সাফাইর
আর্য্যভট্ট! কোথায় শূন্য+তা?
কোন্ নীল শূন্যতায় আকাশকে আকাশে ছড়িয়ে…
(0) শ্যুন্যেয়া হয়ে যাও নিমফুলের পাতায়।
এক অসম্পূর্ণ অস্তিত্বহীন অস্তিত্বে নিরপেক্ষ আওয়াজ;
বিদীর্ণ করছে নালন্দার প্রত্নতত্ত্ব। নাহ! তুমি___
ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক। কোনটাই নও!
আমি এক পাই। আমাকে নির্ণয় কর মাইক্রোওয়েভে;
দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতাবিহীন একমাত্রিক রেখায়,
যেখানে কাঁপছে— হেমন্তের শূন্যপুর বিভিন্ন কম্পাঙ্কে।
টেলিপ্যাথিতে জানাচ্ছ, কোন দুরারোগ্য নেই।
তোমার বিমূর্ত্ত সত্ত্বা দেহের উচ্ছেদে___
কাটারিভোগের গন্ধ ভেসে আসে সসীম শূন্যতায়।
আর, দিশেদিশে— মটরশুঁটিফুলের অপ্রান্তিক নৈঃশব্দ্যে
প্রতিদিন সাফাইরে শরীরবৃত্তীয় কলা___
এক্স এবং ওয়াই। গানিতিক অট্টালিকা, তবু ত্রিকোণমিতির আয়োজন।
একলব্য
ডান হাতের বুড়া আঙ্গুল কতটা প্রয়োজনীয়
বুঝেছিল দ্রোণাচার্য্য
একলব্যের মতন আমি হারতে চাই না যুদ্ধে
লিখব কবিতা, আর্য্য।
কী কারণে কী ব্যথায় ডান হাতের অবশ হল
বুড়া আঙ্গুলের ‘পর
মায়া সভ্যতার মহারাণী কাৎরাচ্ছে একা একা
কি-বোর্ড অক্ষরে জ্বর।
ছন্দ-মাত্রা-অন্ত্যমিল মিলে স্নায়ুতন্ত্রে দিল টান
চলে না আঙুল আর
কী করে লিখব মহাকাব্য, ‘একলব্য শোক’। বল—
নিঃসীম রাজাধিরাজ।
দুঃখ-শোক যখনই আসে… সুনামির বেগে আসে
আত্মজার বুক ছিলে
আশা মরিচীকায় তবুও বেঁধেছি যে ভেলা একা
তাও সাঙ্গ করে দিলে।
প্রভু, যাই বলেন আপনি— ‘সমর্পণ কখনও-ই
পাণ্ডুলিপির প্রধান চরিত্র হয় না।’
ঋজু রেজওয়ান
গ্রাম : প্রিয়কাঠি, পোঃ কনেশ্বর, উপজেলা : ডামুড্যা, শরীয়তপুর, বাঙলাদেশ।
পেশা : চাকুরী (স্বাস্থ্য বিভাগ), সম্পাদক : ছন্দ কবিতার অনুশীলন, শখ— কবিতা ও ছন্দবিষয়ক প্রবন্ধ লেখা।
প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ : মেহেরাজ হাসান শিশির
{একলব্য ও সাফাইর || ঋজু রেজওয়ানের কবিতা [বঙ্গীয় শব্দকোষ (শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়), বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ ও ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক ভাষাদর্শন (কলিম খান-রবি চক্রবর্ত্তী) অনুসৃত] চারবাক-এর বানান রীতিতে প্রকাশিত হল।
— সম্পাদকীয়}