ছায়াঘাস
অনন্ত প্যারাফিন জ্বলিতেছে-ছায়াঘাসে ;
জলবিম্বের শাদা মাস্তুলে বাতাস-মিশে
মহুয়াফুলের সাথে-এমন শান্তিজলে
শুয়ে থাকে পৃথিবীজোড়া উভচর মানব।
কোথাও যাত্রা করিছে ঢেউখেলানো দিন-
দশদিকে চোখ মানুষের-আকাশদেশে
উড়িতেছে বার্তাবাহী চিল; এই পথ মানুষের
নির্বিবাদী অরণ্যচরে দূর থিকা আকাশ
তাকায়ে থাকে আকাশের গায়ে-আর
মাটিতে মাটিতে ফোটে কবরীবন্ধন ফুল-
দশটা হাত দশটা পা নিয়া একটি মানুষ-
ভাবতে পারে দশদিকে চলে যাওয়ার কথা
এই পথ গভীর আঙুলের ফাঁকেফাঁকে
মানুষের ছায়া দেখে পেয়েছিলো ব্যথা-
দৃষ্টি
নিজেরে পলকহীন চোখের মতন লাগে।
যেইখানে, এই নির্বেদ ঋতু
আচমকা থমকায়ে গেছে
ক্লান্তিজনক ধীর প্রহরে।
চোখ-তোমার ভেতর থিকা উড়িয়া গেছে এক আত্মদ্রোহী পাখি।
নিকটবর্তী অতীতে পড়িয়া আছে ছায়াবৃত ছাই-
অনির্ণীত দূরত্বে তাকায়ে থাকো;
তোমার আদতে কোনো দৃষ্টিই নাই।
প্রার্থনা
অসম্ভব নিস্তব্ধতার কোলাহলে প্রার্থনারত ছিলাম
রুকু থিকা দাঁড়াবার সময় নরম পায়রার স্বর-
‘সামি’আল্লাহ হুলিমান হামিদাহ্’-সামিয়া-
মনে পড়িতেছে তুমি যেনো-প্রার্থয়িতা শিরীষ বালুচর-
কাঁদিয়া ওঠে কোকিলশাবকের কন্ঠে ‘আল্লাহু আকবার’
আমি সেজদায় যাই বনমালীর শালিক অনুচর-
পৃথিবীর পলাতকা সূরার আয়াতে-পবিত্র কোনো
শান্তির মলাটে তুমি ফেলিয়া গিয়াছো নিঃসৃত আছর!