনে হয় নাছির ভাই। বিশালদেহী এই লোকটা টাক মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে মামুনকে শোনায় সুরের ব্যঞ্জন। পোকায় খাওয়া রবীন্দ্রনাথের স্বরলিপী সহ গানের বইটা নিয়ে মামুনকে বোঝায় গান কীভাবে লিখতে হয়। মামুন খুব আনন্দের সাথে এই কাজটা করে। আসরে গাওয়া রসাত্মক গানগুলি মামুনই লেখে। মামুন আর নাছির ভাইয়ের জুটি এখন ‘নিউ নচিকেতা শিল্পী গোষ্ঠী’র প্রাণ। কোনরকম টিকে আছে এই সাইনবোর্ড আর মানুষগুলো। শহরের অলিতে গলিতে বুনে থাকা আদিম ঝুলের মত। বড় রাস্তা থেকে মামুন দেখে নাছির ভাইয়ের লোমশ হাতের মত জ্যাম ধরে যাওয়া মানুষের রঙ। কতশত মানুষ! কেউ দেখে না এই সাইনবোর্ড। অথচ প্রথমদিনেই মামুন থমকে দাঁড়ায় এই অদ্ভুত নাম দেখে। গান পাগল মামুন বসে থেকে গান শুনে। একদিন দুপুরে ঢুকেও পরে দোকানের ভিতরে। মাষ্টারের সাথে তখন থেকে সখ্যতা। মামুন গান লেখে। নাছির ভাই আসল গানের সুরে গানটাকে গাঁথেন।
মামুনের আসলে গাঁথা হয়নি কিছুই। সংসার হয়নি তার। যদিও অল্প বয়স, কিন্তু মন টানে না আর সংসারে। প্রেমিকা চলে যাওয়ার পর আবার রক্তে বানের ডাক আসছে। অথচ মামুনের কিছুই করার ছিল না তখন, যখন শেষবারের মত তার আদর মুখে চুমু খেয়েছিল কয়েকবার। তখনও মামুন জানতো না আর কিছুক্ষণ পরেই তারা আলাদা হয়ে যাবে। একটা সাদা রুমাল আছে তার দেওয়া। ওটাতেই যেন সব অভিযোগ। মামুন ভাবে তার নিজস্ব জগতের কথা। অতীতে সে দৌড়াচ্ছে আর দৌড়াচ্ছে! এ যেন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব্বের থমথমে পরিস্থিতি। যেন দমকা হাওয়াতেই ভর করেছে মামুনের শরীরে। মামুন তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়ে ওঠার আগেই বসন্তের আগমন জানিয়ে দিল ঈশ্বরের ইচ্ছার কথা। আরো হাজার মানুষের মত সেও মাথা পেতে নিল খোদার ইচ্ছাকে। আসলে মামুনের এখন ডাক এসেছে ফিরে যাওয়ার! মামুন যখন নেশায় চুর হয়ে এসব ভাবছে, নাছির ভাই বলে উঠলেন, আকাশের চাঁদ দেখসস?
মামুন তাকায়, কোন পার্থক্য করতে পারল না অন্যান্য দিনের চাঁদের সাথে। নাছির ভাই শুরু করলেন অন্য এক ভুবনের কথা!
নাছির ভাই একদিন এমন এক চাঁদের রাতে কবিগান দেখে ফিরতে গিয়েই চলে গিয়েছিলেন ওই ভুবনে। তিনি শোনা শুরু করেন প্রকৃতির গান। এ যেন হঠাৎ নতুন কিছু! ঝরা পাতা নামছে, তার সাথে ডেকে উঠছে কিছু পোঁকামাকড়। কোথাও একটা ব্যাঙ ডেকে ওঠল! নিশ্চয় সাপে ধরেছে। হঠাৎ একটা পাখী কান্না করে ওঠল! ডানা ঝাপটাতে গিয়ে ভুলবশত তার ডিমে লেগে পড়ে গেছে তা নীচে। আরো দুবার ডেকে সেও থেমে গেল। দূরে কোথাও হারিকুড়ী পাখী ডেকে ওঠেছে। আজ কারো মৃত্যু হবে? মন খারাপ হয়ে গেলে আরো বেশী করে বুঝতে পেত এসব। তার মাত্র ওই বয়সেই তাকে নিয়ে নিতে হল যুদ্ধের মত ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। লম্বা লম্বা মিলিটারিদের চেহারা যেন রাধাকৃষ্ণ পালার কংস মামা। প্রতিবারেই গ্রামে ঢুকলে পালাতে হয় তাদের সবাইকে। অনেক দূরে এক ঘন বনে। তখন তিনি শুধু