একটি রূপকথা অথবা মানচিত্র বহির্ভূত
আমার ব্যক্তিগত কোনো রথ নেই
একে যদি সন্দেহ বলে ধরো
সেই সন্দেহ থেকে জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য চাকা।
চাকা কোন পথে যাবে তার নির্দিষ্ট কোনো
মানচিত্র থাকে না।
আমার ব্যক্তিগত কোনো চাকা নেই
চাকা সম্পর্কিত যতোটা বোধ আমি জানি
তার কোনো মতোই সুপক্ব নয়;
আপেক্ষিকতা মাত্র।
‘গতিজাড্য’-যা চাকার একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
আমি অসংখ্য চাকা দেখি স্বপ্নের ভেতর।
তোমার বুকের উপর দিয়ে যারা আমার মতো
ক্রমাগত ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যাচ্ছে
মন্দিরে
মসজিদে
গির্জায়…
বিপ্লব এবং
যে মেয়েটা সদ্য কলেজ অথবা কমরেড
কালো টিপ, শাড়ি…
এইট.বি. থেকে দলীয় লিফলেট বিলি করতে করতে
যাদবপুরের কোনো এক নিঃসঙ্গ গলিতে হারিয়ে যায়…
হারিয়ে যায় তার সমস্ত ক্ষত, প্রতিভা, সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।
বুকে অনির্বাণ ক্ষত নিয়ে অনন্তকাল ভালোবেসে যেতে যেতে
সময় যেখানে কোনোদিন ঠিকানা রেখে গেলো না…
রেখে গেলো না কোনো প্রেমিকার ডাকনাম কিংবা একটি গোলাপ।
যেখান থেকে একজন শিল্পী দ্রুত পাল্টে নিচ্ছে ক্যানভাসের রঙ
সেখানেই রঙ চিনে নিচ্ছে বিপ্লব;
তুমিও মাথায় তুলে নিচ্ছো বিপ্লবের সমস্ত মহড়া।
সেই মহড়া দেখতে দেখতে মফঃস্বলের ছেলেটি
আন্তন চেখভ হাতে নিয়ে ফিরে যাচ্ছে শেষ ট্রেন ধরে…
মিথ অথবা একটি আপেক্ষিকতা
দেখো…
কয়েকটা পাখি উড়ে যাচ্ছে…
এবার দৃশ্য থেকে কিছুটা নিচে
আর একধাপ
নিচে
দেখ
সিঁড়ি ভাঙছে শূন্যতা।
যে সিঁড়ি ভাঙছে তোমার মিথ, তা আসলে গড়ছে।
তারও নিচে যে ছায়া পড়েছে,
পড়ে;
তা আপেক্ষিক।
ক্যানভাস
ইতিমধ্যে বৃষ্টি নেমেছে
ফসল কাটা হয়নি যে মাঠে
নির্জন একলা দুপুরে একটা গরু
অসহায় ভাবে ভিজে যাচ্ছে!
অঝোরে বৃষ্টি-
দৃশ্য থেকে দৃশ্যপট ক্রমশ ঘোলাটে
এই দৃশ্যের বিপরীতমুখী সাদৃশ্যে
তুমি হেসে উঠছো। আর-
ক্যানভাস থেকে আমাদের প্রেম
হেঁটে যাচ্ছে বিপরীতমুখী…
অহল্যা
প্রেমের ভেতর বিরহ কেমন যেন-
ছিটেফোটা বিটনুন। আবার কখনো
গাণিতিক সমাধান-ফসলের মাঠ;
মাঠ ভরা জ্যামিতিক চিত্র, পট শুধু খালি
লাঙল জোয়াল কাঁধে চাষ করে ফিরি
সেই ফসল ফলার দিন গুণি আর-
কারা যেনো সেই জমি চষে যায় রাতদিন
তবুও দেখি অহল্যাই রয়ে গেছো তুমি…