ক্ষমতার আস্ফালন
একদিন বামনদের দখলে চলে যাবে নীতিহীন ভ্রষ্ট চাঁদ। মাছেরা তার নিজস্ব স্মৃতি ভুলে সমুদ্রে জ্বালিয়ে দেবে কৃষ্ণচূড়ার আগুন। গর্ভসুখে যারা গেয়ে ওঠে আহ্লাদী গান তাদের শরীর দখলে নিচ্ছে পিতল-কাঁসার ঝকঝকে রাত। একদা শিরিষ কাগজের মতো আমারও দিন কেটে গেছে, শরীর ঘষে ঘষে শুধুই বাড়িয়েছি পাপের ফেনিল। ঈশ্বরের নীরবতা দেখে ক্ষুব্ধ যুবকের ন্যায় পাল্টে ফেলেছি দৃশ্যপট। সাহস এখন অনেক বেশি, আকাশের পাটাতনে বসে দেখাই ভানুমতির খেল। বিদগ্ধ রাতে ফিরিঙ্গির ডিঙি নৌকায় বসে খুঁজি বণিক কাফেলা।
তিলোত্তমা নগরীতে বয়ে যায় বাণিজ্যবায়ু। এ যেন সুবিশাল এক স্টেডিয়াম, যুৎসই লোকেরা পিরামিডের গা বেয়ে উঠে যাচ্ছে আকাশ পথে। কাশফুলের যৌবন দেখে যারা নগ্ন হয়েছিলো কৃষ্ণপক্ষ রাতে তাদের স্বপ্নের সিথানে শোভাবর্ধন করে বুনোহংসী সাপ। একদিন বামনদের দখলেই চলে যাবে সবকিছু। খুঁটির জোরে তারা হয়ে উঠবে মহীরুহ।
রাতঘুম অথবা একটি রাস্তার গল্প
শুধু মধ্যরাত হলেই আমার পাখি হতে ইচ্ছে করে, ডাহুকপাখি
সারারাতের সঙ্গম স্মৃতি কেমন করে ফেলে দিচ্ছে রিসাইকেল বিনে
টাইম লাইনে এসে দেখি প্রোফাইলে তবু সবুজ পৃথিবী।
ঘুমোতে গেলে অনেক ভাবনাই মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে
অনেকেই হস্তমৈথুন করে এসব ভাবনা থেকে মুক্তি পায়
ক্ষতগুলো তবু সেরে ওঠে না বিছানায় দেখা যায় রক্তের দাগ।
ঘুমসকালে উঠে দেখি কংক্রিটের মতো শুয়ে আছে রাস্তা
আমি তাকে মৃত ভেবে দৌড়ে আসি সৎকার করার জন্যে
বিড়ালটা শুধু ভয় পেয়ে চমকে উঠে দৌড়ে পালায়।
কৃষক
ঘামগন্ধ নিয়ে মাত্রই সেজদায় গেলেন যিনি
তিনি জন্ম কারিগর ধ্যানী কৃষক
মৃত্তিকার সাথে যার নিত্য সহবাস হয়
তিনি সবার মুখে অন্ন তুলে দেন
আমাদের সবার বাবা হবার যোগ্যতা রাখলেও
বছরের পর বছর শুধু শস্যদানাই উৎপাদন করছেন
অথচ এইসব সন্তান নিয়ে তার বিন্দুমাত্র অহঙ্কার নেই।