শুনতেন ভয়ের কম্পাঙ্ক। মিলিটারীদের একতালে, একছন্দে এগিয়ে আসা। তার সাথে মিশে যায় রশীদ কাকার পোয়াতী বৌয়ের বুকের দুপদাপ আওয়াজ। সদ্য যুবতীর কৌমার্যহরণের ভয়ের ধুকপুকানি আবার আলাদা। কিন্তু এসব কোনটার সাথেই মিল নেই মহাজন জ্যাঠার বুকের হাহাকার ঝড়ানো আওয়াজের। প্রতিবারই মিলিটারী আসলে তার বুকে মৃত্যুভয় ঢুকে যাই। নাছির ভাই কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারেন না। যুদ্ধ শেষ হয় একদিন! কিছুদিন ভালই চলল নাছির ভাইদের। তখনই গাইতে শুরু করেন তিনি। কিছু না বুঝলেও, বুঝতে পারতেন মায়ার প্রকৃতি! হঠাৎ দেশে খাবার নেই। দলে দলে সব লোক চলতে শুরু করেছে ঢাকার দিকে। নাছির ভাইরাও সবাই প্রথমবারের মত ঢাকায় এলেন। তারা সবাই প্রকৃতি থেকে ছিটকে এসে পরেন ক্ষুধার কষ্টে। এরপর সব বদলে যাই! এক গানের স্কুলে চাকরী করতে করতে তবলা মুছতে গিয়ে দুই বোল মেরে দেখতেন। হারমোনিয়াম বাজাতে দেখলেই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে থাকতেন। মনে মনে শিখে নিতে শুরু করেন সারেগামা। কিছুদিন ওস্তাদ হাতে ধরে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ রেডিওতে নচিকেতার গান শুনতে পান। নাছির ভাই পেয়ে যান নতুন আলোর সন্ধান। যে ক্যাসেটের দোকানে নচিকেতার গানের ক্যাসেট আছে, সেই দোকানের চারপাশে ঘুরঘুর করতে থাকেন যদি একবার একটা গান বাজায় কেউ নচিকেতার। এভাবে সখ্যতা হয়ে যায় কয়েকটি দোকানের কর্মচারীর সাথে। তাদের মধ্যে শিবু ছিল একটু রাগচটা। একদিন নাছির ভাইকে ডেকে বলেন, একটা কাজ আছে। করতে পারলে টাকাও পাবি, সাথে দোকানে বসে নচিকেতার গানও শুনতে পারবি। নাছির ভাই যেন হাতে স্বর্গ পেলেন। ঘরে চারটা অভাবী মুখ তার দিকে তাকিয়ে আছেন। এইভাবেই তিনি ঢুকে পরেন স্মাগলিং বিজনেসে৷ তখন চলছে রেডিওর যুগ। যদিও এই দেশে পাওয়া যায় না তখনও, কিন্তু দেদারসে সবার ঘরে শোভা পাচ্ছে, চিৎকার করে যাচ্ছে রেডিওগুলো। অল্পদিনেই নাছির ভাইয়ের হাতে টাকা আসতে শুরু করল। দুইদিন আগেও যে ঘরে শুধু ক্ষুধার আওয়াজ ছিল, এখন সেইখানে রেডিও বাজে। ভালই টাকা কামিয়ে নিতে পেরেছিলেন তিনি। ছোটখাটো একজন স্মাগলার হয়েই রীতিমত হারমোনিয়ামের তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি।
নচিকেতার ঠিক ওই সময়ে বদলাতে শুরু হয় গানের কথা। তিনি হয়ে উঠতে শুরু করলেন নতুনদের প্রয়োজন! কিন্তু যেইদিন শিবুকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ, তার ঠিক দুইঘন্টার মধ্যে নাছির ভাই পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের একটা প্রাচীন লুক্কায়িত সমাজে এসে লুকিয়ে পরেন। শুধু টাকা, অল্প কিছু কাপড়, রেডিও, আর নচিকেতার গানের ক্যাসেট নিয়ে এসেছিলেন তারা। এসেই গানের দল বানিয়ে ফেললেন। প্রোগ্রামে যাওয়া শুরু করেন। ক্ষুধার কষ্ট জানতেন দেখেই শুরু করেছিলেন প্যাকেজ অনুষ্ঠানে গাওয়া। জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ একদিন পরে যায় দলটা!
