অলঙ্করণ : হিম ঋতব্রত
ক্ষত বিষয়ক সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা
ভাবছি, ক্ষতটা সেলাই করে নেব; হাত দুখানি জুড়ে দেব
আর দুখানি হাতে।
ব্যাক্তিগত হতে হতে ক্রমান্বয়ে
বিষিয়ে উঠছি নিজের কাছে—
এপারের নুড়ীগুলো কান পেতে থাকে
ওপারের বালিদের আলাপনে—
হাত বাড়ালেই বুঝি
লোপ পাবে দূরত্বটুকু—
বেজে ওঠবে সমবেত কোলাহল—
পলির কারুকাজে মুছে যাবে স্রোতধারা।
নাহ্, থাক—
সব ক্ষত সারাতে নেই—
কিছু ক্ষত ভাল; পূর্ণতার সমান—
নদীর মত জারি রাখে প্রিয়নাম, প্রিয় প্রতিকৃতির যাতায়ত।
নিরুদ্দেশ ইশারা
শেফালীরা ঝরে গিয়ে
জানতে চেয়েছিল, বিচ্ছেদে কাঁদে কিনা
কাননের কেউ।
আহা, কত যে বকুল
কেঁদে কেঁদে অন্তর্লীন
(বি)লুপ্তির আঁধারে!
সব ফুল জেনেছে সে কথা,
জানেনি শুধু ঝরা শেফালীরা কেউ!
হেমন্তের চিরকুট
চল
ধানের গন্ধে মেলে দিই হৃদয়
দুঃখ গুলো মুছে নিই দূর্ব্বাঘাসে
চল
চোখে মুখে মেখে নিই নদী
চাষ করি সবুজের বর্ণমালা
ভুল না
মাটী ছাড়া আমাদের
আর কোন নিরাময় নাই
দ্বীপ দিদার
জন্ম: ০৭ ডিসেম্বর ১৯৯১, মাতারবাড়ী, মহেশখালী, কক্সবাজার। প্রকাশিত গ্রন্থ: সহপাঠ গুপী গাইন, বাঘা বাইন…
প্রচ্ছদ : মেহেরাজ হাসান শিশির
{হেমন্তের চিরকুট, নিরদ্দেশ ইশারা এবং ক্ষত বিষয়ক সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা || দ্বীপ দিদারের কবিতা [বঙ্গীয় শব্দকোষ (শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়), বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ, ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক শব্দার্থ বিধি (কলিম খান-রবি চক্রবর্ত্তী) ও প্রকৃতিপুরুষভাষাদর্শন অনুসৃত] চারবাক-এর বানান রীতিতে প্রকাশিত হল।
— সম্পাদকীয়}