নাছির ভাইয়ের এরপর থেকেই শুরু হয় নতুন এক জীবনে চলে আসা। একে একে পরিবার, বৌ, সন্তান সবাইকে মারা যেতে দেখলেন চোখের সামনে। অথচ ক্ষুধা ছিল না! ছিল না কোন অভাব। কিন্তু কীভাবে কীভাবে যেন সবাই মরে গেছে! পাঁচ বছরের বাচ্চাটা মারা যায় নিউমোনিয়ায়। বৌ মারা গিয়েছিল এক দুপুরে হঠাৎ পরে গিয়ে হার্ট এ্যাটাকে। সবগুলোই ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু! কিন্তু এত দ্রুত ঘটে গেল! নাছির ভাইয়ের চোখ ভিজে যায়।
কোথাও যেন কিছু মিলছে না নাছির ভাই আর মামুনের। দুইজনেই ডুবে থাকে মদের নেশায়। মামুন হঠাৎ নাছির ভাইকে বলে, ভাই এই চৌবাচ্চায় কি আত্মহত্যা করা যাবে? আপনি অনুমতি দিলে আমি আত্মহত্যা করব। নাছির ভাই হেসে দেন মামুনের কথায়। এমন আত্মহত্যা তিনি কতবার যে করেছেন! নাছির ভাই খুব বিশ্বাস করতেন নচিকেতার মত একদিন বিখ্যাত হবেন। কিন্তু তিনি হয়ে ওঠেছেন একজন প্যারোডী গায়ক। যৌন সুড়সুড়ির গান গেয়ে তিনি আনন্দ দেন মানুষকে। এও কি আত্মহত্যা নয়? তার ইচ্ছা ছিল না যুদ্ধ দেখার। কিন্তু তিনি দেখে ফেলেছেন মৃত্যু, ভয় আর অস্ত্রের আঘাত। এও কি মরে যাওয়া নয়? নাছির ভাই খুব ভয় পান। যখন এইসব স্মৃতি ফেরত আসে।
নাছির ভাই গাইতে শুরু করেছেন। মামুন এই নিয়ে তৃতীয়বার ডুব দিয়েছে চৌবাচ্ছার পানীতে। সে আত্মহত্যা করতে পারছে না। শ্বাসের ভয় হলেই অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, শরীর সায় করে মাথাটা ঠেলে দিচ্ছে পানীর বাইরে। মামুন পারছে না মরতে। নাছির ভাইকে দেখে এখন আর বাঘ মনে হচ্ছে না। পূর্ণিমার আলোয় চৌবাচ্চার রঙ হয়ে ওঠেছে সবুজ। আর নাছির ভাই হয়ে গেছেন একজন সুপুরুষ। চাঁদে কাকে যেন খুঁজেন। সে কি বিগতে দিনের হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট? না কি একজন নচিকেতা হতে না পারার দুঃখে এক অভিমানী গায়কের প্রতিচ্ছবী। নাছির ভাই গান গাইতেই আছেন।
মামুনের যেন কিছু মিলছে না। এমনতো হয় না। নাছির ভাই যেন হয়ে ওঠেছেন মামুনের কার্বনকপি। এক মামুন চেয়ে আছে অন্য মামুনের দিকে।
আসল মামুন, আমাকে কেন বোকা বানাচ্ছ! আমি তো এইখানেই বসে আছি।
ছায়া মামুন, এটা শুধু আমি নই। এটা তুমি, আমি, আমরা।
আসল মামুন, তুমি কী গো? একদম আমার মত দেখতে।
ছায়া মামুন, ঢং ছাড়। তোমাকে বুঝতে হবে এটা তুমি নও। সবাই কষ্ট পায়। তুমিও পাও। নাছির ভাইও পায়।
মামুন চোখ ডলে নাছির ভাইকে দেখে। নাছির ভাইয়ের চোখের পানীর রং সবুজ হয়ে যায়নি চৌবাচ্চার পানীর মত। চাঁদের আলোয় মুক্তো হয়ে গেছে যেন। পট্ পট্ করে ওঠে বসবাসের বসতবাড়ীর সবচেয়ে আদি বাসিন্দা কয়েকটি জালালী কবুতর। তাদের ঘুম যাওয়া দরকার। নাছির ভাই আর বুঝতে পারেন না প্রকৃতির ভাষা। তিনি গাইতেই থাকেন। গাইতেই থাকেন।
মামুন আর নাছির ভাই একটা বিন্দুতে চলে আসেন। তারা হয়ে ওঠেন এক নতুন প্যাঁচালী। সবকিছুই হচ্ছে, শুধু তাদেরটা হচ্ছে না আর ঠিকঠাক। শুধু মিলছে না আবার নতুন বিন্দু। ধাক্কা খেয়ে সরে যাচ্ছে এলোমেলো হয়ে। জমাট বাধছে না আর অনুভূতিগুলো। ব্যাক্তিগত কষ্টই এখন মূখ্য।
নাছির ভাই, নচিকেতা, মামুন তিনজনেই এক লাইনে এসে দাঁড়িয়ে যান যখন তাদের কিছুই মিলে না। সবই ঠিকঠাক চলছে তাদের, শুধু কিছু যেন মিলছে না আর!
ঈশান বড়ুয়া
জন্ম— সেপ্টেম্বর, ১৬, ১৯৯২। নিবাস— রাউজান, চট্টগ্রাম।
প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ মেহেরাজ হাসান শিশির